ত্বকের ধরনভেদে হাতে তৈরি ক্লিঞ্জার এবং ময়েশ্চারাইজার

ক্লিঞ্জার এবং ময়েশ্চারাইজার এজন্য যা যা লাগবে-

  • ২ টেবিল চামচ চালের গুড়ো
  • ৪ টেবিল চামচ চায়ের পানি
  • ১ টেবিল চামচ মধু

যেভাবে তৈরি করবেন-

উপরোক্ত উপাদানগুলো একটি পরিস্কার ছোট বাটিতে ভালো করে মশিয়ে নিন। পুরো মিশ্রণটা একটা ঘন লোশনে পরিনত হবে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন-

এবার উক্ত লোশন আপনার শরীরের খোলা অংশগুলোতে লাগান। লোশন লাগাবার পর ৩০ মিনিট রেস্ট নিন। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে মুছে নিন।

বাজারের যে কোন ক্লিনজিং লোশনের সমান উপকারী এই লোশন সপ্তাহের প্রতিদিন মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ইচ্ছা করলে পরিমানের অনুপাত ঠিক করে নিয়ে বেশি করে তৈরি করে ফ্রিজের নরমাল অংশে রেখে দিতে পারেন।

 ময়েশ্চারাইজার

তৈলাক্ত ত্বকের জন্যঃ মধু ও লেবুর রস

১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে রাতে ঘুমুতে যাওয়ার পূর্বে ত্বক পরিষ্কার করে নিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন ১০-১২ মিনিট। এরপর মুখ ধুয়ে নিন ভালো করে। এটি খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে পুরো রাত। এই ময়েশ্চারাইজারটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সবচাইতে ভালো।

 শুষ্ক ত্বকের জন্যঃ নারকেলের দুধ ও মধু

১ চা চামচ নারকেলের দুধ ও আধা চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে নিন প্রতি রাতে। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ও মুছে নিন। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই ময়েশ্চারাইজার ভালো কাজে দেবে।

স্বাভাবিক ত্বকের জন্যঃ পাকা কলা ও মধু

পাকা কলা মথে নিয়ে এতে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি পুরো মুখে ভালো করে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ত্বক ধুয়ে মুছে নিন। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য পাকা কলা ও মধুর এই ময়েশ্চারাইজার অনেক কার্যকরী।

রুক্ষ ত্বকের জন্যঃ অ্যালোভেরা ও আমণ্ড অয়েল

১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং ১ চা চামচ আলমন্ড অয়েল খুব ভালো করে মিশিয়ে প্রতিরাতে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ঘুমুতে যাওয়ার পূর্বে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন পানি দিয়ে। রুক্ষ ত্বককে মোলায়েম রাখতে এই ময়েসচারাইজারের তুলনা নেই।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।