গর্ভধারনের সময় নারীর দেহে যে ৭টি লক্ষন দেখা দেয়
গর্ভধারণ যে কোন নারীর জন্যেই নিঃসন্দেহে আনন্দদায়ক একটি বিষয়। নিজ দেহের ভেতরে একটি নতুন প্রাণের আগমণের শব্দ শুনতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু অনেক সময় কোন কোন নারী গর্ভধারণের বেশ কয়েক মাস বুঝেই উঠতে পারেন না যে তিনি গর্ভবতী কিনা। যেহেতু বাচ্চার নিরাপত্তার স্বার্থে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস অত্যন্ত সতর্কতার সাথে থাকা প্রয়োজন তাই কোন নারী গর্ভবতী কিনা একটু সতর্ক হয়ে কয়েকটি লক্ষণ মিলিয়ে নিলেই কিন্তু তিনি ঘরে বসেই নিশ্চিত হতে পারেন। প্রেগনেন্সি বোঝার জন্য আপনাদের জন্য রইল ৭টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস।
১. পিরিয়ড কি নির্দিষ্ট সময়ে হয়েছে?
প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে নারীদের পিরিয়ড হয়ে থাকে (সাধারণত ২৮ দিন পর পর)। সেক্ষেত্রে, খেয়াল রাখুন আপনার পিরিয়ড ঠিক সময়ে হচ্ছে কিনা। যদি ২৮ দিন পর পিরিয়ড না হয়, তাহলে হয়তো আপনি গর্ভধারণ করেছেন। অন্যান্য লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিতে পারেন তখন।
প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে নারীদের পিরিয়ড হয়ে থাকে (সাধারণত ২৮ দিন পর পর)। সেক্ষেত্রে, খেয়াল রাখুন আপনার পিরিয়ড ঠিক সময়ে হচ্ছে কিনা। যদি ২৮ দিন পর পিরিয়ড না হয়, তাহলে হয়তো আপনি গর্ভধারণ করেছেন। অন্যান্য লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিতে পারেন তখন।
২. সামান্য রক্তপাত
পিরিয়ডের সময় যদি স্বাভাবিক রক্তপাতের বদলে খুব সামান্য পরিমাণ রক্তপাত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়,এই চিহ্নটিকে অবহেলা করবেন না। এটি হতে পারে গর্ভধারণের লক্ষণ।
পিরিয়ডের সময় যদি স্বাভাবিক রক্তপাতের বদলে খুব সামান্য পরিমাণ রক্তপাত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়,এই চিহ্নটিকে অবহেলা করবেন না। এটি হতে পারে গর্ভধারণের লক্ষণ।
৩. মাথা ঘোরা, বমি ও হজমে সমস্যা
সাধারণত সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি প্রচন্ড দূর্বল, মাথা ঘোরা ও বিষন্ন লাগে এবং সেই সাথে প্রায়ই হজমে সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। হতে পারে, আপনার গর্ভধারনের অন্যতম লক্ষণ এটি।
সাধারণত সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি প্রচন্ড দূর্বল, মাথা ঘোরা ও বিষন্ন লাগে এবং সেই সাথে প্রায়ই হজমে সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। হতে পারে, আপনার গর্ভধারনের অন্যতম লক্ষণ এটি।
৪. ক্রমাগত ক্লান্তি
যদি হঠাৎ করে সারাক্ষণ নিজেকে ক্লান্ত মনে হয় এবং সময়ে অসময়ে কেবল ঘুমোতে ইচ্ছে করে, যা আপনার স্বাভাবিক রুটিনের বাইরে, অন্যান্য লক্ষণগুলোর সাথে এই লক্ষণটি জানিয়ে দেয় আপনি হয়তো গর্ভধারণ করেছেন।
৫. বার বার প্রস্রাবের চাপ
খেয়াল করুন, আপনি কি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশীবার, বার বার প্রস্রাবের চাপ অনুভব করছেন? গর্ভধারণের অন্যতম লক্ষণ এটি।
৬. স্তনে পরিবর্তন
গর্ভধারণ করার ফলে আপনার স্তনের আকৃতি কিছুটা বৃদ্ধি পাবে ও নিপল গাঢ় রঙ ধারণ করেছে কিনা খেয়াল রাখুন।
গর্ভধারণ করার ফলে আপনার স্তনের আকৃতি কিছুটা বৃদ্ধি পাবে ও নিপল গাঢ় রঙ ধারণ করেছে কিনা খেয়াল রাখুন।
৭. নিশ্চিত হবার জন্যে প্রেগন্যান্সি স্ট্রিপ
সাধারণত ঔষধের দোকানগুলোতেই প্রেগন্যন্সি পরীক্ষার স্ট্রিপ পাওয়া যায়। প্রথম পিরিয়ডের ডেট মিস করার পরদিনই এটি দিয়ে টেস্ট করুন। সাধারণত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম প্রস্রাবে স্ট্রিপটি ডুবিয়ে রেখে পরীক্ষাটি করা সম্ভব। বিস্তারিত নির্দেশনা প্যাকেটেই লেখা থাকে। সাধারনত প্রথম ১ মাসেই এটি ভালো নির্ণয়ের কাজ দেয়। আর এ থেকে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনি গর্ভধারণ করেছেন কিনা। তবে যদি ফলাফল নেগেটিভ হয় আর সেই সাথে আপনার পিরিয়ড বন্ধ থাকে, তাহলে কিছুদিন পর আবারও পরীক্ষা করুন।
সাধারণত ঔষধের দোকানগুলোতেই প্রেগন্যন্সি পরীক্ষার স্ট্রিপ পাওয়া যায়। প্রথম পিরিয়ডের ডেট মিস করার পরদিনই এটি দিয়ে টেস্ট করুন। সাধারণত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম প্রস্রাবে স্ট্রিপটি ডুবিয়ে রেখে পরীক্ষাটি করা সম্ভব। বিস্তারিত নির্দেশনা প্যাকেটেই লেখা থাকে। সাধারনত প্রথম ১ মাসেই এটি ভালো নির্ণয়ের কাজ দেয়। আর এ থেকে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনি গর্ভধারণ করেছেন কিনা। তবে যদি ফলাফল নেগেটিভ হয় আর সেই সাথে আপনার পিরিয়ড বন্ধ থাকে, তাহলে কিছুদিন পর আবারও পরীক্ষা করুন।
সবশেষে, আপনি যদি গর্ভধারণ করে থাকেন, তাহলে দেরী না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন সামনের দিনগুলোর জন্যে। আপনার ও আপনার অনাগত সন্তানের সুরক্ষার জন্যে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন। সুস্থ থাকুন।