চোখের নিচের কালি: কারণ ও প্রতিকার

সাজসজ্জা
চোখের নিচের ত্বক অত্যন্ত পাতলা এবং সংবেদনশীল। তাই আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে অল্পতেই। এমনকি আপনার মেক আপের কোন উপকরণের ছোয়াতেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে চোখের নিচের ত্বক। চোখের নিচে কালো দাগ শুধু নিদ্রাহীনতার চিহ্নই নয় মুখায়বয়বের উপর ‘ব্ল্যাক স্পট’ও বটে।

কেন হয়?

ঘুম কম হলে তো বটেই এ ছাড়াও নানা কারণে কালো দাগ পড়তে পারে চোখের নিচে। জিনগতভাবে অনেকের চোখে জন্ম থেকেই কালো দাগ থাকে। এর বাইরে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাঢ় হতে পারে চোখের নিচের ত্বকের রং। পাতলা ত্বকের নিচে রক্তের কৈশিক জালিকার কারনে একটা কালো ভাব চলে আসে আবার পুষ্টিহীনতা বা বার্ধক্যের কারনে চোখ গর্তের ভেতর ঢুকে গেলেও মনে হয় কালো দাগ পড়েছে চোখের নিচে।

এখন খেয়াল করুন আপনার চোখের নিচে নীলচে নাকি বাদামি দাগ পড়েছে। বাদামী দাগ সাধারণত তৈরি হয় জিনগত কারনেই। তবে চোখ বেশি কচলালে বা রোদে পুড়েও হতে পারে এমন অবস্থা। এ অস্বস্তি এড়াতে এমন ক্রিম ব্যবহার করুন যাতে সয়া বা সাইট্রাস আছে। এগুলো ত্বক উজ্জ্বল হতে সাহায্য করে। সানস্ক্রিন তো ব্যবহার করতে হবে। এবং চোখ কচলানো চিরতরে বন্ধ করতে হবে। চোখের নিচের দাগ যদি নীলচে হয় তবে দুশ্চিন্তা করবে না। কৈশিক জালিকায় রক্ত প্রবাহের কারনেই এমন দেখায়।

পর্যাপ্ত ঘুম আর ব্যলেন্সড ডায়েটই পারে চোখের ত্বক সুস্থ রাখতে। এর বাইরেও জেনে নিন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিঃ

শসা:

সজীব শসা স্লাইস করে কেটে আধ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করুন। দশ মিনিট চোখের উপর রেখে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে অন্তত দুবার, একটানা সাত দিন। আবার শসা আর লেবুর রস সমান পরিমান মিশিয়ে মাখতে পারেন ত্বকে। দিনে একবার করে সাত দিন মাখুন। স্বাভাবিক রং ফিরে আসবে।

কাঁচা আলু:
কাঁচা আলু ঠাণ্ডা করে ব্লেন্ডারে পিষে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট দাগের উপর মেখে ১০-১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আলু পেস্ট করতে ঝামেলা মনে হলে শসার মত স্লাইস করেও ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহব্যাপী দিনে ১-২ বার ব্যবহার করলেই চলবে।

গোলাপ জল:
প্রাকৃতিক ভাবেই গোলাপ জল স্কিন টোনার হিসেবে কাজ করে। ছোট্ট পরিস্কার কাপড়ের টুকরা বা আই প্যাড গোলাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। পুরো ভিজলে চোখ বন্ধ করে চোখের পাতার উপর রেখে দিন ১০-১৫ মিনিট। দিনে একবার করে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে চোখের স্বাভাবিক রং ফেরত আসবে।

টমেটো:
এক চামচ টমেটোর রস এবং আধা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চোখের নিচে মেখে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন পরিস্কার পানি দিয়ে। দিনে একবার বা দুইবার করে টানা সাত দিন ব্যবহার করুন।

আমন্ড ওয়েল:
স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য আমন্ড ওয়েলের খ্যাতি আছে। প্রতি রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে চোখের নিচে হালকা আমন্ড ওয়েল মেখে শুয়ে পড়ুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কালো দাগ বিদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত এ পদ্ধতি চালু রাখুন।

মনে রাখবেন চোখ ও এর আশেপাশের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং স্পর্শকাতর। চোখের নিচের দাগ দূর করতে গিয়ে যেন চোখ দুটো খোয়া না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চোখের নিচে মাখতে গিয়ে যেন কোন উপাদান চোখে ঢুকে না যায় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।