”মুখের প্রসাধনী” লিপস্টিক লাগানোর নিয়ম

নারীর সাজের লিপস্টিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে। তবে ঠোঁটে লিপস্টিক লাগালেই কিন্তু ঠোঁট আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে না। লিপস্টিক লাগাতে হবে সঠিক আর সুন্দরভাবে। জেনে নিন লিপস্টিক লাগানোর কলাকৌশল

প্রথমেই আসা যাক কোন ঠোঁটে কী ধরনের লিপস্টিক লাগানো যাবে__

* পাতলা ঠোঁটে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করা যায়। ন্যাচারাল লুকের জন্য ম্যাট লিপস্টিক ভালো। লাল রঙের লিপস্টিকই এ ক্ষেত্রে ঠিক। পার্টি ড্রেসের সাথে বা রাতের পোশাকের সাথে এই কালারটা দারুণ মানায়।
* যদি আপনি পুরো ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহার করতে চান তাহলে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করুন। উজ্জ্বল ও চকচকে ড্রেসের সাথেও এটা মানাবে। গরমের সময় এ ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। পিংক, চকোলেট, আইসমন্ড কালারের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন।
* ঠোঁটে ন্যাচারাল আকর্ষণ তৈরি করতে লিপগ্লস ব্যবহার করুন। বাজারে নানা রঙের লিপগ্লস পাওয়া যায়, লিপস্টিকের ওপর হালকা করে লিপগ্লস লাগিয়ে নিন।

লিপস্টিকের শেড কেমন হবে___

* যদি আপনার গায়ের রঙটা একটু চাপা হয় তাহলে পিংক বা পিচের মতো হালকা শেডের লিপস্টিকগুলো এড়িয়ে চলুন।
* গায়ের রঙ হলদে ফর্সা হলে বা হলদে হলে অরেঞ্জ শেডের লিপস্টিক লাগাবেন না।
* সব ধরনের ত্বকের জন্য ব্রাউন, কপার, ব্রোঞ্জ, কোরাল, ডাস্ট, ইট লাল কালার ভালো।
* রাতের অনুষ্ঠানের জন্য গাঢ় লাল, বার্গ্যান্ডি, প্লাস প্রভৃতি রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন।
লিপ লাইনার কিভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নেয়া যাক-
* প্রথমে আপনি যে রঙের লিপস্টিক লাগাবেন লাইনারটা তার থেকে এক শেড গাঢ় রঙের নেবেন। পেনসিল লিপ লাইনার ব্যবহার করতে পারেন।
* লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁটের আউটলাইনটা একদম ঠোঁটের মাঝ বরাবর থেকে কিনার পর্যন্ত টানুন।
* ওপরের ঠোঁটের একদম শেষ পর্যন্ত টেনে লাইনার লাগাবেন না।
* নিচের ঠোঁটে এমনভাবে লাইনার টানুন, যাতে ওপরের ঠোঁটের আউট লাইনটাকে স্পর্শ করে।
* যে কালারের লিপস্টিক ব্যবহার করবেন লিপলাইনারটা সেই কালারেরই ব্যবহার করুন।
* আপনার লিপ পেনসিলটাকে লিপ লাইনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আবার এটাকে লিপস্টিকের মতো ব্যবহার করতে পারেন।

লিপস্টিক লাগাবেন যেভাবে___

* লিপ ব্রাশ দিয়ে লিপস্টিক লাগাতে পারেন। এতে ঠোঁটের শেপ ভালো বোঝা যাবে।
* ঠোঁটের ঠিক মাঝ বরাবর থেকে লিপস্টিক লাগান।
* ঠোঁটের অতিরিক্ত লিপস্টিক টিস্যু পেপার দিয়ে চেপে মুছে নিন। উজ্জ্বল বা চকচকে ভাব আনতে চাইলে লিপগ্লস লাগান।
* যদি লিপস্টিক না লাগিয়ে শুধু লিপগ্লস লাগাতে চান তাহলে তা লিপ ব্রাশ দিয়ে লাগাবেন।
সব শেষে আপনার জন্য রইল কিছু স্পেশাল টিপস-
* বেশিক্ষণ লিপস্টিক রাখতে চাইলে, ঠোঁটে প্রথমে পাউডার লাগান। তারপর লিপস্টিক লাগান।
* দিনের আলোতে লিপস্টিকের সঠিক রঙটা দেখে নিন। তারপর ব্যবহার করবেন।
* রাতের অনুষ্ঠানে উজ্জ্বল রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন।
* ত্বকে বলি রেখা থাকলে গাঢ় শেড বা গাঢ় মেরুন রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। এতে আরো রুক্ষ লাগবে।
* লিপস্টিক লাগিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটু হাসুন, বুঝতে পারবেন আপনার ঠোঁটের পুরো অংশে লিপস্টিক লেগেছে কি না।
* ব্রাইট লিপস্টিক টেনে ডাউন করতে চাইলে লিপগ্লস নতুবা ডার্ক ফাউন্ডেশন লাগান।
* লিপ ও নেল কালার ম্যাচ করে লাগাতে পারেন তবে যেন দু’টা কালার ক্যাশ না করে।
* ড্রেসের সাথে ম্যাচ করে লিপস্টিক লাগাবেন।
* লিপস্টিক ও ব্লাশান এক শেডের হলে ভালো।
* ঠোঁট সব সময় ময়েশ্চারাইজড লিপস্টিক বা লিপবাম ব্যবহার করুন। ঠোঁট নরম ও মসৃণ থাকবে।
* আপনার লিপবাম বা লিপস্টিকে যেন এসপিএফ-১৫, ভিটামিন-ই অ্যালোভেরা এবং গ্লিসারিন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
* লিপস্টিক দুই বছরের পুরনো হলে ব্যবহার না করা ভালো। ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে।
* গরমের সময় রেফ্রিজারেটরে লিপস্টিক রাখতে পারেন। প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে রাখতে পারেন।
* লিপ পেনসিল নিয়মিত শার্পনার দিয়ে কেটে মুখ ক্যাপ দিয়ে আটকে রাখুন। তা না হলে ধুলা-ময়লায় লিপপেনসিল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
* অন্যান্য মেক-আপ ব্রাশের মতো লিপ ব্রাশও মাসে দুই-তিনবার পরিষ্কার করবেন। কুসুম গরম পানিতে সাবান ও অ্যান্টিসেপ্টিক লোশন মিশিয়ে ব্রাশ ধুতে পারেন।
* সব সময় পরিষ্কার কাপড় বা টিসু দিয়ে মুছবেন।

সূত্র ; Facebook

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।