শীতে ঠোঁটের আদর-যত্ন

আর কিছুতে জানান না দিলেও ঠোঁট ভালোভাবেই জানান দিচ্ছে শীত আসছে। হেমন্তের বাতাসে টান ধরেছে ঠোঁটের আদ্রতায়। সময়মতো খেয়াল না করলে ঠোঁট ফেটে চামড়া ওঠা, রক্ত পড়া, কথা বলতে বা  হাসতে সমস্যা  হওয়া, ফুসকুড়ি হওয়াসহ দেখতেও মন্দ লাগে। তাই শীতেই এই মৌসুমে খুবই যত্নে রাখতে হয় অতি আদরের ঠোঁটকে। তাই কোনো রকম ঝক্কি ঝামেলায় না গিয়ে আগেভাগে একটু  সচেতন হলে সহজে ঠেকাতে পারবেন ঠোঁট ফাটার সমস্যা।

ঠোঁটের আদ্রতা ধরে রাখতে অভ্যাসবশত বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না। এতে ঠোঁট আরও শুকিয়ে যায়। এর বদলে সঙ্গে একটা লিপ-বাম বা লিপ-জেল রাখতে পারেন। ঠোঁট শুকিয়ে গেলেই একটু আদ্র করে নিন। হাত-মুখ ধোয়ার সময় বা দাঁত ব্রাশ করার সময় কোনোভাবেই ঠোঁটে জোরে ঘষা-মাজা করা যাবে না। এ সময় নরম ঠোঁটে আঁচড় পড়লে তা ভোগাতে পারে। এ ছাড়া শীতকালে ম্যাট ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা, শীতে ম্যাট লিপস্টিকে ঠোঁট দুখানা আরও প্রাণহীন মনে হতে পারে। শীতে গ্লসি লিপস্টিকই ঠোঁট সজীব রাখবে এবং এতে আপনার সাজও প্রাণবন্ত লাগবে।

শীতে ঠোঁটের যত্নে ঘরে বসে নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন সাশ্রয়ী লিপ-প্যাক। কিছু গোলাপের পাপড়ি বাটা আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এটা  আলতো করে ওপরের ও নিচের ঠোঁটে মাখুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। মধু ঠোঁটকে পুষ্টি জোগাবে এবং গোলাপ পাপড়ির রস কোমল ঠোঁট দুটোকে গোলাপি আভায় রাঙিয়ে তুলবে।

খাবার দাবারের ব্যাপারেও বেশ সচেতন থাকা জরুরি। মৌসুমী যত সবজি আছে তার সবগুলোয় পর্যায়ক্রমে খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভিটামিন সি যুক্ত ফলগুলো আপনার ত্বক বা ঠোঁটের সুরক্ষায় কাজ করবে। স্নেহ জাতীয় পদার্থও দারুণ উপকারী ভূমিকা পালন করে। তাই শীতের সকালে ঘি দিয়ে ভর্তার সঙ্গে ভাপ ওড়া গরম ভাত খেতে পারেন অনায়াসে।

শীতের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁট ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। এবার ঠোঁটে ব্যাবহার উপযোগী পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে চলে যান ঘুমের রাজ্যে। এর পরেও যদি ঠোঁটে কোনো ধরণের সমস্যা দেখা দেয় অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

লেখাটি পছন্দ হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।