ত্বকের যত্নে মধু

সাজ সজ্জা
খাবারের পাশাপাশি রূপচর্চায় মধু খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে, ত্বক টানটান করতে এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। রূপচর্চায় মধুর সঠিক ব্যবহার না জানার কারণে অনেকেই বিষয়টি গুলিয়ে ফেলেন। ত্বক ও চুলের যত্নে মধুর ভূমিকা ও ব্যবহারবিধি নিয়ে আজ রইলো চমতকার কিছু টিপসঃ

১। ত্বকের নমনীয়তায়ঃ

মধু এক ধরনের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি বাতাস থেকে জলীয়কণা ত্বকের ভিতরে টেনে নেয়, যা ত্বকের গভীরে নমনীয়তা ধরে রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘসময় ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখতে মধু দারুণ উপকারী।

ব্যবহারবিধি : নিয়মিত ১ টেবিল চামচ পরিমাণ মধু পরিষ্কার ও শুষ্ক ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে ত্বক হবে কোমল ও মসৃণ।

২।লোমকূপে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতেঃ

মধুতে আছে এনজাইম যা ত্বক ও লোমকূপের গভীরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে। এছাড়াও মধুতে বিদ্যমান অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, জজবা বা নারিকেল তেল ত্বককে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

ব্যবহারবিধি : ২ টেবিল চামচ জজবা তেল বা নারিকেল তেলের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে চোখের চারপাশের ত্বক বাদ দিয়ে মিশ্রণটি পরিষ্কার ও শুষ্ক ত্বকে হালকাভাবে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

৩। ত্বকের কালো দাগ দূর করতেঃ

বিভিন্ন কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে যা ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে। মধু দাগ উঠিয়ে ত্বক করে উজ্জ্বল। এর ভেতরে থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের কালো দাগ কমাতে এবং টিস্যু পুনর্গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও নারিকেল বা জলপাইয়ের তেল ত্বকের মরা কোষ সতেজ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের হালকা মালিশ রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ত্বক সুস্থ রাখতে ও কোষ গঠনে সাহায্য করে।

ব্যবহারবিধি: ১ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মধুর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ নারিকেল বা জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে নিতে হবে। ত্বকের যেখানে দাগ বা ক্ষত চিহ্ন আছে সেখানে মিশ্রণটি লাগিয়ে ১-২ মিনিট হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। তারপর ত্বকে গরম তোয়ালে চেপে ধরে রাখতে হবে ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত। দৈনিক ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

৪। ব্রণ দূর করতেঃ

মধুর অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের লালচে ভাব ও জ্বালাপোড়া কমিয়ে ত্বক ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করবে।
ব্যবহারবিধি : আক্রান্ত স্থানে মধু লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

৫। রোদে পোড়া ভাব কমাতেঃ

মধু ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা ধরে রাখে। মধু এবং অ্যালোভেরা দুটোতেই আছে শক্তিশালী অ্যান্টিইনফ্ল্যামটরি, যা ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমায়।

ব্যবহারবিধি : মধুর সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে রোদে পুড়ে যাওয়া স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে রোদে পোড়াভাব কমে আসবে।

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।