”প্রসাধনী” লিপস্টিক ব্যবহারে কিছু পরামর্শ

সাধারণত ঠোঁট রাঙানোর জন্য বিভিন্ন বয়সী নারীরা বিভিন্ন রঙের  লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকেন।

লিপস্টিক তৈরিতে ৪টি মুল উপাদান ব্যবহিত হয়।

  • মোম
  • তেল
  • রঞ্জক পদার্থ ও
  • অ্যালকোহল

নারীর সৌন্দর্যে বিভিন্ন আকার, রঙ, সুগন্ধ এবং ভিন্ন ধরণের লিপস্টিক বাজারে পাওয়া যায়।

  • উজ্জ্বলতা দেয়া লিপস্টিক
  • আর্দ্র লিপস্টিক
  • শুষ্ক লিপস্টিক
  • ক্রিম লিপস্টিক
  • গ্লসি লিপস্টিক
  • দীর্ঘস্থায়ী লিপস্টিক

আর্দ্র লিপস্টিক সাধারণত এমন ঠোঁটের জন্য ব্যবহৃত হয়, যা সারা বছরই শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। এমন ঠোঁটকে সুন্দর ও সতেজ রাখতে আর্দ্র লিপস্টিকের জুড়ি নেই। এই লিপস্টিকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। উজ্জ্বলতা দেয়া লিপস্টিকগুলো ঠোঁটে একরকম চাকচিক্য নিয়ে আসে, যার কারণে ঠোঁটকে আরও আকর্ষণীয় দেখায়। শুষ্ক লিপস্টিক গরমকালে বেশি ব্যবহৃত হয়। ঘেমে ওঠা ঠোঁট থেকে যেন লিপস্টিক লেপটে না ওঠে, সেজন্য এই ধরনের লিপস্টিক ব্যবহৃত হয়। ক্রিম এবং গ্লসি লিপস্টিক সাধারণত আর্দ্র লিপস্টিকের চেয়েও আরও নরম হয়। দীর্ঘস্থায়ী লিপস্টিক যেকোনো পার্টি বা দূরপাল্লার যাত্রায় সঙ্গী হতে পারে। এই ধরনের লিপস্টিক শুষ্ক এবং আর্দ্র দু’ভাবেই পাওয়া যায়।

লিপস্টিক ব্যবহারের উপকারিতা

লিপস্টিক যে শুধু ঠোঁটের বা মুখের সৌন্দর্যই বাড়ায়, তা-ই নয় বরং ঠোঁট আর্দ্র এবং নরম রাখতেও লিপস্টিক ব্যবহার করা যায়। ক্রিম লিপস্টিক, আর্দ্র লিপস্টিক বা গ্লসি লিপস্টিক ঠোঁটকে নরম রাখে এবং ফাটল থেকে ঠোঁটকে সুরিখিত করে  যদিও এমন শোনা যায় যে অতিরিক্ত লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটের চামড়ার ক্ষতি হয়, কিন্তু ভালো ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটকে ভালো রাখা যায়। কিছু কিছু লিপস্টিক সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও ঠোঁটকে রক্ষা করে।

লিপস্টিক ব্যবহারের অপকারিতা

প্রতিটি জিনিসেরই কিছু না কিছু না ভালো এবং খারাপ উভয় দিক থাকে। লিপস্টিকও তার ব্যতিক্রম নয়। লিপস্টিকের অতিরিক্ত ব্যবহারে ঠোঁটের লোমকূপ ছোট হয়ে আসে, যার ফলে ঠোঁটের চামড়ার নমনীয়তা কমে যায়। ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায় এবং ক্ষেত্র বিশেষে ঠোঁট তার নিজ রঙ এবং স্বাভাবিকতা হারায়। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে লিপস্টিকে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম ব্যবহৃত হয়, যা বিপদজনক রোগ এবং শারীরিক ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাডমিয়াম রেচনতন্ত্রে এবং কিডনি বা বৃক্কীয় রোগের সৃষ্টি করে।

লিপস্টিক ব্যবহারে কিছু পরামর্শ

  • লিপস্টিক ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ঠোঁটে ভেসলিন বা যেকোনো পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা লিপবাম ব্যবহার করুন। এতে ঠোঁটের চামড়া নরম থাকবে।
  • সঠিক রঙ পেতে একবার লিপস্টিক ঠোঁটে লাগিয়ে দুই ঠোঁটের মাঝে টিস্যু চেপে ধরুন। তারপর আবার লিপস্টিক ব্যবহার করুন। এতে লিপস্টিক এর রঙ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
  • আপনি যদি শুষ্ক লিপস্টিক ব্যবহারে অভ্যস্ত না হন, কিন্তু আপনার কাঙ্ক্ষিত লিপস্টিকটি আরেকটু শুষ্ক হলে হয়ত আপনার সাজটি পরিপূর্ণ হতো- এমন সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে লিপস্টিক ব্যবহারের পর একটি টিস্যু হালকা করে ঠোঁটে বসিয়ে নিন। এরপর মেকাপ ব্রাশের সাহায্যে অল্প একটু পাউডার নিয়ে টিস্যুর উপরেই ব্রাশ বুলিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পরে দেখবেন আর্দ্র রেখেই লিপস্টিকটি অতিরিক্ত ভেজা ভাব কমিয়ে আপনার সাজকে আরও সুন্দর করে তুলেছে।
  • রাতে কখনই লিপস্টিক না তুলে ঘুমাতে যাবেন না। তাহলে রাতে ঠোঁট এর প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা পাবে না এবং ধীরে ধীরে ঠোঁট রুক্ষ হয়ে যায়।
  • লিপস্টিক তোলার সময় টিস্যু ব্যবহার করুন। টিস্যুতে হালকা পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভেসলিন নিয়ে আস্তে আস্তে ঠোঁটে ঘষতে থাকুন। এতে ঠোঁটের কোনোরকম ক্ষতি ছাড়াই লিপস্টিক উঠে আসবে।
  • ঠোঁটে নিয়মিত লিপবাম ব্যবহার করুন। লিপস্টিকের উপরেও লিপবামের একটি প্রলেপ যোগ করবে বাড়তি সৌন্দর্য।

সূত্র ; roar

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।