”মেকাপ” শুষ্ক ত্বকের মেকআপ পদ্ধতি

শুষ্ক ত্বক মানেই মুশকিল। যেভাবেই সাজুন না কেন, সাজ ফুটে উঠবে না। কারণ মেকআপ যত ভালো করেই করুন না কেন, কিছুক্ষণ পরই ফ্লেকি হয়ে সব উঠে যেতে থাকে। তাই চলুন জেনে নেই কীভাবে মেকআপ করলে শুষ্ক ত্বকেও তা টিকে থাকবে-

আপনার ত্বক যেরকমই হোক না কেন, মেকআপ করার আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।কারণ মুখে ময়লা থাকলে মেকআপ কিন্তু মোটেই ভালো হয় না। আর হ্যাঁ, আপনার যেহেতু শুষ্ক ত্বক, তাই এর জন্য বিশেষভাবে তৈরি কোনো ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।

শুষ্ক ত্বকে ময়েশ্চারাইজ করতেই হবে। নয়তো মেকআপের পর আপনার ত্বক খুবই শুষ্ক লাগবে। নাক, নাকের আশেপাশের অংশ বিশেষ করে বেশি শুষ্ক হয়, তাই ওইসব জায়গায় বেশি করে ময়েশ্চারাইজার করুন। আর ড্রাই স্কিনের জন্য এক্সট্রা হাইড্রেটিং ফর্মুলেটেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

এরপর আপনার শুষ্ক ত্বককে স্মুদ লুক দিন প্রাইমারের সাহায্যে। প্রাইমার না দিলে আপনার ত্বকে মেকআপ কিন্তু উঠে যেতে বাধ্য। তাই প্রাইমার লাগান। আর হ্যাঁ, একগাদা প্রাইমার কিন্তু লাগাবেন না। তাতে আপনার মেকআপ কিন্তু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ঠোঁট যদি খুব বেশি ফেটে যায়, হাজার লিপবাম লাগিয়েও কোনো কাজ না হয়, তাহলে চ্যাপস্টিক আপনাকে ব্যবহার করতেই হবে। দেখবেন এটা আপনার ঠোঁটকে একটা পারফেক্ট স্মুদ ফিনিশ দেবে। এরপর আপনি নিশ্চিন্তে লিপস্টিক লাগাতেই পারেন।

শুষ্ক ত্বকের ফাউন্ডেশনের ক্রিমি টেক্সচার আপনার ত্বকের ড্রাইনেস দূর করে ত্বককে স্মুদ এফেক্ট দেবে। আর ত্বকের যাবতীয় দাগ-ছোপ দূর করতে কন্সিলার আবশ্যক। তবে সেটাও যেন ক্রিমি আর শুষ্ক ত্বকের জন্যই হয়।

শুষ্ক ত্বকে মেকআপকে ভালো করে সেট করার জন্য সেটিং স্প্রে লাগানো খুবই দরকার। এক হাত দূর থেকে স্প্রে করবেন।

বেসিক মেকআপ করার পর এবার কিন্তু বাকি ফিনিশিং টাচের। আইলাইনার, আইশ্যাডো, কাজল, মাশকারা দিয়ে চোখের মেকআপ করে ফেলুন। গালে কিন্তু লিকুইড ব্লাশ লাগাতে ভুলবেন না। আর ঠোঁটকেও রাঙিয়ে তুলুন আপনার পছন্দের লিপস্টিক শেডে।

আর সব শেষে লাগিয়ে ফেলুন একটা হাইলাইটার। দেখবেন আপনার ত্বক যতই শুষ্ক হোক না কেন, সুন্দর পারফেক্ট আর ফ্রেশ ময়েশ্চারাইজড লুক পেতে কিন্তু হাইলাইটার ছাড়া গতি নেই।

সূত্র ; Facebook

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।