”রূপচর্চা” চুল পড়ার কারণ

একজন সুস্থ মানুষের মাথায় গড়ে এক থেকে দেড় লাখ চুল থাকে। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টা পর্যন্ত চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর চেয়ে বেশি পড়লে তা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। বালিশ, তোয়ালে বা চিরুনিতে লেগে থাকা চুল গুনতে চেষ্টা করুন। অন্তত পরপর তিন দিন। অথবা অল্প এক গোছা চুল হাতে নিয়ে হালকা টান দিন। যদি গোছার চার ভাগের এক ভাগ চুলই উঠে আসে, তবে তা চিন্তার বিষয়।

চুল পড়ার কারণ

বিভিন্নভাবে ও বিভিন্ন কারণে চুল পড়তে পারে। যেমন, জিনগত কারণ বা জেনেটিক এন্ডজেনিক এলপেসিয়া ‘র কারণে চুল পড়লে তা ফেরত পাওয়া দুষ্কর । কিন্তু যদি তা টেলোজেন ইফ্লুভিয়াম হয় যা কিছু সময়ের জন্য চুল পড়া বাড়িয়ে দেয়, এ থেকে সহজেই পুর্বাবস্থায় ফেরত যাওয়া যায়।

১. প্রোটিন বা আমিষের অভাবঃ

নতুন চুলের কোষ তৈরি হবার জন্য চুলের চাই পুষ্টি। চুলের জন্য প্রধান পুষ্টি হল আমিষ জাতীয় খাদ্য। যথেষ্ট পরিমাণ আমিষের অভাবে নতুন চুল গজাতে পারেনা। এর ফলে চুল পাতলা হয় ও কমে যায়।

২. খুশকি বা মাথার ত্বকের সোরিয়াসিসঃ

মাথার ত্বক এর বিভিন্ন রোগ এবং খুশকির সমস্যা চুল পড়া বাড়িয়ে দেয়। জোরে চিরুনি দিয়ে আচড়ানো বা নখ দিয়ে চুলকানোর ফলে হেয়ার ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও চুল পড়ে।

৩. শারীরিক ও মানসিক চাপঃ

বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ও মানসিক চাপ এর ভেতর দিয়ে গেলে চুল পড়ার হার বেড়ে যায়। পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা এবং বিভিন্ন মেজর অপারেশন বা রোগের কারণে দ্রুত ওজন হ্রাস হয় ইত্যাদি কারণে চুল পড়ার হার বেড়ে যেতে দেখা যায়।

৪. অটো ইমিউন রোগব্যাধিঃ

লুপাস, রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস, থাইরয়েড সমস্যা, সিকেল সেল এনিমিয়া, আয়রন ডেফিসিয়েন্সি এনিমিয়া ইত্যাদি রোগে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে থাকে।

৫. চুল বাঁধার স্টাইলঃ

বিভিন্নভাবে চুল বাঁধার ফলে চুলের আগা ফেটে যায়, চুল দুর্বল হয়ে পড়ে । টাইট করে পনিটেইল করলে বা বেনি করলে চুল পড়ার হার বাড়তে পারে। আবার অনেকদিন ধরে একই হেয়ারস্টাইল চুল পড়া ত্বরান্বিত করে।

৬. হেয়ারস্টাইল এর ক্ষেত্রে উচ্চ তাপ এর ব্যবহার এবং রিবন্ডিংঃ

উচ্চ তাপে ব্লো ড্রাই বা তাপ দিয়ে চুল সোজা করা বা কার্ল করলে চুল তার স্বাভাবিক লাবণ্য হারিয়ে শুষ্ক হয়ে ভেঙে যায়, এর ফলে চুল পড়ে যায়। এছাড়া রাসায়নিক ব্যবহার করে চুল রিবন্ডিং করলে চুল পড়ে যেতে দেখা যায়।

৭. কতিপয় ঔষধের ব্যবহারঃ

কিছু কিছু ঔষধ সেবনের ফলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। রক্তচাপজনিত রোগে ব্যবহৃত ঔষধ, এন্টি ডিপ্রেস্যান্ট জাতীয় ঔষধে চুল পড়তে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত ঔষধেও চুল পড়তে পারে।

৮. সন্তান জন্মদানের পরঃ

মায়েদের ক্ষেত্রে সন্তান জন্মদানের আগে অর্থাৎ গর্ভকালীন সময়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। কারণ এসময় ইস্ট্রোজেন হরমোনের আধিক্য থাকে। সন্তান জন্মানোর পর পর হরমোনের পরিমাণ কমে যেতে শুরু করে এবং চুলের বৃদ্ধি আগের তুলনায় কমে যায় ও চুল পড়া বাড়ে।

সূত্র ; Facebook

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।