”চুলের যত্ন” চুলের পরিচর্যা করার উপাই

মৌসুম বদলের এসময় ত্বক এবং চুলের নানা ধরনের সমস্যা হয়। শুষ্ক হয়ে চুল পড়া বেড়ে যায়। একারণে এসময় চুলের বাড়তি যত্ন নিতে হয়। কিছু বিষয় মেনে চললে ঘরে বসেই চুলের পরিচর্যা করা সম্ভব।

নিয়মিত তেল ম্যাসাজ

চুলের যত্নে নিয়মিত তেল ম্যাসাজ করা খুবই জরুরি। তা না হলে এসময় চুলের শুষ্কতা বেড়ে যেতে পারে। এতে চুলের গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়া বেড়ে যাবে। এজন্য রাতে হালকা গরম করে চুলে ভালভাবে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। পরদিন সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন। তা না করা গেলে শ্যাম্পু করার অন্তত ঘণ্টা দুয়েক আগে চুলে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করুন। তবে নারিকেল তেলের সংঙ্গে একটু অলিভ অয়েল আর একটু অ্যাভোকাডো অয়েল মিশিয়ে অল্প গরম করে ম্যাসাজ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। বেশি জোরে ম্যাসাজ করা ঠিক হবে না। তাতে চুলের ক্ষতি হতে পারে। ম্যাসাজ করা শেষ হলে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে সেটা ভালভাবে চিপে মাথায় বেঁধে নিন। এভাবে আধা ঘণ্টা রাখলে তেলটা চুলের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছুবে।

অ্যালোভেরা ব্যবহার

যুগ যুগ ধরে সৌন্দর্যচর্চায় অ্যালোভেরা ব্যবহার হয়ে আসছে। চুলের যত্নেও অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। অ্যালোভেরার রস চুলের বাড়তি পুষ্টি জোগায়। এছাড়া চুলের যত্নে অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন।

পেঁয়াজের রস

চুল পড়া রোধ করতে পেঁয়াজের রস খুবই কার্যকরী। পেঁয়াজে থাকা কোলাজেন নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, পেঁয়াজের রস খুশকি সমস্যাও কমায়। অনেকের পক্ষে প্রতিদিন পেঁয়াজের রস করা সম্ভব নাও হতে পারে। তাই একসঙ্গে বেশি রস করে ফ্রিজে রেখে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। ভাল ফল পেতে এই রস চুলের গোড়ায় আধাঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

খাবারে যত্ন নিন

চুল পড়া রোধ করতে প্রতিদিন বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি খান। দিনে অন্তত আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন। এছাড়া চুলের পুষ্টির জন্য ভিটামিন-ই ট্যাবেলট খেতে পারেন।

কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করুন

ভেজা চুল আঁচড়ানো ঠিক নয়। এছাড়া চুল শুকানোর জন্যে ঘন ঘন হেয়ার ড্রাই ব্যবহার করাও চুলের জন্য ক্ষতিকর। আর করলেও তা অল্প হিটে কিছুটা দূর থেকে ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে চুল ঝরঝরে থাকবে।

সূত্র ; Facebook

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।