সময়মতো ঘুমোতে যাওয়া, ক্যাফেইন পরিত্যাগ আর সকালের রোদটিকে উপভোগ- এই কয়েকটি অভ্যাস বদলে দিতে পারে জীবন।

প্রত্যেক মানুষের ভেতর একটি জৈব ঘড়ি বা বডি ক্লক কাজ করে, যা সূর্যের ছন্দ মেনে চলে। এর কারণেই মানুষের রাতে ঘুম পায়। কিন্তু কিছু মানুষের এই জৈব ঘড়ি বা দেহ ঘড়িটি অন্যদের তুলনার ধীরে চলে।তাদের হয়তো অ্যালার্ম ঘড়ির সাহায্যে এমন সময় ঘুম থেকে জাগতে হয় যখন তাদের শরীর কাজের জন্যে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে ওঠে না।

তাদের জন্য যেসব নির্দেশ-
>> স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে জেগে উঠুন এবং বাইরে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে সকালের আলো উপভোগ করুন।
>> যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রাতরাশ বা সকালের নাস্তা করুন।
>> ব্যায়াম করুন শুধুই সকালে।
>> প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে দুপুরের খাবার খান এবং সন্ধ্যা ৭টার পর আর কিছুই খাবেন না।
>> দুপুর ৩টা পর আর কোনো ক্যাফেইন নয়।
>> দুপুর ৪টা পর কোনো ঘুম বা তন্দ্রা বা ন্যাপ নয়।
>> সচরাচর সময়ের ২-৩ ঘণ্টা আগে ঘুমোতে যান এবং সন্ধ্যার পর থেকে ঘরের আলো কমিয়ে রাখুন।
>> প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমোতে যান ও একই সময়ে সকালে উঠুন।তিন সপ্তাহ পর, এই অভ্যাস চর্চাকারী সফলভাবে তাদের দেহ ঘড়িকে অন্তত দুই ঘণ্টা এগিয়ে স্থানান্তর করতে পেরেছেন।

তিন সপ্তাহ পর, এই অভ্যাস চর্চাকারী সফলভাবে তাদের দেহ ঘড়িকে অন্তত দুই ঘণ্টা এগিয়ে স্থানান্তর করতে পেরেছেন।

‘সামান্য কিছু অভ্যাস চর্চার মাধ্যমে অধিক রাত জেগে থাকা ব্যক্তি তার জৈব ঘড়ি সংশোধন করতে পারেন এবং তার সার্বিক শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটাতে পারেন। অপর্যাপ্ত ঘুম এবং শরীরের জৈব ঘড়ির বিচ্যুতি ঝুঁকি বাড়ায় হৃদরোগ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের।এর অন্যতম কারণ হলো শরীর অনেক বেশি সূর্যের প্রতি ক্রিয়াশীল- অর্থাৎ দিনে শরীর অনেক বেশি কার্যক্ষম থাকে রাতের তুলনায়।অনিয়মিত ঘুম এবং জেগে ওঠা তাই শরীরের নিজস্ব নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় ।

তথ্যসূত্র : বিবিসি

 

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।