বাদামের জাদুকরি গুণাগুণ

হাতের কাছে বাদামের কৌটা থাকা চাই-ই-চাই। কুড়মুড়ে আর মজাদার স্বাদের জন্য  অতুলনীয় হলেও ভিন্ন ভিন্ন বাদামের রয়েছে দারুণ সব পুষ্টি গুণ। কোন বাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে, কোন বাদাম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় আবার কিছু বাদাম রয়েছে যা ক্যান্সারের মতো রোগের সাথে লড়াইয়ে সাহায্য করে। আর এই আজকের লেখনীতে আমরা জানব, কোন কোন বাদামে কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে।

আমন্ড বা কাঠবাদাম

যদি দুধ খেতে ভালো না লাগে তবে প্রতিদিন ২-৩টি আমন্ড কাঠ বাদাম চিবিয়ে নিন। ক্যালসিয়ামে পরিপূর্ণ এই বাদাম দুধের পুষ্টি যোগাবে এবং হাড় গঠনে সাহায্য করবে। কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকায় ত্বকেও ইফেক্ট ফেলবে। স্কিনে আলাদা গ্লো চলে আসবে।

কেশ নাট কাজুবাদাম

কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন এবং জিংক থাকে। যারা ডায়েট করছেন তাদের জন্য দারুন এক উৎস হতে পারে পুষ্টিগুণে ভরপুর এই কাজু বাদাম। শুধু তাই নয়, স্মৃতিশক্তি প্রখর করতেও এই কাজুবাদামের জুড়ি নেই। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম বার্ধক্যজনিত স্মৃতিশক্তি লোপ থেকে বাঁচায়।

চেস নাট 

সব বাদামের মধ্যে এই চেসনাটে ফ্যাট এবং ক্যালোরির পরিমাণ সব থেকে কম। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন সি রয়েছে। চেসনাটে ফ্যাটের পরিমাণ অন্যান্য বাদামের তুলনায় কম থাকায় প্রতিদিন একটি করে চেস নাট খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে বাড়তি ওজন গেইন করা থেকে বিরত থাকতে পারবেন।

হ্যাজেল নাট

আপনার যদি homocysteine এর লেভেল হাই হয়ে থাকে। তবে হ্যাজেল নাট এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। হ্যাজেল নাটে থাকা ফলেট মুলত হার্টের homocysteine এর লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

পেস্তা বাদাম

পেস্তা বাদামে থাকা বি৬ শরীরের হরমনকে ব্যালেন্সড রাখতে সাহায্য করে। আবার যারা অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এই পেস্তা বাদাম অনেক উপকারি। এতে থাকা lutein এবং zeaxanthin এই দুটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান চোখকে প্রটেক্ট করে।

ওয়ালনাট বা আখরোট 

ওয়াল নাট বা আখরোটে থাকা সুপার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আখরোটে থাকা মোনো আন সেচুরেটেড, হার্ট ফ্রেন্ডলি ফ্যাট ব্লাডের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এতে প্রচুর পরিমাণে omega-3 রয়েছে যা একটি মাছের বিকল্প হিসেবেও কাজ করতে সক্ষম।

 

ব্রাজিল নাট

দেখতে অনেকটা রসুনের কোয়ার মতো গোটা গোটা এই বাদাম খনিজ সেলেনিয়ামের একটি অন্যতম উৎস।  থাইরয়েড হরমোনকে সথিকভাবে ফাংশন করতে সাহায্য করে। যাদের থাইরয়েড হরমোনের লেভেল কম থাকে তাদের জন্য বেশ উপকারী এই ব্রাজিল নাট। প্রতিদিন ৩ বা ৪ টি ব্রাজিল নাট খান থাইরয়েডের লেভেল কমে থাকলে ব্যালেন্সে চলে আসবে।

লেখাটি পছন্দ হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।