”রূপচর্চা” ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয় যে কারণে

ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় যতই রূপচর্চা ত্বকের বা যত্ন নেওয়া হোক না কেনো, সাধারণ কিছু অভ্যাসের কারণে নষ্ট হতে পারে ত্বক।

গরম পানি দিয়ে দীর্ঘ সময় গোসল :

সারাদিন পর গরম পানি দিয়ে গোসল, শুনতে প্রশান্তি লাগলেও প্রতিদিনের এই অভ্যাস ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষার্থে জন্য বেশ ক্ষতিকর। মাঝে মধ্যে গরম পানির গোসল ভালো। তবে প্রতিদিন এই অভ্যাস ত্বকের বাইরের দিক নষ্ট করে ফেলে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং চামড়ায় পানিশূণ্যতাও দেখা দিতে পারে। তাই গোসলের জন্য সাধারণ উষ্ণতার পানিই সবথেকে আদর্শ।

সাঁতার:

যারা নিয়মিত সাঁতার কাটেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। সুইমিং পুলের পানিতে থাকা ক্লোরিনের কারণে ত্বক পুড়ে কালচে হয়ে যেতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে অ্যালার্জিও হতে পারে। তাই ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে বা ঠিক রাখতে সাঁতার কাটার আগে ও পরে এসপিএফ ও ভিটামিন ই যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার উচিত।

তির্যকদৃষ্টি :

চোখের কোনো রোগ নাই, দৃষ্টিশক্তি ভালো, পড়তে চশমা লাগে না, রোদে সানগ্লাস দরকার হয় না তারপরেও বারবার চোখ কুঁচকালে বা তির্যকদৃষ্টিতে তাকালে চক্ষু চিকিৎসক দেখান। এই অভ্যাস দৃষ্টিশক্তির উপর প্রভাব না ফেললেও চোখের চারপাশে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

পরোক্ষ ধূমপান :

আপনি ধূমপায়ী নন। তবে ধূমপায়ী সহচর্যও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। কারণ সিগারেটের ধোয়া খুবই খারাপ ধরনের দূষণ যা ত্বকের সৌন্দর্য লোপ করে দিতে পারে।

স্ট্র বা পাইপ :

বিভিন্ন ধরনের পানীয় পান করার জন্য বেশি মাত্রায় স্ট্র ব্যবহার করলে ঠোঁট এবং ঠোঁটের কিনারায় ফাটল ধরতে পারে। মুখের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে এবং ত্বকের সৌন্দর্য স্বাভাবিক রাখতে সরাসরি গ্লাস থেকেই পান করা ভালো।

না খেয়ে থাকা :

অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য একবেলা না খেয়ে থাকেন। তবে নিয়মিত খাবারের মধ্যে একবেলা না খেয়ে থাকলে তা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তেমনি খাবার না খেলে ত্বকও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল পায় না। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হতে পারে।

চুলের প্রসাধনী ত্বকে লেগে গেলে :

অনেক সময় অসাবধানতাবশত চুলের প্রসাধনী ত্বকে লেগে যেতে পারে। স্টাইলিং জেল, কন্ডিশনার, হেয়ার স্প্রে, সেটিং স্প্রে ইত্যাদি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষার্থে চুলের প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।

নোংরা সানগ্লাস পরা :

সানগ্লাসও প্রায় প্রতিদিন ব্যবহৃত হয় এবং তা নিয়মিত পরিষ্কারের বিষয়ও মাথায় থাকে না। তাই ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ও অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়।

ঘন ঘন ওয়াক্সিং করা :

ত্বকের অবঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য ওয়াক্সিং বেশ জনপ্রিয়। তবে ঘনঘন ওয়াক্সিংয়ের ফলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া লোমকূপে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। অন্যদিকে অতিরিক্ত ওয়াক্সিংয়ের ফলে ত্বকের স্বাভাবিক নমনীয়তাও নষ্ট হয়ে যায় যার কারণে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখা যায় না।

সূত্র ; Facebook

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।