শীতকালে হাঁসের তিন পদ

হাঁসের মাংস শক্ত ও রান্না করতে সময় লাগে বলে অনেকে হাঁসের মাংস রান্না করতে চান না। কিন্তু হাঁসের মাংস ভুনা খেতে শীতকালে ভীষণ মজা। তাই একটু সময় নিয়ে রান্না করে ফেলুন সুস্বাদু এই তিন পদ।

হাঁসের ডিমের কাশ্মীরি কোরমা

উপকরণঃ

হাঁসের ডিম ৬টি,হলুদ গুঁড়া ১চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১চা চামচ, টক দই ১/৪কাপ, মিষ্টি দই ৩টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১/২কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২টেবিল চামচ, আদা বাটা ২চা চামচ, রসুন বাটা ১চা চামচ, বাদাম বাটা ১টেবিল চামচ, কিসমিস বাটা ১টেবিল চামচ, পোস্ত বাটা ১চা চামচ, গরম মশলা গুঁড়া ১চা চামচ, দুধ ১কাপ, লেবুর রস ১টেবিল চামচ, এলাচ ৩টি, তেজপাতা ২টি, দারচিনি ১টুকরা, কাশ্মীরি মরিচ গুড়া ১চা চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১/৪কাপ, মাওয়া ৩টেবিল চামচ, কাচামরিচ ৫/৬টি,চিনি ১/২চা চামচ, কেওড়া জল ১চা চামচ, জাফরান ১চিমটি, তেল ১/৪কাপ, ঘি ১/৪কাপ ও লবণ স্বাদমত।

প্রণালীঃ

হাঁসের ডিম সিদ্ধ করে ছুরি দিয়ে ডিমের গায়ে চিরে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া লবণ দিয়ে ঘি ও তেলে ভজে তুলে রাখুন। অল্প দুধে জাফরান ও কেওড়া জল মিশিয়ে রাখুন। একটি বাটিতে টক দই ও মিষ্টি দই নিয়ে তাতে ময়দা দিয়ে ফেটে একে একে বাদাম বাটা, পোস্ত বাটা, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া,মরিচ গুঁড়া, গরম মশলা গুঁড়া, রসুন বাটা, আদা বাটা, পেঁয়াজ বাটা, কিসমিস বাটা ও অল্প পানি দিয়ে মিশিয়ে রাখুন। দুধের মধে লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে নিন। কড়াইতে তেল ও ঘি গরম করে পেঁয়াজ কুচি বাদামী করে ভেজে মশলার মিশ্রন দিয়ে কষিয়ে ডিম দিন ডিম কষানো হলে দুধ দিয়ে ১০মিনিট ঢেকে রাখুন। পেঁয়াজ বেরেস্তা, চিনি, কাচামরিচ দিয়ে আরো ৫মিনিট ঢেকে রাখুন।

এবার জাফরান ও মাওয়া দিয়ে নেড়ে নামিয়ে বেরেস্তা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।

হাঁসের মালাইকারি

উপকরণ:

হাঁস ২টি, নারকেলের দুধ ৬ কাপ, টক দই ১ কাপ, মিষ্টি দই সিকি কাপ, গরুর কাঁচা দুধ ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, আদা বাটা ৪ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, পোস্তদানাবাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ৮ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া আধা চা-চামচ, দারচিনি ৬ টুকরা, এলাচ ৬টি, লবঙ্গ ৬টি, তেজপাতা ৪টি, ঘি আধা কাপ, তেল পৌনে এক কাপ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, বেরেস্তা আধা কাপ।

প্রণালি:

হাঁস পরিষ্কার করে চামড়াসহ টুকরাগুলো ধুয়ে পানি ঝরিয়ে দুধ, হলুদ মেখে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। তেল ও ঘি গরম করে তাতে পেঁয়াজ বাদামি রঙে ভেজে সব বাটা মসলা দিয়ে কষিয়ে মাংস দিয়ে কষাতে হবে। লবণ, দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, তেজপাতা, মরিচ, গোলমরিচ, দই দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ৫ কাপ নারকেলের দুধ ও ২ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। মাংস সেদ্ধ না হলে আরও পানি দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল কমে গেলে এক কাপ নারকেলের দুধ, বেরেস্তা, গরম মসলার গুঁড়া, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া, কাঁচা মরিচ দিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রেখে তেলের ওপর এলে মালাই দিয়ে নামাতে হবে। হাঁসের মাংসের মালাইকারি ছিটরুটি, নানরুটি, পরোটা, ভাত অথবা ভুনা খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

লেবু-নারকেলে হাঁস

উপকরণ:

হাঁসের মাংস আট টুকরা, নারকেলের দুধ ২ কাপ, নারকেল ফালি আধা কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, লেবুর খোসা ১ চা-চামচ, (কুচি করা), আদা, রসুন বাটা ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ ১ কাপ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া সামান্য, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, চিনি ২ চা-চামচ, দারচিনি ২ টুকরা, এলাচ ২টি, লবণ স্বাদমতো, তেল আধা কাপ।

প্রণালী:

প্রথমে হাঁস ভালো করে পরিষ্কার এবং টুকরা করে ধুয়ে নিতে হবে। সসপ্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি একটু নরম করে হাঁসের মাংস ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে আদা-রসুনবাটা, হলুদ-মরিচের গুঁড়া, লবণ, দারচিনি, এলাচ ও নারকেলের ফালি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। কষা হলে নারকেলের দুধ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে ৫ মিনিট। মাংস সেদ্ধ হলে লেবুর রস, লেবুর খোসা, কাঁচা মরিচ, চিনি এবং সবশেষে গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করা যায় লেবু-নারকেলের হাঁস।

লেখাটি পছন্দ হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।