কীভাবে বাছাই করবেন ত্বকের উপযোগী সঠিক সানস্ক্রিন?

সাজসজ্জা
আমাদের ত্বক সুন্দর রাখার জন্য আমরা কতো কিছুই না ব্যবহার করে থাকি। নানান ধরণের ক্রিম, ফেসিয়াল ইত্যাদি। কিন্তু বছরের সারাটা সময়েই যে জিনিসটি ব্যবহার করা আমাদের সকলের উচিৎ তা হচ্ছে সানস্ক্রিন। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোনো সময়েই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা বন্ধ করা উচিৎ নয়। বিশেষ করে গ্রীষ্ম এবং শীতকালে। কড়া রোদ এবং আবহাওয়ার বিরূপ ভাব ত্বকের ওপর ছাপ ফেলে যায় খুব খারাপ ভাবে। শুরু হয় ত্বকের নানা সমস্যা। এই সকল সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে অবশ্যই ব্যবহার করা উচিৎ সানস্ক্রিন। আরও একটি বিষয়ে সকলের খেয়াল রাখতে হবে তা হলো সঠিক সানস্ক্রিন ব্যবহার। কোন ধরণের ত্বকে কেমন সানস্ক্রিন লাগাতে হবে তা আমাদের জানতে হবে। বেছে নিতে হবে সঠিক সানস্ক্রিন। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক কীভাবে বাচাই করবেন ত্বকের উপযোগী সঠিক সানস্ক্রিন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্যঃ
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সাধারণ যে কোন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এতে ব্রণের উপদ্রব বাড়ে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অবশ্যই পানির মাত্রা বেশি অর্থাৎ ওয়াটার বেইজড সানস্ক্রিন বাছাই করা উচিৎ। এতে করে রোদ এবং ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সানস্ক্রিনের এসপিএফ অবশ্যই ৩০ মাত্রার অধিক ব্যবহার করবেন।

শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বকের জন্যঃ
শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বকের জন্যও আলাদা ধরণের সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ সানস্ক্রিন এমনিতেই ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। রুক্ষ ত্বকে সাধারণ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে পরে। তাই রুক্ষ এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েসচারাইজার সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন বাছাই করতে হবে। একই সাথে এসপিএফ ৩০ মাত্রার অধিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

সাধারণ ত্বকের জন্যঃ
সাধারণ ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুব বেশি বাছা বাছি করার প্রয়োজন নেই। কারণ সাধারণ ত্বকের ৩০ থেকে ৫০ এসপিএফ মাত্রার সানস্ক্রিন ভালো ভাবেই কাজ করে। সাধারণ ত্বকের জন্য শুধুমাত্র ভালো ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ। এতে করে ত্বক ঘেমে গেলেও সানস্ক্রিন ত্বকে থাকবে।

মনে রাখবেনঃ
– সানস্ক্রিন কেনার আগে অবশ্যই ভালো করে মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় দেখে নেবেন।
– অনেকের ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে। তাই সানস্ক্রিন কেনার আগে এর উপকরণগুলো ভালো করে পরে নেবেন।
– যে সকল সান্সক্রিনে অক্সিবেঞ্জোন, রেটিনাইল পালমিটেট এবং প্যারাবেন্স জাতীয় উপাদান রয়েছে সে সকল সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ এই ধরণের উপাদান ত্বকের ক্যান্সারের জন্য দায়ী।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করার সময় যে যে বিষয় খেয়াল রাখা উচিতঃ

– সানস্ক্রিনে যাতে ইউভি এ ও ইউভি বি দু’টি থেকেই রক্ষা হয় সে দিকে লক্ষ্য  রাখবেন।

– রোদে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ত্বকে লাগাবেন। যাতে ত্বকে সানস্ক্রিন শোষিত হওয়ার পরে ইউভি রশ্মি আপনার ত্বকে লাগে এবং ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

– সানস্ক্রিন শুধু মুখে নয়, হাত, গলা এবং শরীরের যেসব জায়গা কাপড়ে ঢাকা নয় সেসব জায়গায় লাগাবেন। যথেষ্ট পরিমাণ সানস্ক্রিন লাগানো প্রয়োজন। একজনের প্রতিবারে ১ আউন্স সানস্ক্রিন প্রয়োজন হবে যদি সে যথাযথভাবে ব্যবহার করে। রোদে থাকলে বা বাইরে থাকলে অবশ্যই প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন লাগাবেন।

– বিজ্ঞাপনে দেখা যায় পানি কিংবা ঘামে নষ্ট হয় না সানস্ক্রিন। তবুও মুখ ধুলে এবং ঘামলে আবার সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন।

– ঠোঁটেও সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। সানস্ক্রিন ঠোঁটে না লাগালে ঠোঁট কালচে হয়ে যায়। মুখের ত্বকের মধ্যে ঠোঁটই সবচেয়ে বেশি সূর্যরশ্মিতে আক্রান্ত হয়।

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।