ফাউন্ডেশনের সাত সতেরো

sajsojja
সাজগোজ করতে কে না ভালবাসে? আমরা সবাই কম বেশি এ কাজটি করে থাকি। আর সাজগোজের ক্ষেত্রে মেকআপ নেওয়ার সময় যে নামটি সর্বপ্রথমে আমাদের মাথায় আসে তা হল ফাউন্ডেশন । তবে আপনি কি জানেন কোন ফাউন্ডেশনটি আপনার ত্বকের জন্য মানানসই? অথবা ফাউন্ডেশনের শেড বাছাই করতে গিয়ে কি পড়ে যান বিপাকে? যদি এমন হয়ে থাকে আপনার সমস্যাগুলো তাহলে আর চিন্তা না করে পড়ে নিন আর্টিকেলটি ।আশা করি সে সমস্যার সমাধান হবে সহজেই।

জেনে নিন ফাউন্ডেশনের ধরণ :
বাজারে অনেক রকমের ফাউন্ডেশন পাওয়া যায় । এর মধ্যে রয়েছে
লিকুইড,স্টিক,ক্রীম,মুজ,ম্যাট লিকুইড,পাউডার,,বিবি ক্রীম ইত্যাদি ।

এবার আপনাদের মনে প্রশ্নের উদয় হতেই পারে কে কোনটি ব্যবহার করবেন । তাই চলুন প্রতিটি টাইপ সম্পর্কে জেনে নেই বিষদভাবে –

# লিকুইড ফাউন্ডেশন :
লিকুইড ফাউন্ডেশন হচ্ছে ফাউন্ডেশনের চিরাচরিত রূপ । যখন থেকে বাজারে ফাউন্ডেশন আসতে শুরু করেছিল,তার শুরুই হয়েছিল লিকুইড ফাউন্ডেশন দিয়ে। আজ যত রকমের ফাউন্ডেশন আমরা বাজারে দেখি তার সবই লিকুইড ফাউন্ডেশনের রূপভেদ । লিকুইড ফাউন্ডেশনও কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে,ভিন্ন ভিন্ন ত্বকের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি হয় একেকটি। এটি লিকুইড থাকার কারণে ব্যবহার করা অনেক সহজ। তবে প্রচলিত লিকুইড ফাউন্ডেশন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কিছুটা অনুপযোগী ,কিছু সময় পরে ত্বককে আরো তেলতেলে করে দেয় যদি না ফাউন্ডেশনের গায়ে ওয়েল ফ্রি কথাটা লেখা থাকে ।তবে শুষ্ক ত্বকে তা আদর্শ । মিশ্র ত্বকেও মানিয়ে যায় সহজেই।

# ক্রিম ফাউন্ডেশন :
ক্রিম ফাউন্ডেশন অনেকটা লিকুইড ফাউন্ডেশনের মতই। এটি আরেকটু থিক হয়। সাধারণ ক্রিমের মতই ব্যবহার করা যার ।শুষ্ক ত্বকে এ ধরণের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা হয় । তবে শীতে অন্যান্য ত্বকেও ব্যবহার করা যাবে ।

# পাউডার ফাউন্ডেশন :
আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাজারে এসেছে পাউডার ফাউন্ডেশন । এটি ব্যবহার করা যেমন সহজ,তেমনি কম সময় সাপেক্ষ ।তাই এই ব্যস্ত জীবনে পাউডার ফাউন্ডেশন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । আর এর সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলে এতে পাওয়া যায় লিকুইড ফাউন্ডেশনের ইফেক্ট । তবে কভারেজ পাওয়া যায় একটু কম । পাউডার ফাউন্ডেশন সব ধরণের ত্বকে মানানসই,শুষ্ক ত্বক হলে আগে একটু ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলেই হবে । গরমের দিনে এর চেয়ে ভাল কিছু হতে পারে না ।

# মুজ ফাউন্ডেশন :
তৈরির প্রযুক্তিগত দিক থেকে মুজ ফাউন্ডেশন এখনো পর্যন্ত সব গুলোর শীর্ষে । এটি যেমন কভারেজও দেয় ভাল তেমনি সব সময় সবখানে ব্যবহার করা যায় সহজেই । আর সব ধরণের ত্বকেও মানিয়ে যায় । এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ । অনেকেই তৈলাক্ত ত্বকে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে চান না,তাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই মুজ ফাউন্ডেশন। এর গঠন অনেক মসৃণ হয়,তাই ত্বকের সাথে খুব সহজেই মানিয়ে যায়।

# বিবি ক্রিম :
বিবি ক্রিমএকটি আধুনিক ফাউন্ডেশন ।খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিবি ক্রিম । এটি খুবই আরামদায়ক এবং হালকা অনুভূতিপূর্ণ । এটি যেমন ফাউন্ডেশনের ঝক্কি কমায় তেমনি চেহারায় আনে প্রাকৃতিক কোমলতা ও মসৃণতা যার জন্য এটি এত বেশি সমাদৃত । সব ধরণের ত্বকেই মানানসই এই বিবি ক্রিম । ভাল ব্র্যান্ডের বিবি ক্রিমগুলোতে শেডও পাওয়া যায়।

# স্টিক ফাউন্ডেশন :
স্টিক ফাউন্ডেশনের একটি অসুবিধা হচ্ছে এটি লাগানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই কেকি হয়ে যায় ,আর সাদা সাদা হয়ে ত্বককে অসুন্দর করে দেয়। তাই যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা এই ফাউন্ডেশনটি এড়িয়ে চলাই ভালো। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশি ভাল । অনেক ভারী মেকআপ নিতে গেলে প্রয়োজন পড়ে স্টিক ফাউন্ডেশনের।

তাহলে আর দেরি না করে বেছে নিন আপনার ত্বক উপযোগী ফাউন্ডেশনটি আর সাজুন আপনার মনমতো।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।