তৈলাক্ত চুলের যত্ন

সাজসজ্জা
চুল মেয়েদের সৌন্দর্যের সবচেয়ে গুরুত্তপুর্ন অংশ সাজের ধরন অনুযায়ী চুলের ফ্যাশনও বদলে যায়। কিন্তু এর জন্য চুল ভালো রাখা খুব জরুরি। আর চুল ভালো রাখার জন্য নিয়মিত এর যত্ন নেয়া উচিত। চুলের ধরন অনুযায়ী এর যত্ন ও ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে চুলের একটু বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কারন চুল তৈলাক্ত হলে এতে ধুলোবালি বেশি জমে এবং খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছারা এই ধরনের চুলের জন্য স্কাল্পএ ও সমস্যা হয়ে থাকে। এখন একটু সতর্ক হলে ঘরে বসেই হাতের কাছের কিছু উপাদান দিয়েই এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন।

লেবুর রসের ভিটামিন সি চুলের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করে এবং চুলকে গোড়া থেকেও মজবুত করে। একটা লেবু চিপে নিয়ে আধা চাপ পানিতে মিশিয়ে নিন। এবার এটাকে সম্পুর্ন চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

চা এর মধ্যে ট্যানিক যুক্ত এক ধরনের কষাটে পদার্থ আছে যা চুল থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করত সাহায্য করে। একটা টি-ব্যাগ কে কিছুক্ষন কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন অথবা চা চুলায় জ্বাল দিয়েও নিতে পারেন। এবার এটাকে মাথার তালুতে লাগিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষন পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

বেকিং সোডা চুলের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করে। দুই টেবিল চামুচ বেকিং সোডা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষন রেখে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

ভিনেগার ব্যাবহারেও চুলের তৈলাক্ততা কমে যায়। ৩ টেবিল চামুচ ভিনেগার এক কাপ পানিতে মিশিয়ে স্প্রে বোতল এ ভরে সম্পুর্ন চুলে স্প্রে করুন। ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে চুলের তৈলাক্ত ভাব কমার সাথে সাথে চুল উজ্জ্বল অ হবে।

একটা পাত্রে একটা ডিম ভেঙ্গে তার সাথে ৩ টেবিল চামুচ মেহেদি পাওডার মেশান। এবার এর সাথে ১ চামুচ মধু ও ১ চামুচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। প্রয়োজন হলে এতে একটু গরম পানি মিশাতে পারেন। এবার এটাকে সম্পুর্ন চুলে লাগিয়ে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন যতক্ষন পর্যন্ত চুল থেক এটা সম্পুর্ন পরিষ্কার না হয়ে যায়। সপ্তাহে ১ দিন ব্যাবহারে চুলের তৈলাক্ততা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।