”হেলথ টিপস” ব্রাশ ব্যবহার করার নিয়ম

টুথব্রাশ কতটা জীবাণুমুক্ত সেটা হয়তো কর্তব্যের বিষয় মনে করেন না অনেকেই। অথচ এই ব্রাশের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে হাজার রকমের জীবাণু, যা দাঁতের জন্য সমূহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মুখে ঘা হওয়া, মাঁড়ি ফুলে যাওয়া, মাঁড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া, দাঁতে গর্ত সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় ব্রাশে লুকিয়ে থাকা জীবাণুর কারণে। তাই টুথব্রাশ সঠিকভাবে পরিষ্কার ও সংরক্ষণ করা জরুরি।

এ বিষয়ে দন্তবিশেষজ্ঞেরা কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন, ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে নরম ব্রাশ। কেনার সময় এটা লক্ষ রেখেই ব্রাশ কিনতে হবে। বাসায় যার যার ব্রাশ ভালোভাবে পরিষ্কার করে আলাদা আলাদাভাবে রাখতে হবে। দুইটি ব্রাশ একদম পাশাপাশি না রাখাই ভালো। আর যদি কেউ অন্যের ব্রাশ ভুলক্রমে ব্যবহার করেই ফেলে তাহলে সেটি বাতিল করে দেয়াটাই উত্তম। ব্রাশ রাখতে হবে বাথরুমের বাইরে কোনো সুবিধাজনক স্থানে। বাথরুমের ভেতরের বেসিনে ব্রাশ রাখা একেবারেই অনুচিত।

কারণ, বাথরুমে থাকে প্রচুর জীবাণু। এসব জীবাণু টুথব্রাশের মাধ্যমে মুখে চলে যায়। এ ছাড়া, ব্রাশ কখনো প্লাস্টিকের ক্যাপ অথবা টিস্যুর কভারের ভেতরে ভরে রাখা ঠিক না। এতে ব্রাশের আর্দ্রতা সহজে শুকায় না। আর আর্দ্র পরিবেশেই নানা ধরনের জীবাণু বাসা বাঁধার সুযোগ পায়। ব্রাশ ব্যবহারের পর ব্রাশে লেগে থাকা পানি যতটা পারা যায় ঝেড়ে রাখা ভালো।

টুথব্রাশ রাখতে হবে খাড়া করে অর্থাৎ ব্রাশের দিকটা ওপরের দিকে। এতে ব্রাশে থাকা অতিরিক্ত পানি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। প্রতি তিন মাস পরপর টুথব্রাশ বদলে ফেলা আবশ্যক। তিন মাসের বেশি সময় ধরে টুথব্রাশ ব্যবহার করলে এতে নানা ধরনের জীবাণু বাসা বাঁধার সুযোগ পায়।

সূত্রঃ ইন্টারনেট।

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।