”রূপচর্চা” পা ফাটার কারণ ও পা ফাটা রোধ করার উপাই

শীত আসি আসি করছে। শীত আসার আগে ত্বকের যে সকল সমস্যায় পড়তে হয় তার মধ্যে পা ফাটা হল অন্যতম। শুষ্ক আবহাওয়া ও পায়ের পাতার গোড়ালির নিচের অংশ ফেটে যাওয়াকে পা ফাটা বলে। সাধারণত শীতকালে পা ফাটা সমস্যাটা দেখা যায়, তবে অনেকেই সারা বছর পা ফাটা সমস্যায় ভোগে থাকেন। অনেকেই পা ফাতা রোধ করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সবসময় এই সকল ক্রিম কাজ করে না।গোড়ালির ফাটল, বা পা ফাটা কেবল একটি সাধারণ সৌন্দর্যসংক্রান্ত সমস্যা এবং একটি বিরক্তিকর উৎপাত হতে পারে, কিন্তু এ থেকে আবার গুরুতর শারীরিক সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে৷ পায়ের তলায় গোড়ালির বাইরের দিকের চামড়া শক্ত, শুষ্ক হয়ে গেলে ও ছাল উঠতে থাকলে পা ফাটে, এবং মাঝে মাঝে এত গভীর ফাটল হয় যে ব্যথা করে বা রক্ত বার হয়৷ শীতকালে এ সমস্যা আরো প্রকট হয়ে দাঁড়ায়।
পা ফাটা একটি খুবই সাধারণ সমস্যা যাকে ‘গোড়ালি ফাটা’ও বলা হয়৷ পা ফাটার সাধারণ কারণ হল চামড়ার শুষ্কতা(জ়েরোসিস)৷ গোড়ালির ধার বরাবর চামড়া পুরু হলে(ক্যালাস) লক্ষণগুলি আরো বেড়ে যায়৷

পা ফাটার কারণ:

১।ঠান্ডা আবহাওয়া.
২।পানির স্বল্পতা
৩।কারো পা প্রাকৃতিক ভাবে শুষ্ক হয় তবে ফেটে যেতে পারে
৪।দীর্ঘ সময় কোন শক্ত স্থানে দাঁড়িয়ে থাকলে পা ফেটে যেতে পারে।
৫।অনেক গরম পানি দিয়ে গোসল করা.
৬।ডায়াবেটিস বা থাইরয়েডে সমস্যায়
৭।বয়স বৃদ্ধির কারণে.
৮।নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং না করা ইত্যাদি।

১। নারকেল তেল

পা ফাটা রোধ করার সবচেয়ে সহজ এবং সস্তা উপায় হল নারকেল তেল। নারকেল তেল পা ময়েশ্চারাইজ করে ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস দূর করে থাকে।

– ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে পা ভিজিয়ে নিন। তারপর পা ঘষে নিন।

– তারপর পা মুছে নারকেল তেল লাগিয়ে নিন।

– এভাবে সারা রাত থাকুন।

– পরের দিন সকালে পা ধুয়ে ফেলুন।

– এটি নিয়মিত করুন যত দিন পর্যন্ত না পা ফাটা সম্পূর্ণ ভাল হচ্ছে। আপনি চাইলে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।

২। পেট্রোলিয়াম জেলি এবং লেবুর রস

পেট্রোলিয়াম জেলি আপনার শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। এটি ফাটা দাগ সমান করে থাকে। এর সাথে পায়ের পাতা নরম করে তোলে।

– ১ চা চামচ পেট্রোলিয়াম জেলি, ১টি লেবুর রস মিশিয়ে নিন।

– প্রথমে পা কুসুম গরম পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।

– তারপর পা শুকিয়ে নিন।

– জেলি, লেবুর রসের মিশ্রণটি পায়ে লাগান।

– হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন।

– এভাবে সারা রাত রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে পা ধুয়ে ফেলুন।

– ভাল ফল পেতে নিয়মিত ব্যবহার করুন।

৩। ভিনেগার

ভিনেগারে অ্যাসিটিক এসিড আছে যা পায়ের তালু এক্সফলিয়েট করে। এবং পায়ের পাতাকে নরম করে থাকে।

– ১/২ বা ১ কাপ সাদা বা আপেল সাইড ভিনেগার এবং ২ কাপ পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন।

– এই মিশ্রণে পা ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।

– তারপর হালকা হাতে ঘষে নিন।

– পা শুকিয়ে গেলে পেট্রোলিয়াম জেলি বা ময়েশ্চারাইজার দিয়ে দিন।

– এছাড়া চালের গুঁড়া, মধু, ভিনেগার, অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।

– পা ভাল করে ধুয়ে এটি দিয়ে কয়েক মিনিট ঘষুন। তারপর কসুমু গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন।

এটি সপ্তাহে দু বার করুন।

সূত্র ; Facebook
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।