এক পালং দিয়ে ৫ রকম স্ন্যাক্স তৈরির রেসিপি

স্বাদে ও পুষ্টিগুণে অনন্য পালং শাক এখন বাজারে পাওয়া যায় সারা বছরই। বড়দের জন্য তো বটেই, ছোটদের জন্যেও খুব উপকারী এই পালং শাক। দারুণ ব্যাপারটি হচ্ছে পালং শাক কেবল রান্না বা ভাজি করে খাওয়া যায় এমন না, এই শাক দিয়ে তৈরি করা যায় হরেক রকমের মুখরোচক স্ন্যাক্সও।

আজ জানিয়ে দিচ্ছি পালং শাক দিয়ে ৫ রকমের স্ন্যাক্স তৈরির খুব সহজ কিছু রেসিপি। তালিকায় আছে পালং কেক, পালং বার্গারের মতন দারুণ কিছু খাবারের বিস্তারিত প্রণালী।

পালং পাকোরা 
পালং শাক কুচি কুচি করে কেটে নিন। তারপর পেঁয়াজ-মরিচ কুচি, মরিচ-ধনে-জিরা গুঁড়ো, সামান্য গরম মশলা গুঁড়ো, লবণ, একটি ডিম, চালের গুঁড়ো ও বেসন দিয়ে মেখে নিন ভালো করে। প্রয়োজনে পানি দেবেন, যদিও না লাগার সম্ভাবনা বেশি। মাখা মাখা করে মেখে ছোট ছোট বড়ার মতন ডুবো তেলে ভেজে নিন।

পালং শাকের প্যান কেক
পালং শাক কুচি করে কেটে হালকা ভাপিয়ে নিন। এবার দুধ, ডিম, মাখন ও ময়দা দিয়ে প্যানকেক ব্যাটার তৈরি করুন। চিনি দেবেন না শুধু, ঝাল প্যানকেক হবে। এর মাঝে ভাপানো পালং, পেঁয়াজ-মরিচ কুচি , লবণ ও আপনার পছন্দের মশলা দিয়ে গুলে নিন। প্যানে মাখন বা ঘি দিয়ে স্বাভাবিক নিয়মেই প্যানকেক তৈরি করে পরিবেশন করুন।

পালং দিয়ে নুডুলস
প্যানে একটু তেল দিন, রসুন কুচি দিন । হালকা গন্ধ ছড়ালে পালং শাক দিয়ে দিন। শাক পানি ছেড়ে একটু ভাজা ভাজা হলে এর মাঝে অন্য সবজি ও নুডুলস দিয়ে স্বাভাবিক নিয়মেই রান্না করে নিন।

পালং শাকের বার্গার 
পালং শাকের কুচি ও চিকেন কিমা সমান পরিমাণে নিন। এর মাঝে সামান্য আদা-রসুন কিমা, গোল মরিচ গুঁড়ো, লবণ, সামান্য জায়ফল গুঁড়ো ও একটু টমেটো সস দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। ডিম দেবেন না, পালং থেকেই অনেক পানি ছাড়বে। ভালো করে মেখে বার্গার প্যাটি আকারে গড়ে নিন। তেলে শ্যালো ফ্রাই করে পছন্দ মতো উপায়ে বার্গার তৈরি করে নিন।

পালং শাকের সমুচা/ পিঠা
এটা অনেকেই জানেন না যে পালং শাক দিয়ে খুব মজার সমুচা বা পিঠা তৈরি করা যায়। পালং শাক হালকা ভাপিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর মোজারেলা বা ভালো কোনো চিজের সাথে মিক্স করে নিন। সাথে দিতে পারেন গোল মরিচ ও জায়ফল গুঁড়ো। দিতে পারেন সসেজ কুচিও। এরপর এই মিশ্রণ দিয়ে যেকোনো রকমের পিঠা বা সমুচা অনায়াসেই তৈরি করা যায়।

বাচ্চারা তো শাক-পাতা খেতে চায় না মোটেই। এই রেসিপিগুলো তাই বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খুব কাজে আসবে।

প্রিয় লাইফ