নাক ডাকা থেকে মুক্তির ৭ টি সহজ সমাধান

সাজসজ্জা
অনেকেরই ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার বদ অভ্যাস আছে। আর এটি নিঃসন্দেহে একটি খুব বাজে অভ্যাস। বিষেশ করে তার আশেপাশে যে থাকে তাদের কাছে এটি অতি বিরক্তিকর একটি ব্যাপার। জরিপে দেখা গেছে পৃথিবীর প্রায় ৪০% পুরুষ ও প্রায় ২৫% নারী এই সমস্যায় ভুগে থাকে। বিশেষ করে ৫৫ থেকে ৮৬ বছর বয়সের মধ্যে এটি বেশী হয়ে থাকে। সাধারণত যখন সুস্থ ও শান্তিপূর্ন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তখন এটি হয়। চিকিৎসা শাস্ত্রে এর তেমন স্থায়ী কোন সমাধান না থাকলেও কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আজ আমরা নাক ডাকা প্রতিরোধে কয়েকটি মূল্যবান টিপস নিয়ে আলোচনা করব।

এক পাশ করে ঘুমানঃ
সাধারণ আপনি যখন সোজা হয়ে ঘুমান তখন আপনার পাকস্থলিতে অনেক চাপ পড়ে। আর এর ফলে নাক ডাকার সমস্যা হয়। তাই যদি আপনার নাক ডাকার অভ্যাস থাকে তাহলে যেকোনো এক সাইড করে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। এতে আপনার নিশ্বাস নিতে অসুবিধা হবে না।

অতিরিক্ত ওজন কমানঃ
অনেক সময় শরীরে অতিরিক্ত ওজনের ফলেও এই সমস্যা হয়ে থাকে। তাই প্রতিদিন সামান্য ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। বিশেষ করে ঘাড়ের কাছে গলায় অতিরিক্ত ফোলা থাকলে নাক ডাকার সমস্যা বেশী হয়। তাই প্রতিদিন হালকা ম্যাসাজের মাধ্যমেও ওজন কমানো সম্ভব।

এলকোহল ও ঘুমের ওষুধ ত্যাগ করাঃ
প্রতিদিন এলকোহল ও ঘুমের ওষুধ গ্রহন আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ নার্ভ সিস্টেমের উপর চাপ সৃষ্টি করে যা পরবর্তিতে গলা ও চোয়ালের উপড় প্রেশার ফেলে নাক ডাকা শুরু করে। তাই নাক ডাকা থেকে পরিত্রান পেতে দ্রুত এলকোহল ও ঘুমের ওষুধ ত্যাগ করুন।

আপনার এলার্জি জনিত রোগের চিকিৎসা করুনঃ
আপনার যদি কোনো কিছুতে এলার্জি থাকে বিশেষ করে নাকে তাহলে দ্রুত তার চিকিৎসা করুন। কারন নাকের এলার্জির কারনে নাক বন্ধ থাকলে ঘুমের সময় নিশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। ফলে নাক ডাকা রোগ হতে পারে। তাই ঘুমানোর পূর্বে নাকে প্রয়জনীয় স্প্রে অথবা নেসাল ক্লীপ ব্যাবহার করুন।

ধুমপান ত্যাগ করুনঃ
ধূমপান শরীরের শ্বসনতন্ত্রের অনেক ক্ষতি করে। এর ফলে ফুসফুসের উপর চাপ পড়ে। ফলে নিশ্বাস বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং নাক ডাকা আরম্ভ হয়। তাই অতিরিক্ত ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

প্রতিদিন ঘুমানোর জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় তৈরী করুনঃ
অনেক সময় অনিয়মিত ঘুমের কারণেরও নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে। তাই প্রতিদিন সময়মত পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

মাথার বালিশটা একটু উচু করে নিনঃ
ঘুমানোর সময় শরীরের সাথে মাথা সমান উচ্চতায় থাকলে এই সমস্যাটি অনেক বেশী হতে পারে। তাই ঘুমানোর পূর্বে মাথায় একটা অতিরিক্ত বালিশ ব্যাবহার করুন।

 
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।