রোদেপোড়া রোধে ঘরোয়া কিছু মাস্ক – ১

‘সান ট্যান’ বা রোদেপোড়ার কারণে ব্রণ, বলিরেখা, কালচে দাগ, অসময়ে বয়সের ছাপ পড়া ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে।
এমনকি কখনও কখনও এর কারণে ত্বকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
আজ রোদেপোড়া ত্বকের যত্নে ঘরোয়া কিছু ফেইস মাস্ক তৈরির পদ্ধতি দেওয়া হল।

শসা ও লেবুর ফেইস প্যাক

লেবুর অ্যাসিডিক উপাদান প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। রোদেপোড়া ভাব কমিয়ে ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে লেবু। অন্যদিকে শসা ও গোলাপ জল ত্বক ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। এক টেবিল-চামচ শসার রস, খানিকটা লেবুর রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে তুলায় লাগিয়ে রোদেপোড়া অংশে লাগাতে হবে।

১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন রোদ থেকে ঘরে ফিরে এই প্যাক ব্যবহার করতে হবে।

বেসন ও হলুদগুঁড়ার মাস্ক

এই মাস্ক ত্বকের রং হালকা করার পাশাপাশি স্ক্রাবিংয়েও সাহায্য করবে। দুই টেবিল-চামচ বেসনের সঙ্গে এক চিমটি হলুদগুঁড়া, এক টেবিল-চামচ দুধ এবং এক টেবিল-চামচ শুকানা কমলার খোসাগুঁড়া পরিমাণমতো গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। মুখ এবং অন্যান্য ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে এই পেস্ট লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।

মাস্ক শুকিয়ে গেলে পানি ছিটিয়ে নিয়ে হালকা হাতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষে স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। দু’দিন পর পর মাস্কটি ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।

পেঁপে ও মধুর মাস্ক

পেঁপে ত্বকের ক্ষতিপূরণ করে ত্বক পূনর্গঠনে, ত্বকের রং হালকা করতে ও এক্সফলিয়েট করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ময়েশ্চারাইজ করে ত্বক কোমল রাখতে সাহায্য করে মধু।

এই মাস্কের জন্য আধা পাকাপেঁপের টুকরা নিয়ে ভালোভাবে ভর্তা করে নিতে হবে। এর সঙ্গে এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

টমেটো, দই ও লেবুর রসের মাস্ক

টমেটো লোমকূপ সংকোচিত করে ত্বকের তৈলাক্তভাব কমাতে সাহায্য করে। আর লেবু ও দই ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।

প্যাকটি তৈরিতে দুই টেবিল-চামচ টমেটোর শাঁসের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল-চামচ দই মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শুকিয়ে আসলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

টমেটোর রসের কারণে শুরুতে ত্বকে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তবে কিছুক্ষণ পরেই তা ঠিক হয়ে যাবে।

অ্যালোভেরা ও মুসুরের ডালের প্যাক

অতিরিক্ত রোদেপোড়া-ভাব কমাতে দারুন উপকারি মুসুরের ডাল। এরসঙ্গে অ্যালোভেরা জেল ও টমেটোর রস ত্বকের ক্ষতি পূরণ করতে সাহায্য করবে।

এক টেবিল-চামচ মুসুরের ডাল ২০ মিনিটের জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভেজাডাল পেস্ট করুন। তবে পেস্ট যেন বেশি মিহি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডালবাটার সঙ্গে এক টেবিল-চামচ অ্যালোভেরা জেল ও টমেটোর শাঁস মিশিয়ে মুখ ও গলায় মেখে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।

কমলার রস ও দইয়ের মাস্ক

কমলার রসে আছে ভিটামিন সি যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আর দই ত্বকের রং হালকা করে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে।

এক টেবিল-চামচ দইয়ের সঙ্গে সমপরিমাণ কমলার রস মিশিয়ে ত্বকে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা ধুয়ে ফেলতে হবে।

ওটমিল এবং বাটার মিল্ক বা ঘোলের মিশ্রণ

ঘোল বা মাখন তোলা দুধ ত্বক মসুণ করার পাশাপাশি ফুস্কুড়ি নিরাময় করতে সাহায্য করে। ওটমিল প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে ব্ল্যাকহেডস ও মরা চামড়া দূর করে।

দুই টেবিল-চামচ ওটমিলের সঙ্গে তিন টেবিল-চামচ ঘোল বা বাটার মিল্ক মিশিয়ে মুখ ও শরীরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হালকাভাবে মালিশ করুন। তারপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সূত্র: বিডিনিউজ২৪.কম