বিয়ের স্ট্রেস বা মানসিক চাপ দূর করবেন যে ৫ টি উপায়ে

বিয়ের স্ট্রেস বা মানসিক চাপ দূরবিয়ের সময় একজন নারী যেরকম প্রচন্ড স্ট্রেসের মধ্য দিয়ে যান, তেমনি স্ট্রেস অনুভব করেন পুরুষটিও। বিয়ে জীবনের একটি বড় সিদ্ধান্ত। আমাদের উপমহাদেশে তো বিয়ে একজন মানুষের জীবন বদলে দেয় আপাদমস্তক। বিয়ে মানেই পুরোনো জীবনকে ছাড়া, বিয়ে মানেই নতুন কিছু মানুষের সাথে মানিয়ে চলা শুরু, বিয়ে সিদ্ধান্তগুলো আর একা নিতে না পারা। নানান চিন্তা যেমন বয়ে আনে বিয়ে তেমনি জীবনকে সুখময়ও করে এই বিয়েই। বিয়ের সময়ের মানসিক চাপগুলোকে নাহয় ভুলে যাই সেই সুখের অপেক্ষা নিয়ে!

১। প্রয়োজনের দিকে নজর দিন
বিয়েতে আয়োজন থাকে নানান রকম। বর বা কনে হওয়ার কারণে সেই সব আয়োজনের ঝক্কি থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় নেই আজকের দিনে। বেশির ভাগ বিয়েতেই বড় কনে উভয়েই প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকে অনুষ্ঠানগুলোর তত্ত্বাবধানের সাথে। সম্ভব হলে, ছোটখাট কাজগুলো আর কাওকে দিয়ে করান। অধিক প্রয়োজনের কাজগুলোর দিকে নজর দিন।

২। বন্ধুদের কাজে লাগান
বিয়ের অনুষ্ঠানকে নাচে গানে রমরমা করতে যেমন বন্ধুরা কাজে লাগে তেমনি আয়োজনের মূল কাজেও হাত লাগাতে পারে তারা। বন্ধুদের সাহায্য নিন। হলুদের স্টেজ করা, বিয়ের ভ্যানু বুক করার মত এমন অনেক কাজ আছে যা আপনি নিজে গিয়ে না করলেও চলে। আপনার বন্ধুরা ঠিক আপনার পছন্দমত করে দিবে।

৩। নিজের স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দিন
অপরপক্ষের অনেক চাহিদা থাকতে পারে, থাকবে। সব যে আপনাকে মেনে নিতে হবে তা কিন্তু নয়। বরং নিজেই নিজের স্বাচ্ছন্দ্য খুঁজে নিন। যা আপনার করতে ভাল লাগে তাই করুন। বিয়ের পোশাক বেশি ভারী হয়ে গেলে আপনার এতটা সময় পড়ে থাকতে কষ্ট হবে। তাহলে হালকা ওজনে জমকালো শাড়ি বেছে নিন। ছেলেরা পড়তে পারেন পাঞ্জাবি, ভারী শেরওয়ানির বদলে। আবার আপনি যদি শারীরিক কোন অস্বস্তিতে ভোগেন যেমন বেশি মোটা লাগছে বা মুখে ব্রণ উঠেছে শর্টকাট কোন ইয়োগা ক্লাস জয়েন করে ফেলুন বিয়ের ৭ দিন আগে। মোট কথা, যেভাবে ভাল লাগবে বলে আপনি মনে করেন, সেভাবে করুন।

৪। স্ট্রেস ভাগাভাগি করুন
বিয়ে নিয়ে আপনার মধ্যে বাড়তে থাকা স্ট্রেস ভাগাভাগি করে নিন হবু জীবনসঙ্গীর সাথে। তাকেও জানান কেমন বোধ করছেন আপনি। তাঁর কোথাও শুনুন। প্রেমের বিয়ে হলে বিষয়টি সহজ, তবে এরেঞ্জ বিয়েতেও এখন কিন্তু কথা বলেন বর-কনে বিয়ের বেশ আগে থেকেই। তাই স্ট্রেস ভাগাভাগি করে বাড়িয়ে নিতে পারেন বন্ধুত্বও। আরেকটি যে সুবিধা পাবেন এতে তাহল, শ্বশুড় পক্ষ থেকে আসা নানা আবদারের স্ট্রেসকে কীভাবে সামলাবেন তাতে সহযোগিতা করতে পারবেন একে অপরকে।

৫। সুন্দর সময়ের কথা ভাবুন
বিয়ের পর যে পরিবর্তন হবে তা যে সবসময় নেতিবাচকই হবে তা তো নয়। সবচেয়ে ভাল হয় আগে থেকেই অপর পরিবারের সবার সাথে বন্ধুত্ব করে ফেলুন। তাদের ভাল-মন্দের খোঁজ নিন। আপনার খোঁজ নিতেও উৎসাহিত করুন। তাহলে মানিয়ে নিতে কষ্ট কম হবে আপনার। সুন্দর সময়ের কথা ভাবুন। নতুন সঙ্গীর সাথে মধুচন্দ্রিমার প্লানটা করে ফেলুন। একে অপরকে জানার জন্য একসাথে ভাল সময় কাটানোর বিকল্প নেই। সেই ভাবনাও আপনার স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করবে।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।