ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার বিভিন্ন পদ্ধতি ও ভালো-মন্দ

অবাঞ্ছিত লোম দূরহেয়ার রিমুভালের ক্ষেত্রে একেক জন একেক পদ্ধতি ব্যবহার করেন। কিন্তু বেশীরভাগ মানুষের কাছেই এটা ভীষণ ঝামেলা আর অস্বস্তির একটা কাজ। ত্বক এবং পশমের ধরণ না বুঝে হেয়ার রিমুভালের ভূল পদ্ধতি ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে পারে ত্বকের। জেনে নিন আপনার জন্য সবচাইতে ভালো হতে পারে কোন হেয়ার রিমুভাল পদ্ধতি।

১) ওয়াক্সিং
– শরীরের যে কোনো জায়গায় ওয়াক্সিং করা যেতে পারে। ভুরু থেকে শুরু করে পা পর্যন্ত সবই ওয়াক্স করা যায়। এমনকি নারী পুরুষ উভয়েই ওয়াক্সিং করতে পারেন।
– ওয়াক্সিং করতে গেলে একটু ব্যাথা লাগে। এই ব্যাথা সহ্য করতে পারলে ওয়াক্সিং করা কোনো ব্যাপারই না।
– স্পর্শকাতর ত্বক, একজিমা অথবা রোজেশি রোগ যাদের আছে, ওয়াক্সিং করলে তাদের কষ্ট হতে পারে। যাদের ত্বকের ভেতর দিকে পশম উঠে র্যারশের মতো হয়ে থাকে তাদের জন্যেও ওয়াক্সিং না করাই ভালো।
– আইসোট্রেটিনোইন নামের ওষুধ যদি বিগত ৬ মাসের মধ্যে নিয়ে থাকেন তবে ওয়াক্সিং থেকে বিরত থাকাই ভালো।

২) সুগারিং
– সুগারিং অনেকটা ওয়াক্সিং এর মতোই। তবে এক্ষেত্রে ওয়াক্সিং ক্রিম এর বদলে চিনির একটি মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়। ওয়াক্সিং এর মতোই শরীরের সর্বত্র ব্যবহার করা যায়।
– যাদের ত্বক স্পর্শকাতর তাদের জন্য এটা ভালো। কারণ ওয়াক্সিং এর মতো এটা ত্বককে কষ্ট দেয় না। শুধু পশম টেনে তুলে ফেলে।
– ওয়াক্সিং করলে মিহি পশম উঠে আসে যেটা সুগারিং এ হয় না। সুতরাং বেশি মিহি পশমের জন্য সুগারিং করে লাভ নেই।
– ওয়াক্সিং মিক্সচার বেশিক্ষণ ত্বকে রাখলে ত্বকের ক্ষতি হয় কিন্তু সুগারিং এর ক্ষেত্রে একটু দেরি হলেও সমস্যা নেই।

৩) থ্রেডিং
– মুখে, বিশেষ করে আপার/লোয়ার লিপ এবং ভ্রু তোলার জন্য থ্রেডিং ভালো।
– থ্রেডিং করলে কম-বেশি ব্যাথা লাগবেই, এটা চিন্তা করে নিয়ে থ্রেডিং করান।
– যাদের মুখে ব্রণের উপদ্রব বেশি তাদের থ্রেডিং না করানোই উচিৎ। কারণ এতে ব্রণ ফেটে বাজে অবস্থা হতে পারে।
– অনেক সময়ে যে ব্যক্তি থ্রেডিং করেন তার মুখে ধরা থাকে সুতোর এক প্রান্ত। লক্ষ্য রাখুন এই ভেজা অংশটি যেন আপনার ত্বকে না লাগে। কারণ এতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।

৪) লেজার
– চোখের আশেপাশে লেজার ব্যবহার না করাই ভালো। এ ছাড়া শরীরের অন্যত্র ব্যবহার করতে পারেন।
– যাদের ত্বক ফর্সা অথচ পশম বেশ গাড়, তারা এটা ব্যবহার করলে সবচাইতে ভালো ফল পাবেন।
– যাদের পশম মিহি, তাদের এই পদ্ধতি ব্যবহার না করাই ভালো।
– ভালো কোনো ডার্মাটোলজিস্ট দিয়ে লেজার করাতে হবে। নইলে আপনার ত্বক পুড়ে যেতে পারে।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।