আমরা সবাই জানি ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সকলের এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু তারপরেও অনেক ধূমপায়ীদের জন্য ধূমপান ছেড়ে দেওয়া খুব কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। নিকোটিন আমাদের দেহের ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে দেয় এবং ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করে। ধূমপান করা ছেড়ে নিকোটিনের প্রভাব অনেক বছর পর্যন্ত দেহে রয়ে যায়। কিন্তু সুস্থ জীবনযাপন ও খাদ্যভাস দেহ থেকে নিকোটিন বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই কয়েক ধরণের খাবার সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা উচিত যেগুলো শরীর থেকে নিকোটিন দূর করতে সহায়তা করে।

ব্রকলি
ব্রকলিতে আছে ভিটামিন-সি ও বি৫। ধূমপান আমাদের দেহের ভিটামিন-সি এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই দেহ থেকে নিকোটিন বের করে দিতে বেশি করে ব্রকলি খাওয়া উচিৎ।
কমলা
কমলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কমলা রাখুন। কারণ, কমলা দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও নিকোটিন বের করে দেয়।
গাজর
আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জানা উচিৎ যে, ধূমপান করার পর নিকোটিন এর প্রভাব আমাদের দেহে তিন দিন পর্যন্ত বিস্তার করে। তাছাড়া নিকোটিন দেহের ত্বকেরও অনেক ক্ষতি করে থাকে। তাই গাজর রাখুন খাদ্য তালিকায়। গাজর ত্বকের জন্য খুব উপকারি ও এতে আছে ভিটামিন এ, বি, সি এবং কে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, গাজরের ভিটামিন দেহ থেকে নিকোটিন বের করে দিতে সহায়তা করে।
পালং শাক
শাকসবজির মধ্যে পালংশাক সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। কারণ, এতে শুধু ভিটামিনই নয় আরো আছে ফলিক এসিড। যা দেহের সুস্থতায় অনেক উপকারি।
কিউই ফল
এ ফলটির মধ্যে এমন কিছু ভিটামিন আছে যা দেহ থেকে নিকোটিন বের করে দেয়। এতে আছে ভিটামিন এ, সি ও ই। কিন্তু ধূমপানের ফলে এ ভিটামিনের মাত্রা দেহ থেকে কমে যায়। তাই ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন।
পানি
ধূমপানের কারণে আমাদের দেহ শুষ্ক হয়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, পানি খাওয়ার সুঅভ্যাস গড়ে তুললে ধূমপান ত্যাগ করা সম্ভব ও প্রচুর পানি পানের মাধ্যমে দেহ থেকে নিকোটিন বেড়িয়ে যায়।

 

লেখাটি পছন্দ হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।