মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ঔষধ খেলে কী হতে পারে?

কোন ঔষধ কেনার সময় মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেখে নেই আমরা। যদিও জ্বর, কাশী বা ব্যথার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াও (OTC) কিছু ঔষধ কেনা হয় যা এক বছর বা দুই বছর পর্যন্ত ব্যবহার হয় না। সিরাপ বা কোন ট্যাবলেট খাওয়ার পূর্বে বেশিরভাগ মানুষই এর এক্সপায়ারি ডেট দেখে নেন। কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ খেলে কী হবে সেটাও নিশ্চয়ই অনেকে ভেবে থাকেন চলুন তাহলে জেনে নিই মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ খেলে কী হয়।

 OTC হোক বা চিকিৎসকের পরামর্শেই হোক প্রতিটা ঔষধেরই স্থায়িত্বকাল আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, যদি কোন ঔষধ ১ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয় তাহলে এর মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেয়া হয় ৬ মাস পর্যন্ত। তাই আপনি যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া ঔষধ গ্রহণ করেন তাহলে কোন স্বাস্থ্যগত জটিলতা সৃষ্টি করবেনা যেহেতু এর স্থায়িত্ব আছে। ঔষধের ধরণ ও উৎপাদনের উপর নির্ভর করে ঔষধ দুই বছর, তিন বছর বা পাঁচ বছর পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণের ঔষধ সেবন করলে এর কার্যকারিতা পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। এর কারণ সময়ের সাথে সাথে ঔষধের সক্রিয় উপাদানগুলোর রাসায়নিক পরিবর্তন হতে পারে, যা ক্ষতিকর হতেও পারে বা নাও হতে পারে।

ঔষধের দোকান থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণের ঔষধ কেনার সম্ভাবনা কম। কারণ ঔষধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে তা কোম্পানিকে ফিরিয়ে দেয়া হয় এবং তার বদলে নতুন ঔষধ আনা হয়। খুব তাড়াহুড়া করে ঔষধ গ্রহণ করলে এই ভুল হয়ে যেতেও পারে। অল্প মাত্রায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সেবন করে ফেললে কোন সমস্যা হয় না। কিছু ক্ষেত্রে মাথাব্যথা, বমি বমিভাব, বমি হওয়া এবং পাকস্থলীর ব্যথা হওয়ার মত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়া খুব সাধারণ বিষয়।

মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ খেয়ে ফেলার পর যা করবেন

ভুলবশত বা না জেনে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ খেয়ে ফেললে এর থেকে কোন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা  হতে পারে কিনা তা চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জেনে নিন। চিকিৎসক আপনার রক্ত পরীক্ষা করতে নির্দেশনা দেবেন। এছাড়াও ঔষধের ধরনের উপর নির্ভর করে যকৃৎ ও কিডনির উপর কোন প্রভাব পড়েছে কিনা তা জানার জন্য কিডনি ও লিভার ফাংশন টেস্ট ও করানোর নির্দেশনাও দিতে পারেন। তাই সব সময় ঔষধ গ্রহণের পূর্বে এর মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেখে নিতে ভুলবেন না।

সূত্র দ্যা হেলথ সাইট