সাধারন কিছু করনীয়।
প্রতিটি শিশুর খাবার খাওয়ার পদ্ধতি যেন ইউনিক। কেমন করে যেন বাচ্চারা কৌশল রপ্ত করে ফেলে খাওয়া নিয়ে বিরক্ত করার। যাই হোক, আমি বেশী ভুমিকা টানবোনা। বাচ্চা শিশুকে খাওয়ানো নিয়ে অনেক মা-বাবার আছে নানা অভিযোগ আর যন্ত্রণার কথা। যারা অভিযোগ করে থাকেন যে, আপনার বাচ্চা ঠিক মতো নিয়মিত খাবার খায়না তারা একটু মিলিয়ে দেখুন তো এগুলি আপনি করেন নাকি করেন না:
(১) বাসার বড়রা কি নিয়মিত সময়েই খাবার খান নাকি খাননা? আমি এটা বলতে চাইছিনা যে, প্রতিটি বেলার খাবার একদম টাইম মতো একই সময়ে হতেই হবে। তবে অধিকাংশ বেলার খাবার কি নিয়মিত সময়েই খেয়ে থাকেন? যদি বড়রা উল্টাপাল্টা সময়ে অনিয়মিত খেয়ে থাকেন, তবে আপনার ঘরের শিশুটিও খুব একটা সঠিক সময়ে খাবেনা বলেই আশা করা উচিত।
(২) বাচ্চাকে প্রতিদিন কি সঠিক সময়েই খাবার খেতে দিয়ে থাকেন? আমি common যেই অনিয়ম দেখেছি সেটা এমন যে, একদিন সকালের নাস্তা ৭টায় তো আরেকদিন ১০টায় তো আরেকদিন ১২টায় (ঘুম থেকে দেরি করে উঠলে)। আবারো বলি, আমি কিন্তু এটা মোটেও বলতে চাইনা যে, মাসের ৩০দিনি সকালের নাস্তা সকাল ৭-৮টার মধ্যেই বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। মোটকথা, নিয়মিত বলতে যেটা বোঝায় সেটা হচ্ছে কি হচ্ছেনা, সেটা আপনিই ভালো বুঝবেন। শিশুদের ক্ষেত্রে খাওয়াবার বিষয়টি নিয়মিত করাতে পারলে আপনিও উপকৃত হবেন।
(৩) বাচ্চাকে মুল খাবার দেবার আগেই কি হাবিজাবি কিছু খেতে দেন? যেমন, হয়তো আধাঘন্টা পরেই সে দুপুরের খাবার খাবে, কিন্তু তার আগেই কিছু চকলেট, মিষ্টি, চিপ্স্ ইত্যাদি খায় বা খেতে দেন? যদি তা করে থাকেন তবে কিন্তু সে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় বিরক্ত করবেই, ঠিক মতো খাবেই না। মনে রাখবেন চকলেট, চিপ্স, মিষ্টি, চিনি ইত্যাদি দ্রুত ক্ষুধা নষ্ট করে দেয়। সুতরাং ক্ষুধা লাগেনি এমন একটা মানুষকে কেমন করে খাবার খাওয়াবেন বলুন! বরং তার কাছে প্রমিজ করুন যে তাকে চকলেট খেতে দেবেন যদি সে ঠিক মতো দুপুরের খাবার খেয়ে শেষ করতে পারে। তবে প্রমিজ করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আসলেই আপনি তার প্রমিজ রাখতে পারবেন। ভুলেও প্রমিজ ভাংবেন না। যদি সেটা করেন তবে সেটা হবে আরেকটা ভুল। অথবা বাচ্চার যে কোন ভালো কাজের জন্য তাকে পুরষ্কৃত করুন একদম ছোট বয়স থেকেই। নগদ পুরষ্কারের বদলে টিকেট/কুপন সিষ্টেম চালু করতে পারেন (শুনতে প্রচন্ড হাস্যকর লাগতে পারে অনেকের কাছে বা অনেকে মনে করতে পারেন এটা অতি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, কিন্তু অনেক কাজে দিয়েছে আমার বেলায়। তাই যারা, সন্তানকে একটু আয়ত্তে আনতে চান, চাইলে এই সিষ্টেমটি একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আপনার সন্তানের বেলায় কাজে লাগতেও পারে।)
(৪) খাবার খাওয়া নিয়ে কি সে অলরেডি একটা ভিতিতে থাকে? যেমন খাবার খাওয়াবার আগে আপনি হয়তো এমন একটা অগ্নীমূর্তিতে আবির্ভুত হন যে, সে চরম ভয়েই খেয়ে থাকে? বা খাবার খাওয়ানোর সময় কি আপনি খুব চিৎকার চেঁচামেঁচি করে থাকেন? আমি জানি চিৎকার না করে থাকাটাও হয়তো কোন কোন বাচ্চার বেলায় সম্ভব হয়না। কিন্তু আসলেই এটা কোন সমাধান নয়। ভয় দেখিয়ে কিছু কিছু কাজ নগদ আদায় করা গেলেও এই নিয়মিত কাজটা ভয় না দেখিয়েই করানোর অভ্যেস করা উচিত। চিন্তা করে দেখুন, একটা বাচ্চা ৩-৪ বেলা খাবার খাবে অথচ প্রতিটি বেলাতেই চরম আতংকে থাকবে, সেটা কি মেনে নেয়া যায়? একটা মানুষ কি দিনের অধিকাংশ সময় ভয়েই থাকবে? না, ভয় দেখিয়ে সকল কাজ আদায় করার প্রবনতা কমিয়ে দিন। হয়তো আপাতত কাজ দিচ্ছে বলে আপনার মনে হচ্ছে, কিন্তু পরক্ষভাবে আপনার শিশুর বড় ধরনের ক্ষতি করছেন আপনি। তার অন্যান্য বিকাশে বাঁধা হচ্ছে এই ভয়। (ভয়, আরেক ভিন্ন বিষয়। আমি কিন্তু আগেই বলেছি, শিশুদের একটা সমস্যার সমাধান দিতে গিয়ে আরো নানা বিষয়ে কথা বলা হয়ে যাবে।
(৫) বাচ্চাকে কি খুব জোর করেই খাইয়ে থাকেন? রিতিমতো প্রতিটি নলা/চামচ খাওয়াবার জন্য কি খুব জোর করতে হয়? এমনটি হয়ে থাকলে, থামিয়ে দিন। আর একটু অপেক্ষা করে দেখুন না। আগে নিশ্চিত হোন যে আপনার বাচ্চা একটু আগেই অন্য কিছু খায়নি (উপরে যেমনটি বললাম)। নিশ্চিত হোন, সে খাবার খাওয়া নিয়ে ভিতিতে নেই (এটাও উপরে বলেছি)। অধিকাংশ সময় যেটা হয়ে থাকে যে, যিনি নিয়মিত সময়ে বাচ্চাকে খাইয়ে থাকেন (অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাচ্চার মা খাইয়ে থাকেন) তার হাতে আরো অনেক কাজ থাকে আর তিনি চান খাওয়াবার কাজটা দ্রুত শেষ হলেই অন্য কাজগুলি শুরু করতে পারবেন। আর তাই, বাচ্চার ক্ষুধা লেগেছে কি লাগেনি সেটা আদৌ বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় না তার কাছে। আমার অনুরোধ থাকবে, ওর ক্ষুধা লাগতে দিন। তবে যদি কখনো বাচ্চা বলে ফেলে যে তার ক্ষুধা লেগেছে, তবে আর দেরি না করে খেতে দিন। তখন আবার এই শর্ত দিয়েন না যে আগে গোসল তারপর খাওয়া। ততক্ষনে তার ক্ষুধা আবার শেষ হয়ে যাবে কিন্তু।
(৬) অনেক মায়েদের দেখেছি যে, স্কুল থেকে বাচ্চাকে পিকআপ করেই খাবার দোকানে ঢুকেন (হয় স্বইচ্ছায় বা সন্তানের দাবীতে)। ফাষ্টফুড বা পেষ্ট্রি বা জুসফুস , বা তার পছন্দের কিছু একটা খাওয়ায় থাকেন। মা তার বাচ্চার কাছ থেকে এটাও প্রমিজ করিয়ে নেয় যে, বাসায় গিয়ে কিন্তু দুপুরের খাবার খেতে হবে ঠিক মতো (মায়ের এই প্রমিজ করাটাই ভুল হয়েছে)। পরে কি হবে আর হবেনা সেটাতো আর বাচ্চা বোঝেনা। সো, বাচ্চাও প্রমিজ করে বসে মায়ের সাথে। পেট ভরে বার্গার বা পিৎজা বা পেষ্ট্রি বা আইসক্রিম কোন একটা কিছু খেতে খেতে বাসায় আসে বাচ্চাটি। আর মাত্র আধাঘন্টা কি ১ ঘন্টার মধ্যেই তাকে দুপুরের খাবার খেতে বসতে হয়। ব্যাস শুরু হয়ে যায় আরেক দফা চিৎকার চেঁচামেঁচি।
(৭) মুল খাবার খাওয়ার আগে যখন বাচ্চা কিছু ক্ষেতেই চায়, তখন কি করা যেতে পারে? হয়তো আর আধাঘন্টা কি ১ ঘন্টা পরেই আপনি মুল খাবার খেতে দেবেন আর এর মাঝেই বাচ্চা বলে বসেছে কিছু একটা খাবে, ওর খুব ক্ষুধা লেগেছে। তো, তখন যেটা করতে পারেন, তাকে ফল ক্ষেতে দিতে পারেন। যদিও আমি শুনেছি মুল খাবার খাওয়ার আগে নাকি ফল না খাওয়াই ভালো, কিন্তু সঠিক জানিনা কেন। আর আমি কথাটা মানিনি। বরং আমার বাচ্চাদের মৌসুমী ফল খাইয়েছি নিয়মিত। সারাদিনে টুকটাক ফল খাওয়ার উপর থাকলে দেখবেন তার ক্ষুধা লাগে। আর মুল খাবারটাও ঠিক ঠিক খাবে। সো, বাজারের বিভিন্ন রং করা প্যাকেট খাবার বাদ দিয়ে ফল খাওয়াবার অভ্যেস করুন। (যদিও এখানেও সমস্যা এই যে, ফলের ফরমালিন নিয়েও চিন্তা করতে হয়।) যখন বাজারে তরমুজ পাওয়া যায়, প্রচুর তরমুজ খাওয়ান। দেখবেন মুল খাবার গাপুস গুপুস খাবে সময় মতো। আর যদি ফল না থাকে তো শশা খাওয়াবার অভ্যেস করান। যেমন যখন খেলছে, একটা শশা কেটে বাটিতে দিয়ে দিন। একটু লবন দিয়ে মাখিয়ে দিলে মজা করেই খাবে। আর দেখবেন, আসল খাবার সময়ে ক্ষুধাও লাগবে তার। মোটকথা, সকল প্রকার ফল খাওয়াবার অভ্যেস গড়ে তুলুন। তাহলে বাই প্রোডাক্ট হিসাবে এটা পাবেন যে, সে বাইরের হাবিজাবি প্যাকেট খাবারে কম অভ্যস্ত হবে আর আপনার ৩ বেলার খাবারটাও ঠিক ঠিক খেতে পারে।
(৮) যদি ফল না থাকে তখন কি করনীয়? সব সময় ফল ঘরে থাকবেই এমন কথা নয়। যাই হোক, যদি এমনটি হয়েই যায় যে বাচ্চার ক্ষুধা লেগেছে আর আপনিও মুল খাবার দিতে দেরি করবেন কিন্তু সে তখুনি কিছু একটা ক্ষেতে চায়, তখন তাকে যাই ক্ষেতে দিন সেটা এমন পরিমানে দিন যেন তাকে আবার কষ্ট করে আসল খাবার খেতে না হয়। যেমন যদি আমার বাচ্চারা রাতের খাবার খাওয়ার সময় হবার আগেই বলে বসে খুব ক্ষুধা লেগেছে। তো, তখন ঘরে যদি বিস্কুট থাকে, ওদেরকে ১টি-২টি নয় বরং সেই পরিমানে বিস্কুট দেই যেন সেটা খেয়েই পেট ভরে ও রাত কাটাতে পারে। এবং আমি আগেই জানি যে যদি বাচ্চা মাত্র ২-৩টি বিস্কুট খায়, তো আর আধাঘন্টা পরে সে ডিনার ঠিক মতো খাবেনা। So, বিস্কুটটাই এই পরিমানে দিলাম যেন পেট ভরে খায়। এমনটিও হতে পারে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যে, সে বিস্কুটটাও পেট ভরে খাবেনা। তখন তাকে আস্বস্ত করুন যে, যদি সে পেট ভরে বিস্কুট খায় তো রাতের খাবার খেতে হবেনা। দেখবেন হয়তো সে আপনার কথায় convinced হবে ও অধিক বিস্কুট খাবে। (এই ক্ষেত্রেও আবার বলে রাখি যে, যদি এমনটি প্রমিজ করেন তবে সেই প্রমিজ ভাংবেন না। তাহলে কিন্তু আপনার উপর তার বিশ্বাস উঠে যেতে থাকবে।) কেউ কেউ হয়তো ভাববেন আমি সঠিক কাজটি করিনি। কিন্তু খেয়াল করুন, আপনাকে বুঝতে হবে আপাতত আসল খাবারের বদলে যা খেতে দিচ্ছেন সেটা কি খাচ্ছে। যেটা খাচ্ছে সেটা যদি হাবিজাবি না হয় আর পরিমান মতো খেলে চলে নাকি চলেনা। সো, যেহেতু এই ঘটনা প্রতিদিন ঘটেনা তাই মাঝে মাঝে এমন ব্যাতিক্রম ঘটলে সমস্যা দেখিনা। বাচ্চার জন্য কিছু একটা কষ্ট করে রান্না করেছিলেন বলে সেটা খেতেই হবে এমন বাড়াবাড়ি করবেন না।
(৯) আরেকটা বুদ্ধি আছে। ধরে নিলাম আর ১ ঘন্টা পর আপনি বাচ্চাদের দুপুরের বা রাতের খাবার খেতে দেবেন। তো, ঠিক এই সময়ে বাচ্চাকে এক গ্লাস বা এক কাপ জুস খেতে দিতে পারেন। আগে থেকে জুস বানিয়ে রাখা থাকলে কাজটা আরো সহজ হয়। আসল খাবার খাওয়ার ১ঘন্টা আগেই যদি জুস (বা শুধু পানি হলেও চলে কিন্তু বাচ্চারা শুধু পানি খেতে পছন্দ করবেনা।) খান তবে দেখবেন ঠিক ঠিক ক্ষুধা লেগেছে আর খাবেও সহজে। এটা কিন্তু বড়দের বেলাতেও খাটে। 😉
(১০) ক্ষুধা বাড়াবার জন্য ওদেরকে খেলতে দিন। শারিরিক পরিশ্রম আছে এমন খেলা খেললে ক্ষুধাটা লাগতে পারে, তাই তো জানি আমরা তাই না? সো, শুধুই পাজেল বা ছবি আঁকা, পুতুল খেলা এমন খেলায় আবদ্ধ না রেখে শারিরিক শ্রমের খেলা খেলতে দিন। এখানেও সমস্যা আছে জানি, পর্যাপ্ত মাঠের অভাবের কথাও বলবেন অনেকে (অন্তত ঢাকাবাসীরা বলবেন অবশ্যই)। কি আর করার বলেন, আমরাইতো এমন বানিয়েছি, তাই না? শিশুর একটু সমস্যাতো হবেই। তারপরও যদি সম্ভব হয় বাসার নিচের সামান্য জায়গাতেই বা ছাদে ওদের খেলার ব্যাবস্থা করে দিলে হয়তো কিছুটা খেলতে পারতো। ওদের খেলাকে আনন্দঘন করতে আপনিও ওদের সাথে যোগ দিন। দৌঁড়, লাফ, ছাপ দিতে হয় এমন খেলা খেললে ক্ষুধা লাগবেই লাগবে। আর তখন খাবার সময় শুধুই খাবে, কার্টুন দেখে দেখে খাবো বলার সময় পাবেনা।
(১১) বাচ্চার ঘুমটা যেন ঠিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। বাচ্চার ঘুম ঠিক না থাকলে নানা কাজে ও বিরক্ত করবেই করবে। সো, ওর সুন্দর ঘুম নিশ্চিত করা দরকার। যদি আপনি ভালো গল্প বলতে পারেন তবে আপনার গল্প শোনার জন্য হলেও আপনার শিশু সন্তান ঘুমাতে আসবে। এই সুযোগে গল্প বলা নিয়েও একটা পোষ্ট দিয়েছি সেটা পড়তে শিশুদেরকে গল্প বলার নানা বিষয় ও কৌশল পড়ুন। যারা অভিযোগ করেছেন যে, আপনার সন্তান টিভি/কার্টুন না দেখে খেতেই চায়না তাদের অনুরোধ করবো গল্প বলা বিষয়ক পোষ্টটি পড়ুন। সুন্দর সুন্দর ছোট ছোট গল্পের মাধ্যেমেও বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। অনেক সময় বাচ্চারা অনেক ক্লান্ত থাকে আর হয়তো দুপুর বা রাতের খাবার না খেয়েই ঘুমিয়ে যায়। অনেক মায়েরা আছেন, তারপরও ঘুমন্ত বাচ্চাকে জাগিয়ে জোর করে খাইয়ে তারপর ঘুমাবার সুযোগ দেন। এমন মারাত্নক অমানবিক আচরন করবেন না প্লিজ। একটা বেলা না খেলে কিছুই হয়না (আমাকে নিষ্ঠুর বাবা বলছেন, তাই না?)। বরং ওর প্রচন্ড ঘুম পেয়েছিলো, ঘুমাতে দিন আগে। আপনি বরং খাবার তৈরী রাখবেন। দেখবেন ঘুম থেকে উঠেই কেমন সতেজতা নিয়ে পুরো খাবার খেয়ে ফেলবে। ও আরেকটা কথা। খাবারে রুচি বাড়াবার জন্য আচার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আমার এক বাচ্চা আচার পছন্দ করে আর আরেক বাচ্চা কালোজিরার ভর্তা খুব পছন্দ করে। 🙂
(১২) এমন অনেক মা-বাবা আছেন যাদের এই অভিযোগ নেই যে, তাদের সন্তান খেতে চায়না বরং ঐ মা-বাবারা দিনের অধিকাংশ সময় শিশুকে খাওয়ানোর উপরেই রাখেন, তাদেরকে অনুরোধ করছি “নাদুশ-নুদুশ মানেই সুস্বাস্থ্য নয়” পড়ার জন্য।
(১৩) পরামর্শেরতো শেষ নেই। চাইলেই কতো লেখা যায়, তাই না? পরামর্শ দেয়া সহজ, ঠিক না? কথা না বাড়িয়ে বরং ১৩নং পয়েন্টেই শেষ করার চেষ্টা করি। সকল প্রকার খাবার খাওয়ানোর অভ্যেস করুন। শুধুই মুরগীর মাংশ বা গরুর মাংশ বা ডিম দিয়েই ভাত খাবে এমন অভ্যেস করাবেন না। আর এই ক্ষেত্রে ধিরে ধিরে একটু একটু করে যোর করে হলেও (আমি কিন্তু বলেছি ধিরেধিরে একটু একটু করে যোর করার কথা) অভ্যেস করাবেন। সকল প্রকার খাবার খাওয়ার অভ্যেস করানোটাও খুবি দরকারি তবে আবশ্যই যোর জবরদস্তি করে নয়, যুদ্ধ করে নয়, চিৎকার চেঁচামেচিঁ করে নয়।
সূত্রঃশিশু লালন পালন