ত্বকের ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে চুলের কালার নির্বাচন

সাজসজ্জা
সৃষ্টির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মেয়েদের ঘন কালো চুলের সৌন্দর্যের প্রশংসা চলে আসছে। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে এখন এই ঘন কালো চুলের ফ্যাশনেরও অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখনকার যুগের মেয়েরা আর এত লম্বা কালো চুল পছন্দ করে না। সময় বাচানো এবং ফ্যাশন দুইটার স্বার্থেই তারা চুলে বিভিন্ন কাট এবং রঙ ব্যাবহার করছে। তবে চুলে বিভিন্ন কালার করার পূর্বে কয়েকটি জিনিসের উপর বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত। কারন সব ধরনের রঙ সব গড়ন ও রঙের চেহারায় ভালো লাগে না। যদি মুখের গড়ন, রঙ বা চুলের আকারের সাথে মিলিয়ে রঙ করা হয় তবে দেখতে কিন্তু বেশ লাগে। কিন্তু বেশীরভাগ সময়েই ঠিকমতো এবং ভালো কোন পার্লার থেকে এইসব চুলের রঙ করার কাজটি করা হয় না বলে চুল রঙ করে বিপদে পড়েন অনেকেই। কিন্তু মুখের গড়ন অ রঙের সাথে মিলিয়ে চুল কালার করলে অনেক স্টাইলিশ লাগে। সাধারন লম্বা চুলের চেয়ে ছোট চুলে কালার করলে বেশী ভাল মানায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যাতিক্রম ও আছে। তাই আজ আমরা মুখের গড়ন ও রঙের উপর ভিত্তি করে কোন রঙটি আপনার চুলে বেশ ভালো মানাবে তা নিয়ে আলোচনা করব।

রিচ ব্রুনেটঃ
ব্রুনেট হচ্ছে চকলেটের চেয়েও ডার্ক একটা রঙ। সাধারণত যাদের ত্বকের রঙ কালো অথবা শ্যামলা তাদের এই রঙটি বেশ মানিয়ে যায় এবং এতে তাদের আরো উজ্জ্বল লাগে। লম্বা স্টেইট চুলে কালার করলে সামনের দিকের চুলে লেয়ার করে নিতে পারেন। আবার কার্ল চুলেও অনায়াসে এই রঙটি ব্যবহার করতে পারেন।

ডার্ক চকলেটঃ
চুলের রঙের জন্য ডার্ক চকলেট রংটি অনেক পুরুনো। যেকোন রঙের ত্বকেই এই রংটি বেশ মানিয়ে যায়। এক্ষেত্রে চুল লম্বা হলে কালার করার আগে নিচের দিকে লেয়ার, লেজার অথবা স্টেপ লেয়ার কাট দিয়ে নিতে পারে। এই রংটির একটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে এটি ব্যাবহারে চুলের রঙের পার্থক্য খুব বেশী বোঝা যায় না। তাই যারা নিজেদের ফর্মাল লুক একটু পরিবর্তন করতে চান তারা অনায়াসে এই রঙ ব্যাবহার করতে পারেন।

ব্রোঞ্জ কালার এবং গোল্ডেন হাইলাইটঃ
চুলে একটু গর্জিয়াস এবং উজ্জ্বল লুক চাইলে সফট ব্রোঞ্জ রঙের সাথে সোনালী হাইলাইট রঙ পছন্দ করতে পারেন। এই রংটি ফর্সা ত্বকের অধিকারী মেয়েদের অনেক বেশী ভালো লাগে। প্রথমে চুলে ব্রোঞ্জ কালার করে নিন। এরপর চুলের পেছনে ও সাম্নের দিকে কিছু চুল বাছাই করে গোল্ডেরন রঙের হাইলাইট করে নিন। এটি স্ট্রেইট চুলে বেশী মানানসই হয়। বিশেষ করে যেসব মেয়েদের চোখের রঙ হালকা বাদামী তাদের চেহেরায় এই রংটি বেশ মানিয়ে যায়।

বারগোন্ডি রঙঃ
চুলের রঙের জন্য বারগোন্ডি রংটি সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ এটি যেকোন গড়ন ও রঙের স্কিক টোনের সাথে মানিয়ে যায়। এই রংটির বিশেষত্ব হচ্ছে এটি আলোতে তার নিজস্ব রঙ প্রকাশ করে। বিশেষ করে যারা চাকুরীজীবী তারা অনায়াসে এই রংটি পছন্দ করতে পারেন।

গোল্ডেন কপারঃ
এই রঙটি উজ্জ্বল রঙের মেয়েদের জন্য ভালো হয় বিশেষ করে যাদের গোলাপী, পার্পেল ও সবুজ রঙের পোশাকে অনেক ভালো লাগে। কারন চুলের এই রঙটি সব ধরনের পোষাকের সাথে মানায় না। বিশেষ করে কার্ল মাঝারী সাইজের চুলে এই রঙটি বেশ ভাল লাগবে।

শেড রঙঃ
চুলের রঙের ক্ষেত্রে সবচেয়ে স্টাইলিশ হচ্ছে শেড রঙ। এটি উপরেরে দিকে গাঢ় হয়ে ক্রমাগত হালকা হতে হতে চুলের আগায় নেমে আসে। আপনার চেহারার ধরণ অনু্যায়ী যেকোন শেড পছন্দ করে নিতে পারে। যেমন ফর্সা ত্বকের জন্য বাদামী, ব্রুনেট, গোল্ডেন কপার, সাম্বার, পার্পেল বারগোন্ডি ইত্যাদি। আবার একটু ডার্ক স্কিনের জন্য ডার্ক চকলেট, ব্রুনেট, কপার ইত্যাদি। চুলে শেড করতে চাইলে চুল একটু ছোট অর্থাৎ কাধ পর্যন্ত থাকলে বেশী ভালো হয়। এক্ষেত্রে যাদের চুল স্ট্রেইট তারা কালার করার পর চুলের নিচের অংশে হালকা কার্ল করে নিতে পারেন। এতে আরো স্টাইলিশ লাগবে।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।