নিজের তৈরি ফেয়ারনেস নাইট ক্রিম

সাজসজ্জা
ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষার্থে ময়েশ্চারাইজার অদ্বিতীয়। বাজারে নানা ব্র্যান্ডের ও বাজেটের ময়েশ্চারাইজার রয়েছে। শুষ্ক ত্বকে তো বটেই তৈলাক্ত ত্বকেও ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন। দিনে ও রাতে আলাদা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। কেননা রাতের জন্য তৈরি ক্রীম গুলোতে আলাদা কিছু উপদান থাকে, যা সারা রাতে ত্বককে পুষ্টি যোগায় এবং ক্রীম ভেদে কার্যক্রমও আলাদা হয়। আর সাধারণত ডে ক্রিম গুলোর চেয়ে নাইট ক্রীমের দামও পড়ে বেশি, তাই অনেকেই হয়ত আলাদা নাইট ক্রীম ব্যবহার করেন না বা অনেকের ত্বক স্পর্শকাতর হওয়াতে বাজারে প্রচলিত কেমিকেল নির্ভর প্রসাধনীকে ভয়ও পেয়ে থাকেন। কিন্ত জেনে খুশি হবেন যে টাকার বড় বড় নোট খরচ না করে এবং কেমিকেল কে বুড়ো আঙুল দেখিয়েও রাতের বেলা আপনার ত্বককে দিতে পারেন বাড়তি যত্ন। কীভাবে? আসুন জেনে নিই।

উপকরণঃ

-কাঠবাদাম ১০ টি

-দুধ বা গোলাপ জল

-টকদই ১ কাপ

-১ টেবিল চামচ মধু

-১ চা চামচ কমলার রস

-৪-৫ দানা জাফরান

-১ টা ভিটামিন সি ট্যাবলেট

-১ টা ভিটামিন ই ক্যাপসুল

-সংগ্রাহক পাত্র

পদ্ধতিঃ

১। কাঠবাদাম গুলোকে সারা রাত দুধ বা গোলাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন।

২। পরের দিন সকালে বাদামগুলোকে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড বা শিল পাটায় বেটে নিন, খুব মিহি পেস্ট হতে হবে।

৩। বাদাম হয়ে গেলে জাফরানেরও পেস্ট তৈরি করে নিন।

৪। এবার পরিষ্কার একটি বাটিতে বাকি সব উপকরণ যেমন টকদই, মধু, লেবুর রস আর পেস্ট গুলো মিশিয়ে নিন।

৫। তারপর ভিটামিন সি ট্যাবলেট টি গুঁড়ো করে নিন এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি ফুটো করে ভেতর থেকে তেল বের করে নিন।

৬। এবার সবগুলো উপকরণ ভালো ভাবে মিশিয়ে যে পাত্রে সংগ্রহ করতে চান সেটাতে রেখে দিন।

৭। পাত্রটিকে প্রথম ২৪ ঘণ্টা ডিপ ফ্রিজে এবং তারপর নরমাল ফ্রিজে রাখুন।

৮। এবার প্রতিদিন রাতে ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো ভাবে পরিষ্কার করে ব্যবহার করুন নিজের তৈরি করা নাইট ক্রীম।

নিয়ম মেনে টানা ২ সপ্তাহ ব্যবহারেই ফলাফল দেখতে পাবেন। আপনার ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, মসৃণ, নমনীয়, রোদে পোড়া দাগহীন ও দিপ্তীময় আর নিজেই নিজের ত্বকের প্রেমে পড়ে যাবেন। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি বলে কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।