সুস্থ থাকতে প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট হাসুন

সাজ সজ্জা

আমরা সকলেই হাসতে বেশ পছন্দ করি। হাসি সুখের একটি ভাব প্রকাশ করে। কিন্তু শুধুমাত্র সুখে থাকলেই হাসতে পারবেন, তা না হলে মুখে হাসি আনবেন না- এমন কিন্তু মোটেও নয়। বরং মজার বিষয়টা হচ্ছে, দুঃখে থাকলেও কোনো বাহানায় হাসার চেষ্টা করুন। এতে দুঃখ ও মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায়। হাসলে ‘এনডোরফিন’ নিঃসরণ হয়, যা আপনার মস্তিষ্কে জাগায় ভাল লাগার অনুভূতি। হাসিখুশি মানুষ সুস্থ থাকে দীর্ঘদিন। সুস্থ থাকতে চাইলে দিনে অন্তত ১৫ মিনিটের মনখোলা হাসি খুব বেশি জরুরী। কিন্তু কীভাবে? চলুন আজকে দেখে নেয়া যাক দৈনিক কমপক্ষে ১৫ মিনিটের প্রাণখোলা হাসি যেভাবে সুস্থ রাখে আপনাকে তার একটি তালিকা।

হাসি দেহের ইমিউন সিস্টেম (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) উন্নত করে
নেতিবাচক মনোভাব এবং মানসিক চাপের কারণে দেহে একধরণের কেমিক্যাল রিঅ্যাকশন ঘটায় যা আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে তোলে এবং আমরা অসুস্থবোধ করি। কিন্তু প্রাণখোলা হাসি আমাদের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে তোলে। এতে করে আমাদের দেহ রোগ প্রতিরোধ করতে পারে এবং আমরা সুস্থ থাকি।

হাসলে দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়
আমরা যখন প্রাণখোলা হাসি হেসে থাকি তখন আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এতে দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে এবং মস্তিষ্কে ভালো ভাবে রক্ত সঞ্চালন হয় যা প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সচল এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

হাসলে ক্যালোরি ক্ষয় হয়
আমরা দেহের ক্যালোরি ক্ষয়ের জন্য কতো কিছুই না করে থাকি। কিন্তু আমরা জানিও না সারাদিনের প্রাণখোলা হাসি আমাদের ক্যালোরি ক্ষয় করতে কতোটা সহায়ক। মাত্র ১৫ মিনিটের প্রাণ খোলা হাসি আমাদের ২০-৪০ ক্যালোরি পর্যন্ত ক্ষয় করে।

মানসিক চাপ মুক্ত করে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায় হাসি
মানসিক চাপ আমাদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। এটি আমাদের আত্মবিশ্বাসও কমিয়ে দেয়। কিন্তু হাসলে ‘এনডোরফিন’ নামক হরমোনের নিঃসরণ হয়, যা আপনার মস্তিষ্কে জাগায় ভাল লাগার অনুভূতি। এতে মানসিক চাপ দূর হয় এবং আমাদের হারানো আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসে। সুতরাং প্রাণখুলে হাসুন।

 

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।