”টুকিটাকি” ঘরের দেয়ালে রং

প্রকৃতির রং বদলায়, মানুষের বদলায় মন। শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর লেখার কথা মনে পড়ল ‘কারণে অকারণে’ বদলানো প্রসঙ্গে। মানুষ পারে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে, মনের রং ধরে রাখতে কিংবা রং বদলাতে। আর পারে পছন্দের রঙে বাড়িঘর রাঙাতে।

চার ধরনের রং আছে। প্লাস্টিক পেইন্ট, লাক্সারি সিল্ক, ইজি ক্লিন ও ব্রিথ ইজি। ইজি ক্লিন পেইন্ট একটু ম্যাট ধরনের। তাতে যেকোনো ধরনের ময়লা পড়লেও সহজেই সাবান-পানিতে পরিষ্কার করে নেওয়া যায়। ব্রিথ ইজি পেইন্ট আবার একটু চকচকে হয়। পাশাপাশি এটি সিসা ও গন্ধমুক্ত। পরিষ্কার করতে হলে অল্প ভেজা কাপড় দিয়ে হালকা করে মুছে নিলেই হবে। খুব বেশি মোছামুছি করতে গেলে এটিও খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্লাস্টিক পেইন্ট একটু সাধারণ ধরনের। লাক্সারি সিল্ক বেশ চকচকে ধরনের। তবে তা ধুতে গেলে সহজেই চাকচিক্য চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।’ ইজি ক্লিন ও ব্রিথ ইজি—এই দুই ধরনের নতুন পণ্যই আজকাল বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে জানালেন তিনি।

চাপা সাদা বা সাদার বিভিন্ন শেড আজকাল বেশি চলছে। সাদার মধ্যে গোলাপি বা বেগুনি আভা রয়েছে, এমন হালকা রং জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

সাধের ঘরটা রাঙিয়ে তোলার সঠিক সময়ও জেনে রাখা ভালো, নইলে সাধের কাজটা মাটি হওয়ার ভয় থাকে।  বৃষ্টির মৌসুমে আবহাওয়ায় একটা ভেজা ভাব থাকে। এ সময় বাড়িঘর রং করানো হলে রংটা সঠিক সময়ের মধ্যে শুকায় না। রঙের স্থায়িত্ব কমে যায়। দেয়াল ‘ড্যাম্প’ বা স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়তে পারে। দেয়ালের লবণাক্ততার ওপরেও প্রভাব পড়তে পারে, যার ফলে দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ঘরের ভেতরের কিংবা বাইরের দেয়াল স্বপ্নের রঙে রাঙাতে চাইলে নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিকেই বেছে নিন। এই চারটি মাস বৃষ্টি থাকে না বললেই চলে। শুষ্ক আবহাওয়া রঙের কাজের জন্য ভালো। বিশেষজ্ঞ মতে, এই চারটি মাসই রঙের কাজ করার জন্য এ দেশে সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।

নিজের ঘর সবচেয়ে শান্তির জায়গা। সারা দিনের কাজ শেষে বাড়ি ফিরে ক্লান্তি ভুলে যাই আমরা। চাইলে নিজের ইচ্ছা ও পছন্দ অনুযায়ী দু-তিন বছর পরপর বাড়িঘরের রং বদলে ফেলা যায়। তবে বদলানোর ইচ্ছা না থাকলেও ঘরের ভেতর কিংবা বাইরে যেকোনো দিকের রং তিন-চার বছর অন্তর নতুনভাবে করে নেওয়া ভালো।

সূত্র ; prothomalo

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।