”চুলের যত্ন” শুষ্ক চুলে জীবন

চুল যদি অযত্নে শুষ্ক ও মৃতপ্রায় হয়ে যায় তাহলে সব শেষ হয়ে যায় না। কিছু পরিচর্যার মাধ্যমে এ চুলও সুস্থ ও সবল করে তোলা যায়। এ লেখায় রয়েছে তেমন কিছু উপায়।
১. কম ধোয়া
চুল অতিরিক্ত ধোয়ার ফলে তা যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখিন হয়। তাই আপনি যদি প্রতিদিন বাইরে না যান তাহলে তা প্রতিদিন শ্যাম্পু দিয়ে ধোয়ার প্রয়োজন নেই। চুলে বাড়তি শ্যাম্পু ব্যবহার করা হলে তা চুলকে শুষ্ক করে দেবে। এতে চুলের নরম ও মসৃণ ভাব চলে যাবে। তাই সপ্তাহে এক বা দুইবার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এতে আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবেই মসৃণ ও নরম হবে।
২. সঠিক কন্ডিশনার
আপনার মাথায় কোন কন্ডিশনার ব্যবহার করছেন এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার চুল ও মাথার ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায় তাহলে কন্ডিশনার ব্যবহারেও সতর্ক হতে হবে। এক্ষেত্রে ময়েশ্চার-স্পেসিফিক অপশন ব্যবহার করুন। এটি প্রতিবার ব্যবহারে আপনার চুল উপকৃত হবে। এছাড়া সপ্তাহে একবার করে ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এটি শুষ্ক চুলে ২০ মিনিট রেখে তা তুলে ফেললেই চুল হবে নরম ও মসৃণ।
৩. ভালোভাবে শুকানো
ধোয়ার পর আপনার চুল ভালোভাবে শুকানো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চুলের যে কোনো সজ্জার আগে তা ভালোভাবে শুকিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ চুল ভেজা অবস্থায় সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় থাকে। এক্ষেত্রে হেয়ার ড্রায়ার নয় বরং তোয়ালে ব্যবহার করে আলতো করে ঘষে তা শুকাতে হবে। অতিরিক্ত ঘষাঘষিও চুলের বিপদ আনতে পারে। চুল ভালোভাবে শুকানোর পর তাতে প্রসাধনী ব্যবহার করুন।
৪. স্মার্টভাবে স্টাইল করা
চুলের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক বস্তু হলো নিম্নমানের ফ্র্যাগরেন্স ও অ্যালকোহলযুক্ত প্রসাধনী। এসব প্রসাধনী চুলের ক্ষতি করে। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়তি স্টাইল বাদ দিন। মানসম্মত প্রসাধনী সীমিত আকারে ব্যবহার করুন। আবহাওয়ার বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে চুলকে রক্ষার জন্য উষ্ণ ও শুষ্ক বাতাস, বাড়তি ঠাণ্ডা বাতাস, রোদ ইত্যাদিতে সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে মাথায় হ্যাট বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন।
৫. বিশ্রাম দিন
চুলে বাড়তি প্রসাধনী ও রং করার ফলে তাতে প্রচণ্ড চাপ পড়ে। নানা প্রসাধনী ও স্টাইলের ক্ষতিকর কার্যক্রম থেকে কয়েকদিন বিশ্রাম দিলেও চুল যথেষ্ট সবল হবে। তাই প্রয়োজন ছাড়া প্রসাধনী বাদ দিন এবং বাড়তি প্রসাধনী থেকে চুলকে কয়েকদিন বিশ্রাম দিন।
৬. সঠিক ডায়েট
চুল সুস্থ রাখার জন্য সঠিকভাবে খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেসব খাবার খাবেন তার প্রত্যেকটিই চুলের ওপর প্রভাব ফেলবে। প্রাকৃতিকভাবে নরম ও মসৃণ চুল পেতে হলে ওমেগা থ্রি যুক্ত খাবার খান। এছাড়া ডিম ও বায়োটিন রয়েছে এমন খাবার, পুষ্টিকর সবজি ও ফলমূল খান।

সূত্র ; kalerkantho

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।