শাড়ি পরার টুকিটাকি

শাড়ি কার না ভালো লাগে? বাঙালি মেয়েদের শাড়িতেই সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। তাই তো শাড়ির আবেদন আজও একটুও কমে নি। শাড়ির ধরনে, বর্ণে আছে রকমফের।

শাড়ি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রধানত কাপড়ের ধরন ও রংয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। নিজের জন্য কোন ধরনের শাড়ি উপযুক্ত তা বোঝার জন্য আগে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি পরে দেখা যেতে পারে। উচ্চতা, ওজন, শারীরিক গঠন ইত্যাদি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এরপর যেতে হবে শাড়ির কাপড় এবং নকশার দিকে।

তবে শারীরিক গঠনের সঙ্গে মানানসই শাড়ি পরতে খেয়াল রাখুন:

১. হালকা-পাতলা গড়ন হলে শাড়ি বাছাইয়ে স্বাধীনতা বেশি। যেকোনো ম্যাটেরিয়ালের যেকোনো রং ও প্রিন্টের শাড়ি পরতে পারেন খুশিমতো। যারা তুলনামূলক বেশি চিকন স্বাস্থ্যের তারা সুতি, খাদি, সিল্ক ইত্যাদি শাড়ি পরতে পারেন। এই ধরনের শাড়িগুলো হালকা ফুলে থাকে। তাই সুন্দরভাবে গুছিয়ে পরলে দেখতে বেশ মানানসই লাগে।
২. স্বাস্থ্যবান বা স্থূল গড়ন হলে হালকা ও পাতলা কাপড় যেমন- জর্জেট, ক্রেপ, শিফন ধরনের শাড়ি আপনার জন্য উপযোগী। নকশা ছাড়া শাড়ির ক্ষেত্রে গাঢ় রংগুলো প্রাধান্য দিতে পারেন। কারণ কালো বা এর আশপাশের গাঢ় রংগুলো পরার ফলে শারীরিক গঠন কিছুটা চাপা দেখায়। ভারী কাপড়ে ও নকশায় তৈরি শাড়ি যেমন- সুতি, কাতান, বেনারসি ইত্যাদি পরলে কিছুটা ফুলে থাকে। ফলে আরও স্ফিত দেখাতে পারে।
৩. খাটো গড়নের অধিকারী প্রথমেই বেছে নিন গাঢ় রংয়ের শাড়ি। এতে দেখতে কিছুটা লম্বা লাগবে। চওড়া পাড়ের শাড়ি কখনও খাটোদের জন্য উপযোগী নয়। কারণ দেখতে আরও খাটো লাগতে পারে। ব্লাউজের হাতা লম্বা রাখুন। এতে হাত দেখতে কিছুটা লম্বা লাগবে। গলা বেশি মোটা না হলে চায়নিজ কলারের ব্লাউজ বেছে নিতে পারেন। সুন্দরভাবে ভাঁজ গুছিয়ে শাড়ি পরুন।
৪. লম্বা গড়ন হলে শাড়িতে স্বাভাবিকভাবেই দেখতে কিছুটা লম্বা লাগে। ভারী কাজ করা কালো বা গাঢ় রংয়ের আকর্ষণীয় ছাঁটের ব্লাউজ বেছে নিন। প্রিন্টের শাড়ি লম্বাদের জন্য আদর্শ। অনুষ্ঠানের জন্য ল্যাহেঙ্গা শাড়ি বেশি মানানসই।

শাড়ি পরার যতো ভুল:

১. শাড়ি খুব বেশি উপর বা নিচে পরা ঠিক নয়। এতে পা দেখতে ছোট লাগে। শাড়ি নাভির ঠিক নিচ থেকে পরা উচিত এবং আঁচল থাকবে কাঁধের মাঝ বরাবর।
২. খুব বেশি আঁটসাঁট বা ঢিলেঢালা ব্লাউজ পরা ঠিক নয়। এতে দেখতে খারাপ লাগে। সঠিক মাপের ব্লাউজ দিয়ে শাড়ি পরা হলে দেখতে সুন্দর লাগে ও আভিজাত্য বজায় থাকে।
৩. শাড়ি পরার সময় অবশ্যই সঠিক রং ও সঠিক মাপের পেটিকোট পরতে হবে। পেটিকোট লম্বায় ছোট হলে পা দেখা যাবে আবার বেশি লম্বা হলে শাড়ির নিচ থেকে পাটিকোট দেখা যাবে। শাড়ি পাতলা হলে রং মিলিয়ে পেটিকোট পরা উচিত।
৪. শাড়িতে মাঝখানে অনেক বেশি কুঁচি থাকলে দেখতে খারাপ দেখায় এবং অধিকাংশ নারীই এই ভুল করেন। শাড়ি পরার ক্ষেত্রে ছয়-সাতটি কুঁচি হল আদর্শ। কুঁচি তৈরিতে খুব একটা দক্ষ না হলে সেলাই করা কুঁচি শাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। এতে সময় ও শ্রম বাঁচবে আর দেখতেও ভালো লাগবে।
৫. শাড়ির সঙ্গে সমতল জুতা পরলে দেখতে খুব একটা ভালো লাগে না। উঁচু জুতাতে শাড়ির কুচি দেখতে সুন্দর লাগে। তাই শাড়ির সঙ্গে নিজের পছন্দসই উঁচু জুতা পরুন।
শাড়ি পরাটাকে কোনও ধরাবাঁধা নিয়মের মধ্যে রাখবেন না, ইচ্ছেমতো এক্সপেরিমেন্ট করুন। কত রকমভাবে যে শাড়ি পরা যায়, তা ভাবতেও পারবেন না! ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই ড্রেপিংয়ের হাজারটা পদ্ধতি জানতে পারবেন। এক্সপেরিমেন্ট করুন ব্লাউজ নিয়েও।

সুত্রঃ somoynews

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।