ফিটনেস

ঘরে ব্যায়াম করে ধরে রাখুন ফিটনেস –

ফিটনেস ধরে রাখতে চান না, এমন কেউ নেই।কর্মব্যস্ত জীবনে জিমে গিয়ে নিয়মিত ব্যায়াম করাটা বেশ ঝামেলার। জিম করে উপকার পাওয়ার জন্য অন্তত দিনের ৩-৪ ঘন্টা সময় জিমে কাটাতে হয়। এভাবে সময় বের করা আমাদের জন্য মুশকিল হয়ে যায়। কিন্তু এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের জন্য আছে অন্য সমাধান। আপনি চাইলে কিছু ছোট খাট টুলস কিনে এনে ঘরের ভেতরেই একটা মিনি জিম বানিয়ে নিতে পারেন। অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত অনুশীলন করতে পারেন। অথবা রাতে বাড়িতে ফিরে খাওয়া দাওয়ার পরে একটু জিম করা যেতে পারে।

কি কি টুলস কেনা যেতে পারে?

কিছু ফিটনেস টুলসের নাম এখানে বলতে পারি যা দামে একদম কম এবং খুব সহজে ব্যবহার করতে পারবেন ঘরে বসে। টুলসগুলো হোলঃ

Exercise Mats, Exercise Balls, ANKLE WRIST BAND, Pedometers, TUMMY TWISTER, HAND GRIP, DUMBBELL, YOGA MAT, PUSH UP BARS GRIP, KNEE SUPPORT, ANKLE SUPPORT, ROPE, SOFT EXPANDER, CHEST EXPANDER, ELBOW SUPPORT, SWEAT BAND, WRIST SUPPORT, HEEL SUPPORT GEL, Steppers, Strength Training, HEAD BAND, Trampolines, ARM SLEEVE, FOAM HAND GRIP, THIGH SUPPORT

এই সকল ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসে ব্যায়াম করে জিমের মত ফিটনেস ধরে রাখতে পারবেন খুব সহজেই।

কীভাবে ব্যায়াম করবেন?

এবার আসা যাক ব্যায়ামের কথায়। দিনে অন্তত ২০ মিনিট হাঁটুন বা ভোরবেলা ফাঁকা পথে দৌড়ে আসুন। একদমই সময় না পেলে সপ্তাহে অন্তত দুদিন তো করতেই পারেন। সম্ভব হলে একটি চার্ট তৈরি করুন। নিয়মিত ব্যায়ামগুলো টুকে রাখুন। এক মাস পর খতিয়ে দেখুন। আপনার কতটুকু উন্নতি হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কিনা। অনেকে দ্রুত ফিটনেস পেতে অতিরিক্ত ব্যায়াম করে ফেলেন। তবে জেনে রাখুন, দিনে ১ ঘণ্টার বেশি ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। একই সঙ্গে ব্যায়াম আনন্দের সঙ্গে না করলে ফল পাওয়া যায় না।

কেন ঘরে বসে ব্যায়াম করা প্রয়োজন?

অফিসে বসে যারা ডেস্কে কাজ করেন, তারা জেনে রাখুন সারাক্ষণই ডেস্কে বসে থাকবেন না। মাঝে মধ্যে চেয়ার থেকে উঠুন। লাঞ্চের পর ১০-১৫ মিনিট একটু হাঁটাহাঁটি করুন। ফিটনেস ধরে রাখতে কাজের ফাঁকে নিজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। যে কথা হচ্ছিল, ঘণ্টায় একবার ডেস্ক থেকে উঠে পায়চারী করে আবার বসুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন ব্যক্তির ছয় বেলা খাওয়া উচিত। তিন বেলা মূল খাবার, আর তিন বেলা স্ন্যাকস। যারা দিনে ৮-১০ ঘণ্টা কাজ করেন, তাদের ব্রেকফাস্টের দিকে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। ব্রেকফাস্টে প্রচুর ফলমূল, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন রাখুন। এগুলো আপনাকে সারা দিন শক্তি জোগাবে। কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। ডায়েটে কিছু প্রোটিন রাখুন। কারণ প্রোটিন কার্বোহাইড্রেটের ভাঙন প্রক্রিয়া মন্থর করে দেয়। ফলে দীর্ঘক্ষণ শক্তি সঞ্চিত থাকে। তবে রিফাইন কার্বোহাইড্রেট যেমন— কুকি, চকোলেট, মধু ইত্যাদি বর্জন করুন। রিফাইন কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে এটি শরীরে বাড়তি ইনসুলিন তৈরি করে, যা শরীরে মেদ জমার অন্যতম কারণ। লাঞ্চের সঙ্গে ব্যাগে কিছু স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক রাখুন। ভাজাপোড়ার পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও ফল রাখা যেতে পারে। শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ সঠিকভাবে পরিচালনা করতে যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করা উচিত। ১ ঘণ্টা পর পর আধগ্লাস পানি পানের অভ্যাস করুন। এটি আপনাকে সতেজ ও ক্লান্তিমুক্ত রাখবে।

ব্যায়াম করার জন্য যেসকল নির্দেশ মেনে চলা দরকার?

  • যেকোনো জিমে ভর্তি হওয়ার পূর্বে আপনার ফিটনেসের প্ল্যানিং করে নিন।
  • অবশ্যই চেষ্টা করুন বাড়ির কাছাকাছি কোনো জিমে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করুন এতে টাইম ম্যানেজম্যান্ট খুব ভালো হবে। এ ছাড়াও জিম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সময় নিন এবং সর্বোচ্চ সেবাদানকারী কোনো জিমে ভর্তি হোন।
  • জিমে ঢুকে প্রথমেই যে কাজ টা করবেন তা হোল – জিমের ট্রেইনারের সাথে নিজের ফিটনেস গোল বা লক্ষ্য কী তা শেয়ার করুন এবং সে অনুযায়ী ট্রেইনারের দেওয়া লাইন-আপ ফলো করুন।
  • দুর্ঘটনা এড়ানর জন্য ফিটনেস এক্সপার্টের উপস্থিতিতে ফিটনেস ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করুন। কোনো ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করতে সমস্যা হলে এক্সপার্টের পরামর্শ নিন।
  • একটা ভুল অনেকেই করে – ক্যাজুয়াল ড্রেসে জিম করে। এটা ঠিক না। আপনি জিমে জন্য নির্দিষ্ট পোশাক, জুতা, টাওয়েল, ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় জিনিস বাছাই করুন এবং জিমে যাওয়ার সময় নিজের সাথে রাখুন।
  • হুট করে সময় না বাড়িয়ে আস্তে আস্তে জিমে সময় বাড়ান। এতে এক্সারসাইজের দখলটা শরীর ও মন সহজেই মানিয়ে নিতে পারবে।
  • আপনি অবশ্যই জিমের ট্রেইনার বা পরামর্শক প্রদত্ত খাদ্যতালিকা সবসময় মেনে চলুন।
  • সকালে জিম করলে, জিম থেকে সরাসরি কাজে চলে না যাওয়া ভাল। প্রথমে বাসায় ফিরে কিছুক্ষণ রেস্ট নিন। তারপর আপনার অফিস বা কাজে যান।
  • সকাল-বিকাল যখনই জিমে যান না কেন টাইম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারে নজর দিন।
  • জিমে যেতে হয় নিয়মিত। খুব বেশি কাজের চাপ থাকলে চেষ্টা করুন অন্তত সপ্তাহে তিনদিন জিমে যাওয়ার।
  • অ্ঠআর একটা ভুল করবেন না কিছুতেই। জিমে যাওয়া বন্ধ করবেন না হঠাৎ করে। বরং নিয়মিত কয়েক মাস যাওয়া-আসা করুন দেখবেন এটা নিত্যদিনের কাজের একটা অপরিহার্য রুটিন হয়ে দাঁড়িয়ে।
  • জিম করাটা অনেক ধৈর্যের বিষয়। কিছু হচ্ছে না, আমাকে দিয়ে হবে না—এ জাতীয় ভাবনা না ভেবে এক্সারসাইজের প্রতি পজিটিভ মনোভাব এবং ধৈর্য রাখুন।
  • ফিটনেস ধরে রাখার জন্য নিজেকে অবশ্যই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাখুন। সাথে নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন।

সূত্র ; ehaspatal

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।