চুলের যত্নঃ চুলের ধরন বুঝে চুলের যত্ন

 স্বাভাবিক চুলের যত্ন 

নিয়মিত চুলের যত্ন নিলে চুলের মসৃণতা বজায় থাকে। সপ্তাহে একদিন তেল উষ্ণ গরম করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন আনুমানিক ১৫-২০ মিনিট। এরপর গরম পানিতে ভেজানো টাওয়েল ১৫-২০ মিনিট মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। এরপর একটি ডিম, ২ চা চামচ মধু, ২ চা চামচ আমলকীর রস, ২ চা চামচ অলিভ অয়েল, জবা ফুলের রস/পেস্ট, সামান্য গরম পানি একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ২৫-৩০ মিনিট। এরপর পরিষ্কার করে চুল ধুয়ে ফেলুন। পরে চায়ের লিকার, লেবুর রস ও আধা চামচ মধু মিশিয়ে পানিসহ এক মগ করুন। সেটি দিয়ে চুল ধয়ে ফেলুন এবং চুল মুছে নিন। এভাবে খুব সহজেই স্বাভাবিক চুলের যত্ন করা যায়।

শুষ্ক চুলের যত্ন

আমাদের অনেকেরই মাথার চুল শুস্ক আর শুষ্ক চুলের যত্ন কিভাবে করতে হয় সেটা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। চুল শুষ্ক হলে একদিন পরপর অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে উষ্ণ গরম করে পুরো চুলে ও স্কাল্পে ম্যাসাজ করুন ২০-২৫ মিনিট। এরপর গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে স্টিচ নিন। ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং কন্ডিশনার লাগান। শেষে চায়ের লিকার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। যাদের চুল রুক্ষ, শুষ্ক ও লালচে তারা একটি জবাফুল বাটা, ২ চামচ মধু ও এক চামচ আমলকী বাটা, টক দই, ডিমের কুসুম, মেথিগুঁড়া, ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো চুলে ঘণ্টাখানেক লাগিয়ে রাখুন। তারপর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং কন্ডিশনার লাগিয়ে ৪-৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন আর চমক দেখুন।

খুশকি :

অধিকাংশ মানুষের খুশকি একটা বড় সমস্যা। চলুন দেখে নেই খুশকিযুক্ত চুলের যত্ন কিভাবে নিতে হয়। খুশকি কোনো রোগ বা রোগের লক্ষণ নয়। এটি স্কাল্পের শুষ্ক চামড়া। যা সবারই কমবেশি হয়ে থাকে। চুল পড়া এবং খুশকি ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জনের হয়ে থাকে। বসন্তে এ সমস্যা অনেকেরই দেখা দেয়। নিজের চিরুনি, ব্রাশ, তোয়ালে, বালিশের কভার যথাসাধ্য পরিষ্কার এবং আলাদা রাখুন। মেডিকেটেড শ্যাম্পু, মাইকোনাজোনযুক্ত লোশন, ক্ষেত্রবিশেষে স্টেরয়েড লোশন ব্যবহারে সম্পূর্ণ সেরে যায়। তবে খুশকি নিরাময়ের জন্য ঘরোয়া হারবাল পদ্ধতি অবলম্বন করাই ভালো। কারণ ঘরোয়া হারবাল পদ্ধতিতে কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই।

চুল পড়া কমাতে :

এবার আমরা দেখবো চুল পড়া কমাতে কিভাবে চুলের যত্ন নিতে হয়। চুল পড়ার সমস্যা এবং চুল রুক্ষ্ম হয়ে যাওয়ার সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। এই সমস্যাটি অনেকসময় চুল বেঁধে রাখার উপরেও নির্ভর করে। ভুল পদ্ধতিতে চুল বাঁধার কারণে বিচ্ছিরি চুল পড়ার শিকার হন অনেকেই। তাই সবসময় খেয়াল করা উচিত আপনি কীভাবে চুল বাঁধছেন তার দিকে।

সূত্র ; Facebook

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।