ত্বক বুঝে ফাউন্ডেশন

 

সাজসজ্জা
বাজারে অনেক ধরনের ফাউনডেশন পাওয়া যায় কিন্তু আপনার জন্য সঠিক কোনটা তা জেনে নেওয়া খুবই জরুরী। কিন্তু এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন সব ফাউনডেশন সবার জন্য নয়। ফাউনডেশন কেনার সময় যে যে বিষয়গুলো নজরে রাখতে হবে তা হল স্কিন টাইপ। কারো ত্বক অয়েলি কারো শুষ্ক আবার কারো কম্বিনেশন অথবা কারো নর্মাল টাইপের ত্বক হয়ে থাকে। আবার সবার গায়ের রঙ বা স্কিনটোন এক হয় না। আর ঠিক কতটা কভারেজ দরকার সেটাও কিন্তু বোঝা জরুরী। তাই ফাউনডেশন কেনার সময় এই তিনটে দিকের (স্কিন টাইপ, স্কিন টোন আর কভারেজ ) কথা মনে রাখতে হবে। চলুন জেনে নেই কিছু টিপস-

*ফাউনডেশন সব সময় হাতে লাগিয়ে দেখে কিনতে হয়। আর অবশ্যই ভালো ব্রান্ডের ফাউনডেশন নিবেন। আপনার স্কিনের রঙের থেকে ১ অথবা ২ টোন হালকা শেডের ফাউনডেশন নেবেন। সেই ফাউনডেশনটা নিজের চোয়াল বরাবর বা কপালে লাগাবেন আর সেটাকে ন্যাচারাল লাইটে দেখবেন আপনার স্কিনের সাথে যাচ্ছে কিনা।
*মনে রাখবেন ভালো ফাউনডেশনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল সেটা খুব সহজেই স্কিনে মিশে যায়। মুখে যদি কোন বলিরেখা থাকে বা যদি কোন দাগ ছোপ অথবা আনইভেন স্কিন টোন থাকে সেগুলোকে সহজে ঢেকে দেয়। সঠিক ফাউনডেশন হল সেটাই যা লাগালে বোঝাই যাবে না যে মেকআপ করা হয়েছে অথচ মুখটাকে একই সাথে উজ্জ্বলও দেখাবে।

*স্কিন টাইপ বুঝে ফাউন্ডেশন বাছায় করুন-
• যদি আপনার স্কিন অয়েলি হয় তাহলে আপনি সেইসব ফাউন্ডেশন কিনুন যেগুলোর বোতলের গায়ে “অয়েল ফ্রি” বা “অয়েল কন্ট্রোল” বলে লেখা আছে। যে সমস্ত ফাউন্ডেশন ম্যাট ফিনিশ বা ম্যাট লুক দেয় সেগুলো এই ধরনের স্কিনের জন্য খুব কার্যকরী। একটা ছোট্ট টিপস দিয়ে রাখছি। ফাউন্ডেশন দেবার পরে পাউডার একটু চেপে চেপে লাগাবেন তাহলে সেটা ফাউনডেশনকে তাড়াতাড়ি শুকনো হতে আর স্কিনের সাথে মিশে যেতে সাহায্য করবে। অবশ্যই পাউডার ঘষে ঘষে লাগাবেন না।
•শুষ্ক বা ড্রাই স্কিনের জন্য আর্দ্রতাযুক্ত বা ময়েশচারাইজারযুক্ত ফাউন্ডেশন প্রয়োজন। যেকোনো ক্রিম বেজড ফাউন্ডেশন কিনতে পারেন। সেইসব ফাউন্ডেশন কিনুন যেগুলোর বোতলের গায়ে “হাইড্রেটিং” বা “ময়েশচারাইজার রিচ” বলে লেখা আছে। ম্যাট ফিনিশিং এর ফাউন্ডেশন লাগাবেন না তাহলে আপনাকে নিষ্প্রভ দেখাবে।
•ক্রিম টু পাউডার বেজড ফাউন্ডেশন কম্বিনেশন ত্বকের জন্য খুব ভালো ভাবে কাজ করে। আপনার যদি এই ধরনের স্কিন হয় তাহলে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করাই ভালো।
•যদি আপনার স্কিনে বলিরেখা দেখা যায় তাহলে আপনি মাঝারি কভারেজ যুক্ত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। ভুলেও হেভি কভারেজ যুক্ত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না তাহলে সেটাতে বলিরেখা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
• যাদের স্কিন খুব ভালো মানে কোন দাগ ছোপ নেই এবং যারা একটা ন্যাচারাল লুক চান তারা লাইট কভারেজ ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের ফাউন্ডেশন গরমকালে ভালো চলতে পারে আর রোজকার অফিস, কলেজে যেতে এরম কভারেজের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা যায়।
• যাদের আনইভেন টোনের স্কিন বা যাদের সামান্য ব্লেমিসেস আছে তারা মিডিয়াম কভারেজের ফাউন্ডেশন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারবেন।
• হেভি কভারেজে ফাউন্ডেশন মুলত ফটো স্যুট, পার্টি ইত্যাদিতে চলে । এছাড়া যাদের স্কিনে খুব বেশি দাগ আছে তারা সেগুলো ঢাকতে এই ধরনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন।

…আজকাল বাজারে যে ফাউন্ডেশনগুলো পাওয়া যায় সেগুলো হয় পিঙ্ক বা ইয়েলো শেডের হয়ে থাকে। যদি আপনি খুব ফর্সা হন তবেই পিঙ্ক শেডের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। সাধারণত এশিয়ানদের হলদে শেডের ফাউন্ডেশন সব থেকে বেশি স্যুট করে। আর ফাউন্ডেশন সাধারণত সূর্য তাপ থেকে হালকা প্রোটেকশন দেয়। তাই শুধু ফাউন্ডেশন লাগিয়েই রোদে বের হবেন না তাতে স্কিন ট্যান হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই সানস্ক্রিন প্রথমে লাগিয়ে তার উপরে ফাউন্ডেশন লাগাবেন। এতে সান ট্যান হবে না। যদি সানস্ক্রিন না থাকে তাহলে আপনি বেবি ক্রিমও লাগিয়ে নিতে পারেন।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।