”ব্যক্তিগত” জীবনসঙ্গী নির্বাচন

জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু পছন্দ-অপছন্দ তো থাকেই। সঙ্গে পারিবারিক চাহিদার কথাও মাথায় রাখতে হয়। এ পছন্দ-অপছন্দটা বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, শারীরিক সুস্থতা, চাকরি বা ক্যারিয়ার, পারস্পরিক মিল ইত্যাদি মিলিয়েই নির্ধারণ করা হয়। পাত্র-পাত্রী উভয়েরই এ ব্যাপার মনে রেখেই একটা সম্পর্কের দিকে এগুনো উচিত। শুধু কি এ বিষয়গুলোর দিকে গুরুত্ব দিলেই সব মিটে যাবে? না, তা নয়। ছেলেরা যেমন জীবনসঙ্গীর বাহ্যিক দিককে প্রাধান্য দেন, মেয়েরাও তাই।

‘আমার চেয়ে লম্বা না হোক, অন্তত আমার সমান উচ্চতার তো হওয়া চাই’— পাত্র খোঁজার বেলায় এই কমন শর্তটি অনেক মেয়েই জুড়ে দেন।  আর্থিক অবস্থা, ক্যারিয়ার এগুলোয় না হয় একটু ছাড় দেয়া যাবে। কিন্তু উচ্চতায়? একদমই না। নইলে ‘পাশাপাশি দাঁড়ালে কেমন লাগবে দেখতে!’ অনেক মেয়ের মতে, উচ্চতার পার্থক্য নিয়ে এই যে চিন্তাভাবনা, এর পেছনে একটাই কারণ হতে পারে। সেটা হলো মেয়েদের দমিয়ে রাখার একটা উপায় এটি।  মেয়েটি তুলনামূলক খাটো হলে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ, এ মানসিকতা কাজ করতে পারে বলে তার মনে হয়। তাহলে মেয়েরাই কেন চান যে সঙ্গীটি তার তুলনায় লম্বা হবে?

লম্বা মানুষেরা জীবনের লক্ষ্যের ব্যাপারে অনেক বেশি নিষ্ঠাবান থাকেন। লম্বা মানুষের সাইকোলজিক্যাল মাইন্ড যা দেহকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। লম্বা নারীরা নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে থাকেন। মেয়েরা লম্বা হলে বর পাওয়া মুশকিল— এমনই আমাদের প্রচলিত ধারণা। তবে কেউ এটা সরাসরি বলে না। এমন একটা ভাব, এটা আবার বলার কী আছে, মেয়েটি ছেলেটির চেয়ে খাটো হওয়াই স্বাভাবিক। তবে মেয়েদের বেলায় ছাড় দেওয়ার মনোভাবও বেশি। স্ত্রী লম্বা হলে তার পাশে মানাবে না, এই যুক্তির কথাই সাধারণত ছেলেরা বলেন। তবে মেয়ে সুন্দরী হলে সেক্ষেত্রে ছাড় দেন অনেকে। আবার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পারিবারিক অবস্থান মিলে গেলে মেয়েরা সাধারণত উচ্চতার পার্থক্য নিয়ে আর আপত্তি করেন না।

 

পাত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেয়েরা পাত্রের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, ক্যারিয়ার, বয়সের পার্থক্য— এসব বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে পাত্রের গায়ের রঙ, উচ্চতা ও সুস্বাস্থ্য এসব ব্যাপার গুরুত্ব দেয় বেশি। তবে পাত্রের উচ্চতার গুরুত্বটা প্রথমে দেয়। যদিও মেয়েরা কথায় কথায় বলেন, লম্বা মানুষের বুদ্ধি থাকে হাঁটুতে। কিন্তু পাত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারা প্রাথমিকভাবে লম্বা পাত্রকেই প্রাধান্য দেন। কেউ কেউ মনে করেন, লম্বা মানুষের তুলনায় জীবনসঙ্গী হিসেবে খাটো মানুষের চাহিদা কম, কিন্তু খাটো মানুষ লম্বা মানুষের তুলনায় জীবনসঙ্গী হিসেবে অনেক ভালো ও বিশ্বস্ত হয়। এক্ষেত্রে ছেলেদের গায়ের রঙ শ্যামলা বা কালো হলেও কোনো সমস্যা নেই কিন্তু উচ্চতার দিকে মেয়ে ও অভিভাবক সবার মত অনেকটা একই, ছেলে লম্বা হতে হবে। খুব বেশি না হোক অন্তত মানানসই বা দেখতে বেঁটে যেন না লাগে এমন ছেলেই পছন্দ সবার। লম্বা মানুষের মধ্যে সামান্য মানসিক চাপে নিজের জীবনসঙ্গীকে ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা দেয়। কিন্তু খাটো মানুষেরা নিজের জীবনসঙ্গীর ব্যাপারে অনেক বেশি অনুভূতিশীল হয়ে থাকেন। এই তথ্যটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য।
এখন ছেলে কিংবা মেয়ে উভয়ই স্বাস্থ্যসচেতন বিধায় ছেলেরা সাধারণত মোটাদের তুলনায় ছিপছিপে বা পাতলা গড়নের মেয়েকে বেশি পছন্দ করেন। আর উচ্চতার ক্ষেত্রে খুব বেশি লম্বা মেয়ে ছেলেদের পছন্দ নয়, এক্ষেত্রে মিডিয়াম বা খাটো উচ্চতার হলেও সমস্যা নেই। কিন্তু উভয়পক্ষেই যে ব্যাপারটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পাত্র-পাত্রী দুজনকেই শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে। না হলে পরবর্তীকালে এর প্রভাব সাংসারিক জীবনে পড়তে পারে।

সূত্র ; bonikbarta

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।