বলিরেখা যখন দুশ্চিন্তার কারণ!

বলিরেখা দূরপ্রথমে জেনে নিই , বলিরেখা কেন হয়। আমাদের ত্বকের তিনটি স্তর থাকে। বাইরের এপিডরমিস, মাঝের ত্বক ডরমিস ও সবশেষের ত্বক সাব-ক্যুটেনিয়াস নামে পরিচিত। ডরমিসে এক স্পেশাল প্রোটিন থাকে যা বলিরেখা হওয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করে। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি ক্ষয় হতে থাকে। এর কারণেই ত্বকের উপরের অংশ পাতলা হয়ে যায় এবং ভিতরের দিকে ধসে যেতে থাকে। এর কারণে চেহারা এবং গলার ত্বকের উপরে হাল্কা লাইনের মতো দাগ দেখা যায়। এই দাগই রিঙ্কেল বা বলি রেখায় পরিনত হয়। যদি আপনার বয়স ৩৫ পেরিয়ে গিয়ে থাকে তাহলে আজই আপনার ত্বকের যত্ন নিতে শুরু করুন। কারণ, আপনার ত্বকের বলিরেখা অচিরেই আপনার দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

বলিরেখা প্রতিরোধের সহজ কিছু উপায়

১।  রোদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। যখন ঘরের বাইরে যাবেন ভালো সানস্ক্রিন ক্রিম লাগিয়ে নিন।

২।  প্রচুর পানি পান করুন। পরিমান মতো খাবার গ্রহন করুন।

৩।  অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না। মনকে শান্ত রাখুন।

৪।  পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাতে হবে। কারণ ঘুম না হলে শরীরে দুর্বলতা থাকে যার প্রভাব চেহারায় সবথেকে বেশি পড়ে।

৫।  যতটা সম্ভব ধুমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।

৬।  অপরিমিত পরিমানে চা কিংবা কফি পান করবেন না। কারণ  এইসব লিকুইডে প্রচুর পরিমানে নিকোটিন ও ক্যাফেইন থাকে যা আপনার চেহারার উজ্জলতা নষ্ট করে দিতে পারে।

বলিরেখা দূরীকরণে প্যাক

  • বাঁধা কপির রস, ১ চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। দারুন কাজ হবে।
  • প্রতিদিন শোয়ার সময় ১ চামচ আমন্ড অয়েল চোখের পাতায় এবং চোখের চারপাশে ম্যাসাজ করুন।
  • ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পর, তুলার প্যাড শসার রসে ডুবিয়ে ১০ মিনিট চোখের পাতার উপর দিয়ে রিল্যাক্স করুন।
  • অ্যাপল সিডার ভিনেগার ও অরেঞ্জ জুস মিশিয়ে টনিক হিসেবে স্টোর করতে পারেন। নিয়মিত লাগান বয়সের ছাপ কমে যাবে।
  • রাতে শোবার আগে অ্যালভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
  • টকদই , ক্রিম, ওটমিল, লেবুর রস মশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন পরে ধুয়ে ফেলুন ত্বক নরম হবে।
  • ক্লিঞ্জিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং এর প্রাথমিক  নিয়ম মেনে চলার চেস্টা করুন।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।