মেকাপ

কী থাকবে মেকআপ বাক্সে—–

সুন্দর সাজের পেছনের রহস্যটা লুকিয়ে থাকে সঠিক সাজের উপাদান নির্বাচনে। এমনিতে হয়তো তেমন সাজেন না আপনি। কিন্তু বিশেষ উপলক্ষে নিজেকে একটু গুছিয়ে না নিলেও তো চলে না। আপনার সংগ্রহে তাই থাকা চাই কিছু সাজের উপকরণ। কিন্তু সেগুলো কী? জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।

সাজ পর্বের শুরুটা করতে হবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ভালো মানের একটা ফেসওয়াশে। অর্থাৎ প্রসাধন বাক্সের প্রথম উপাদান হবে ফেসওয়াশ। এরপর একে একে যোগ হবে ফাউন্ডেশন থেকে শুরু করে ব্লাশ-অন, আইশ্যাডো, লিপস্টিক, কাজল, মাসকারা।’

‘ত্বকের ধরন ও গায়ের রং বুঝে সাজের উপাদান নির্বাচন করতে হবে। শুষ্ক, স্বাভাবিক, তৈলাক্ত ত্বকের বৈচিত্র্যে সাজ উপাদানে যেমন ভিন্নতা আসে, তেমনি উজ্জ্বল, শ্যাম, চাপা ত্বকের রং অনুযায়ীও সাজের উপাদান বদলে যায়।

বশ্যই নামী ব্র্যান্ডের ও ভালো মানের একটি ফাউন্ডেশন বেছে নিন। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত তাঁরা অবশ্যই তেলমুক্ত ফাউন্ডেশন বেছে নিন। তবে এখনকার আবহাওয়ার জন্য শুষ্ক, স্বাভাবিক, তৈলাক্ত সবার ত্বকেই পানিযুক্ত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা ভালো। এতে ঘাম কম হবে। সে ক্ষেত্রে যাঁরা শুষ্ক ত্বকের অধিকারী, তাঁরা ফাউন্ডেশন ব্যবহারের আগে হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে পারেন। যাঁরা মেকআপে তত বেশি অভিজ্ঞ নন, তাঁদের প্যানকেক ফাউন্ডেশন না কেনাই ভালো।

ত্বকের রং অনুযায়ী ফাউন্ডেশন নির্বাচন করবেন। যাঁদের ত্বকের রং উজ্জ্বল, তাঁরা গোলাপি টোনের ফাউন্ডেশন বেছে নিতে পারেন। চাপা গায়ের রং যাঁদের, তাঁরা তাঁদের ফাউন্ডেশন নির্বাচনের সময় যতটা সম্ভব স্বাভাবিক গায়ের রঙের কাছাকাছি ফাউন্ডেশন বেছে নিন। উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের অধিকারী যাঁরা, তাঁদের হালকা হলুদ টোনের ফাউন্ডেশনে ভালো লাগে। এরপর ফাউন্ডেশনের রঙের সঙ্গে মিল রেখে নির্বাচন করুন ফেস পাউডার। কেনার সময় ত্বকের ছোট একটি অংশে লাগিয়ে দেখে নিতে ভুল করবেন না।

সাজে উৎসবের ছোঁয়া আনতে যোগ করে নিতে পারেন রঙের ছোঁয়া। আইশ্যাডো আর লিপস্টিক নির্বাচনের সময় এবার। আইশ্যাডো কেনার সময় গুরুত্ব দিন এমন কতগুলো রঙের প্রতি, যেগুলো সব পোশাকেই মানানসই। রং হতে পারে বাদামি, সোনালি, রুপালি, ব্রোঞ্জ প্রভৃতি। এর সঙ্গে নীল, সবুজ, গোলাপি, কালো রং আছে কি না, দেখে নিন। আলাদা আলাদা রঙের পাত্র না কিনে একসঙ্গে ৬ থেকে ১২টি রঙের একটি আইশ্যাডো বক্স কিনে ফেলুন।

যাঁদের গায়ের রং উজ্জ্বল, তাঁদের হালকা রঙের লিপস্টিকগুলো বেশি মানিয়ে যায়। যাঁদের ত্বক একটু চাপা রঙের, তাঁদের গোলাপির মতো মিষ্টি রং ভালো দেখায়। যাঁদের ত্বকের রং শ্যামবর্ণ, তাঁরা বেগুনি, কমলা, গোলাপি রং বেছে নিতে পারেন। এখন অবশ্য প্রায় সবাই লাল রং ব্যবহার করছেন অবলীলায়। লিপগ্লসও ব্যবহার করতে পারেন। তবে দিনে নয় রাতের কোনো আয়োজনে।

l যাঁদের ত্বকে ব্রণের দাগ, মেছতা, চোখের নিচে কালো দাগ রয়েছে, তাঁরা কনসিলার ব্যবহার করুন। ফাউন্ডেশন থেকে এক শেড উজ্জ্বল রঙের কনসিলার কিনে নিন এর জন্য। কনসিলার অবশ্যই ফাউন্ডেশনের আগে প্রয়োগ করে নেবেন।

বাদামি ও গোলাপি—এ দুই শেডের ব্লাশঅন কেনাই যথেষ্ট। তবে দিনের তুলনায় রাতের রংটা একটু গাঢ় হবেl আইলাইনার ব্যবহারে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁরা কাজল কিনে নিতে পারেন। কালো, সবুজ, নীল—এ তিন রঙের কাজল থাকলেই চলবে। সাজের ক্ষেত্রে সঠিক ব্রাশের ব্যবহারও জরুরি। সে ক্ষেত্রে ব্লাশঅনের জন্য একটি বড় ব্রাশ, আইশ্যাডোর জন্য চিকন ও মাঝারি দুই থেকে তিনটা ব্রাশ কিনে নিন। চাইলে আইশ্যাডোর জন্য স্পঞ্জ ব্রাশও বেছে নিতে পারেন। ফাউন্ডেশন বসানোর জন্য একটি স্পঞ্জ ও পাউডার লাগানোর জন্য ব্রাশ কিনে নিন। নখ থেকে চুল পর্যন্ত সবকিছু নিলেই সাজ পূর্ণতা পায়। তাই নখের জন্য সুন্দর দুটি রঙের নেইলপলিশ কিনে নিন। সব সময়ের জন্য হালকা গোলাপি ও উৎসবের জন্য লাল কিংবা সোনালি নেইলপলিশ কিনে নিন। আপনার চুলের সাজের জন্য অবশ্যই প্রয়োজন পড়বে একটি হেয়ার ড্রায়ার ও একটি হেয়ার আয়রনের। চুলের যেকোনো সাজকে দীর্ঘস্থায়ী করতে ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার স্প্রে কিংবা জেল।

সূত্র ; life-style

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।