প্রাকৃতিকভাবে চুল সোজা করার পদ্ধতি

সাজসজ্জা
সুন্দর এবং স্ট্রেইট চুল সবাই পছন্দ করে। কারণ এই ধরণের চুলে যেকোনো ধরণের স্টাইল করা যায়। সাধারণ কার্লি চুলে ফ্যাশন করতে ও একে সমসময় সুন্দর রাখতে অনেক সমস্যা হয়। এজন্য অনেকেই আজকাল চুল আয়রণ করে চুলকে সোজা করে ফেলে। চুল সোজা করার এই পদ্ধতিকে রিবন্ডিং বলা হয়। সাধারণ এটা চুলকে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সোজা রাখতে পারে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পরে এটা আবার আগের মত হয়ে যায়। তাছাড়া এই রিবন্ডিং পদ্ধতির আরেকটি সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এটা অনেক ব্যায়বহুল ও এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।

যেমন চুল ঝড়ে যাওয়া, চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। কিন্তু যদি প্রাকৃতিকভাবেই চুলকে আয়রণ ছাড়াও স্ট্রেইট করা যায় এবং সেটা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই তাহলে তো কোনো কথাই নেই। যদিও এই ভাবে চুল সোজা করা্র পদ্ধতিটি একটু সময়সাপেক্ষ, কিন্তু তবুও এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বরং এটি চুল সোজা করার সাথে সাথে চুলকে আরো সুন্দর করে তোলে। এতে করে আপনার অনেক টাকাও বেচে যাবে এবং তার সাথে সাথে আপনার চুল আরো ঝলমলে করে তুলবে। আজ আমরা এখানে প্রাকিতিকভাবে চুল সোজা করার কয়েকটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।

নারিকেলের দুধে চুল সোজা করার প্রাকিতিক উপাদান থাকে। একটা নারিকেল ভালোভাবে গ্রেট করে এর থেকে দুধ বের করে নিন। এবার এর সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটিকে ২ থেকে ৩ ঘন্টার জন্য ফ্রীজে রেখে নিন যতক্ষণ পর্যন্ত এর উপর একটা ক্রীমের আবরণ তৈরী হয়। এবার চুল ভালোভাবে আচড়ে নিয়ে মাথা থেকে চুলের আগ পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর একটা গরম তোয়ালে দিয়ে মাথা মুড়িয়ে নিয়ে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এক ঘন্টা পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এতে আপনার চুল কোমল হওয়ার সাথে সাথে অনেক সোজা হয়ে যাবে।

মধুর উপকারী উপাদান চুল সোজা করতে অনেক উপকারী। এক কাপ কাচা দুধের মধ্যে এক চামুচ মধু মিশিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এটি চুলের আগা থেকে গোড় পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে কমপক্ষে ২ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। এরপর চুলে শ্যাম্পু করে মোটা চিরুনী দিয়ে চুল আচড়ে নিন। এটি সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন করলে খুব দ্রুত প্রাকিতিকভাবেই চুল সোজা হয়।

অলিভ অয়েল এবং ডিম একসাথে চুলের জন্য অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে। একটা পাত্রে দুইটা ডিম ভালোভাবে ফেটে নিন। এবার এর সাথে এক চামুচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে আবার ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এবার চুল মোটা দাতের চিরুনী দিয়ে আচড়ে নিয়ে এতে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। সম্পুর্ন শুকিয়ে গেলে এটি চুলের সাথে শক্ত হয়ে যাবে। এবার চুল ধুয়ে নিয়ে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এটি সপ্তাহে ৩ দিন করলে কার্লি চুলের অয়েভ অনেক কমে আসে এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়।
আধা কাপ গরম তেল যেমন নারিকেল, অলিভ অয়েল এর সাথে একটা এলোভেরা পাল্প নিয়ে জেলোর মত তৈরী করে নিন। এরপর এটা চুলে লাগিয়ে সম্পুর্ন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এবার সম্পুর্ণ শুকিয়ে গেলে চুলে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এটি কার্লের অয়েভ কমিয়ে চুলকে ডিপ কন্ডিশন করতে সাহায্য করে।

একটা ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটে নিন। এবার এর সাথে এক কাপ মুলতানি মাটি ও ৫ চামচ চালের গুড়া মিশিয়ে পেষ্ট বানিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর প্রথমে পানি দিয়ে ধুয়ে তারপর শ্যাম্পু করে নিন। এই পদ্ধতিতে চুল খুব সহজে সোজা করা সম্ভব।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।