দাম্পত্য প্রেমকে গতিময় করে তোলার কয়েকটি ধাপ

সাজসজ্জা
বিবাহিত জীবনে কে না সুখী থাকতে চায়? দুটি মানুষের মন একে অপরের সাথে মিলে গেলে সেখানে আর কী লাগে? কিন্তু তারপরেও অনেক সহজ কিছু ব্যাপার থেকেই যায় যা আমাদের চোখের আড়াল হলেও আসলে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা খেয়াল করিনা এমন কিছু বিষয় যার মাধ্যমে খুব সহজেই আমরা দাম্পত্যকে প্রাণবন্ত রাখতে পারি। চলুন জেনে নিই এমন মজার কিছু নিয়ম দাম্পত্যের প্রেমকে গতিময় করে তুলতে ভীষণ সহায়ক।

১। সঙ্গী তার মনের সব কথা অকপটে ব্যক্ত করবে, তা ভাববেন না। তার না বলা কথাগুলো বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করুন। কোনদিন অকারণে রেগে গেলে, সামান্য কথা খিট খিট করলে রাগ না করে তার এমন ব্যবহারের কারণ খুঁজে দেখুন।

২। দোষগুলো ঢেকে গুণগুলো দেখুন। একে অপরের প্রশংসা করুন। সঙ্গীর যে বিষয়টি আপনার ভাল লাগে তা নিয়ে কথা বলুন তার সাথে।

৩। একে অপরকে দোষ দেয়া , অবিশ্বাস করা বন্ধ করুন। সামান্য কারণে অভিযোগের আঙুল না তুলে মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন।

৪। স্বামী যদি ঝগড়ার পর আপনার মান ভাঙাতে আসে তাকে কখনোই প্রত্যাখ্যান করবেন না।

৫। আপনার সঙ্গীর কোন কিছু আপনার ভাল না লাগলে তাকে বলুন। তাকে সময় দিন নিজেকে পরিবর্তন করার। বার বার এক কথা না বলে তাকে পরিবর্তন করতে সাহায্য করুন।

৬। সব সময় মনে করবেন না যে আপনি সবকিছু ভাল বোঝেন। আপনার সঙ্গীর আকাঙ্ক্ষারও সমমর্যাদা দিন।

৭। নানা বিষয় নিয়ে দুজনে প্রচুর গল্প করুন। সব রকমের সমস্যা এমনকি নিজেদের মধ্যে কোন সমস্যা থাকলে তা নিয়েও আলাপ করুন। নিজেরাই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন।

৮। সঙ্গীকে কোন প্রতিশ্রুতি দিলে তা পালন করার চেষ্টা করুন। বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠুন।

৯। অকারণে বা সামান্য কারণে মিথ্যা বলবেন না। বার বার মিথ্যা বললে সঙ্গীর বিশ্বাস হারাতে পারেন।

১০। নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক যেমন থাকুন না কেন, পরিবারের বাইরে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে সব সময় সঙ্গীকে নিয়ে ভাল কথা বলুন।

১১। সমস্যা এড়িয়ে যাবেন না, তার মুখোমুখি হোন। সঙ্গীর অভিযোগ খুব মন দিয়ে শুনুন ও গুরুত্ব দিয়ে তা প্রতিকারের চেষ্টা করুন।

১২। সঙ্গীর ব্যক্তিত্বের প্রাপ্য মর্যাদা দিন। কিছু মেনে নেয়া মানে হেরে যাওয়া মানসিকতা দূর করুন।
১৩। রাতে শুতে যাওয়ার আগে নিজেরা বারান্দায় বা ঘরেই বসে কথা বলুন। একজন আর এক জনকে রেখে আগে ঘুমানোর অভ্যাস করবেন না।

১৪। দাম্পত্যে দায়বদ্ধতা অবশ্যই জরুরি। দায়িত্ব এড়িয়ে যাবেন না।

১৫। নিজেদের মধ্যে সমস্যাই হোক না কেন সন্তানের সাথে একে অপরের কথা বলে নিজেকে দুঃখী হিসেবে বুঝ দেবেন না। পরস্পরের মমতাকে শ্রদ্ধা করুন।

 
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।