প্রতিদিনের ৮টি কাজে কমিয়ে নিন পেটের মেদ

পেটের মেদ সব বয়সের নারী-পুরুষের জীবনেই একটা বিভীষিকার নাম এই পেটের মেদ। শত চেষ্টা করে, ডায়েট করে, ব্যায়াম করেও একে কমানো যেন খুবই কঠিন। কম ঝামেলায় অল্প সময়ে পেটের মেদ ঝরাতে রোজকার রুটিনে যোগ করুন এই কাজগুলো।

(১) নাস্তায় ওটমিল- সকালের নাস্তায় রোজকার খাবারের বাদ দিয়ে খাওয়া শুরু করুন ওটমিল, সাথে যোগ করুন তাজা কোন ফল। ওটমিলে আছে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার যা পেটের মেদ কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। তাই সকাল শুরু করুন এই ভালো খাবারটি দিয়ে।

(২) প্রতিদিন গ্রিন টি- দিনে কমপক্ষে দুই কাপ বা তার বেশী গ্রিন টি পান করুন। গ্রিন টি চর্বি পোড়াতে ও পেটের মেদ কমাতে খুবই সহায়ক।

(৩) কয়েকটি বিশেষ উপাদান খাদ্য তালিকায় যোগ করুন- Monounsaturated fatty acids (MUFAs) ও polyunsaturated fatty acids (PUFAs) সমৃদ্ধ খাবার। যেমন, এক মুঠো কাঠ বাদাম না অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল না সানফ্লাওয়ার অয়েল।

(৪) হাঁটার একটু নিয়ম- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি দৈনন্দিন একটু হাঁটাহাঁটি করুন। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ৩০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটুন। বাকি দিন গুলো ঘরের মাঝে হালকা পায়চারী করুন। পেটের মেদ দ্রুত কমবে।

(৫) একটু পরিবর্তন আনুন- খাদ্যাভ্যাসে খাদ্য তালিকা থেকে কার্বোহাইড্রেট ও চিনি জাতীয় খাবার কমিয়ে অর্ধেক করে ফেলুন, তার জায়গায় রাখুন প্রোটিন ও তাজা ফল। আর কার্বোহাইড্রেট খেলেও স্বাস্থ্যকর অপশন বেছে নিন। যেমন লাল আটা ও লাল চাল। করনফ্লেক্স জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দিন।

(৬) কিছু বিশেষ কাজ- ঘরে তো কত কাজই পড়ে থাকে, তাই না? এগুলোর মাঝে কিছু কাজ নিজেই করুন যা পেটের মেদ কমাতে খুবই কার্যকর। যে কোন জিমের চাইতে অনেক ভালো ফল পাবেন। যেমন ঘর মোছা, বিছানা করা, কাপড় ধোয়া, জানালা পরিষ্কার ইতাদি।

(৭) নাস্তায় টকদই- ক্ষুধা পেয়েছে? তাজা ফলের সাথে এক বাটি টক দই খেয়ে নিন। যখনই ক্ষুধা পাবে, এই কাজটিই করুন। এটিই হয়ে উঠুক আপনার স্বাস্থ্যকর নাস্তা। টকদই কেবল অল্প ক্যালোরিতে আপনার ক্ষুধাই মেটাবে না। একই সাথে পেটের মেদ কমাতেও দারুণ সহায়তা করবে।

(৮) পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান- যারা কম ঘুমান বা অনেক রাত জাগেন, তাঁদের ওজন কোন কারণ ছাড়াই হু হু করে বাড়তে থাকে। বিশেষ করে পেটের মেদ। তাই পেটের মেদ কম করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে অবশ্যই, আর বেশী রাত জাগা চলবে না মোটেও। সেই সাথে স্ট্রেস ফ্রি জীবন যাপনের চেষ্টা করুন। স্ট্রেসও ওজন বাড়ায়।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।