ত্বকে লালচে র্যাশ ওঠার ৭টি কারণ
যেকোনো বয়সে ত্বকে র্যাশ বা লালচে ফুসকুড়ি উঠতে পারে। ত্বক পুড়ে গেলে বা অ্যালার্জির উদ্রেক করে এমন কিছুর সংস্পর্শে আসলে র্যাশ উঠতে পারে। এদের চেহারা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। ফুসকুড়ি উঠলেই আপনার অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন। এখানে ৭টি কারণের উল্লেখ করা হলো যার ফলে ত্বকে র্যাশ উঠতে পারে।
১. খাবারে অ্যালার্জি :
ত্বকে র্যাশ ওঠার সবচেয়ে সাধারণ কারণটি হলো খাদ্যের অ্যালার্জি। খাদ্যের অ্যালার্জি গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যাসহ র্যাশ উঠতে পারে। এতে ত্বক লালচে হয়ে চুলকাতে পারে। সাধারণ হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে ৬ সপ্তাহ ওই খাবার না খেয়ে দেখতে পারেন র্যাশ ভালো হয় কিনা।
২. ওষুধসংশ্লিষ্ট অ্যালার্জি :
অন্যান্য ওষুধ খাওয়ার ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ত্বকে র্যাশ উঠতে পারে। এ ধরনের র্যাশকে বলে ড্রাগ ইরাপশনস। অন্য কোনো চিকিৎসা নেওয়া অবস্থায় এমন র্যাশ উঠলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের কাছে য
৩. অটোইমিউন ডিজিস :
বিপাক ক্রিয়ায় ভুল ঘটে গেলে তা দেহে বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের সমস্যাকে অটোইমিউন ডিজিস বলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পরিয়াসিস এমন এক অটোইমিউন পরিস্থিতি যার ফলে ত্বকে র্যাশ উঠতে পারে এবং চুলকানি হয়। নাকের দুই দিকে প্রজাপতি আকৃতির এমন লালচে র্যাশ ওঠাও অটোইমিউন ডিজিজের লক্ষণ।
৪. সংক্রমণ :
বেশ কিছু রোগ আছে যার সংক্রমণ ঘটলে দেহে র্যাশ উঠতে পারে। জীবাণুর সংক্রমণে এমন র্যাশ ওঠার সবচেয়ে সাধারণ উদাহরণটি হলো চিকেন পক্স। এ ছাড়া ত্বকে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণের ফলেও র্যাশ ওঠে।
৫. তাপ :
যেকোনো দেশে গরমকালে দেহে র্যাশ ওঠা সাধারণ একটি ব্যাপার। এই র্যাশ ওঠে ঘাম ত্বকের লোমকূপের ছিদ্র দিয়ে বের হতে না পারলে। এ ছাড়া মোটা দেহে ত্বকের ভাঁজের মধ্যেও র্যাশ ওঠে। অতিরিক্ত তাপজনিত কারণে ওঠা এসব র্যাশ থেকে বাঁচার উপায় হলো ওই অংশটি শুকনো ও শীতল রাখা।
৬. মানসিক চাপ :
এমনকি মানসিক চাপের ফলেও দেহে র্যাশ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে দেহের অভ্যন্তরে রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে এক ধরনের বিষণ্নতা বা মানসিক চাপ দেখা দেয়। এর ফলে র্যাশ ওঠে। আর এ কারণে উদ্ভুত র্যাশ থেকে বাঁচার উপায় হলো মানসিক চাপ থেকে মুক্তির জন্য মেডিটেশন করা।
৭. ডার্মাটিটসের সংস্পর্শে আসা :
আপনার ত্বকের জন্য স্পর্শকাতর যেকোনো কিছুর ছোঁয়ায় অ্যালার্জি আকারে র্যাশ দেখা দিতে পারে। অনেকের ত্বকে গোসলের সাবানেও অ্যালার্জি থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে এদের থেকে দূরে থাকতে হবে।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।