ওজন কমাতে সহায়ক পানীয় সমূহ

ওজন কমাতে সহায়ক পানীয়
একে তো ভ্যাপসা গরম,তার উপর রমজান মাস। গরম বলে তো আর রোজা না রাখা যাবে না বরং বাতলে নিতে হবে সমাধান। গরমে সবারই বাজে হাল হয়ে যায়,পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এ সময় পানির অভাব পূরণ করা অত্যাবশ্যক। দেহে পানির ভারসাম্য বজায় না থাকলে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রত্যেকেরই উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পানীয় গ্রহণ করা। আর পানীয় যদি এমন হয়, যা ওজন কমানোর সহায়ক; তবে তো কোন কথাই নেই। আসুন জেনে নেই সেই সব পানীয় সম্পর্কে, যেগুলো আপনার তৃষ্ণা নিবারণের পাশাপাশি আপনার দেহে পানির ভারসাম্য বজায় রাখবে তথা ওজন-ও রাখবে নিয়ন্ত্রণে।

আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের সবচেয়ে কার্যকর ৭ টি পানীয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে যেগুলো আপনাদের রাখবে সুস্থ এবং ফিট।

০১ ঘোলের আমিষ জাতীয় পানীয়ঃ

বডি বিল্ডারদের কাছে ঘোলের পানীয় সবচেয়ে পরিচিত ও জনপ্রিয় নাম। কিন্তু আমিষ কথাটির কারণে বুঝতেই পারছেন এটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ঘোলের আমিষ জাতীয় পানীয় পানে আপনি অনেকক্ষণ ধরে ভরপেট অনুভব করবেন এবং অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে পারবেন। শুধু রোজার দিনগুলোতেই নয়, আপনি যে কোন সময় ঘোলের আমিষ জাতীয় পানীয় পানে ধরে রাখতে পারেন আপনার কাঙ্খিত দৈহিক গঠন।

০২ চীনাবাদাম-মাখন ও কলার তৈরী পানীয়ঃ

শুনে হয়ত অবাক হতে পারেন যে চীনাবাদাম-মাখন ও কলা কেমন করে ওজন কমাতে পারে। কিন্তু জেনে অবাক হলেও এ কথা সত্যি যে চীনাবাদাম-মাখনের সাথে কলার মিশ্রণ খুবই ভালো খাবার, বিশেষ করে পূর্ণ খাবারের বিকল্প ও পানীয় হিসেবে। রমজান মাসে সেহেরীতে এ পানীয় আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়ে আসতে পারে বিপুল পরিবর্তন আর সেই সাথে আপনাকে দিতে পারে সারাদিনের পুষ্টি ওশক্তির নিশ্চয়তা।

০৩ তরমুজের শরবতঃ

এই গরমের ইফতারে তরমুজের শরবতের চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে? তরমুজে রয়েছে খুবই সামান্য চর্বি ও ন্যূনতম ক্যালরি। তরতাজা তরমুজ, টকদই/দই, ননীহীন দুধ ও বরফ কুচি মিশিয়ে তৈরি করে নিন আপনার তরমুজের শরবত। হয়ে গেল ইফতারের সর্বোচ্চ তৃপ্তি।

০৪ দই-টমেটোর শরবতঃ

টমেটোর পুষ্টিগুণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নাস্তা বা নাস্তার বিকল্প হিসেবে অনবদ্য। স্বাস্থ্যকর টমেটোর শরবত বানাতে এক কাপ টক দইয়ের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এবং স্বাদের জন্য অল্প লবণ মিশিয়ে নিন। ব্যস,হয়ে গেল মজাদার দই-টমেটোর শরবত; যা আপনাকে রাখবে দিন ভর চাঙ্গা।

০৫ দুধ-চকলেটের পানীয়ঃ

চকলেটের নাম শুনে ভয় পাবেন না। জি হ্যাঁ, চকলেট-ও আপনার মেদ কয়ামতে সাহায্য করতে পারে; যদি তা সঠিক উপায়ে গ্রহণ করা হয়। এক গ্লাস দুধের পানির সাথে কোকোয়ার নির্যাস মিশিয়ে নিন। তারপর একে ভালো মত নাড়ুন, যতক্ষণ না উপাদান দুটো একত্রে মিশে যায়। এদের মিশ্রণ তৈরি করে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা সাহায্য করে অতিরিক্ত মেদ পোড়াতে।

০৬ মিশ্র ফলের শরবতঃ

ঘরে তৈরি পানীয়ের মধ্যে এটাই সবচেয়ে সহজ। আপনার পছন্দ সই মৌসুমী ফল যেমন – আপেল, তরমুজ, আঙ্গুর, আনার, আনারস ইত্যাদি নিন,সাথে মেশান টক দই বা দুধের পানি। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু ফলের শরবত, যাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল।

০৭ সবজির রসঃ

খাবারের আগে এক গ্লাস সবজির রস পানে আপনি ১৩৫ ক্যালরি কমখাদ্য গ্রহণ করতে পারবেন। আর আপনি তো জানেন-ই সবজি আপনার ওজন কমাতে কতটা সাহায্য করে থাকে।

উপরোক্ত পানীয় সমূহ ঘরে বসেই তৈরি করুন; যাতে অতিরিক্ত প্রিসারভেটিভ বা কৃত্রিম রঙ থাকবে না বলে আপনার ও আপনার পরিবারের স্বাস্থ্য রক্ষায়ও রাখবে কার্যকর ভূমিকা , সেই সাথে আপনাকে সহায়তা করবে ওজন কমাতেও।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।