রূপচর্চা

 

মুখের ত্বকে  ব্যবহার করবেন না যে সব জিনিস—

মুখটাকে সুন্দর করে তুলতে অনেকেই অনেক কিছু মাখেন। কেউ দাগ দূর করতে চান, কেউবা রংটা একটু ফর্সা করতে চান। তা করতে গিয়ে অনেকেই কড়া রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনী মাখেন। কেউবা আবার ঘরেই তৈরি করেন স্ক্রাব বা ফেসপ্যাক।  কিন্তু তা করতে গিয়ে উল্টো ত্বকের বেশ বড় ধরণের ক্ষতি করে ফেলেন তারা। আপনিও যদি ত্বক নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং মাঝে মাঝেই ত্বকের ওপর এক্সপেরিমেন্ট করেন, তাহলে আপনার অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত ত্বকে কী কী উপাদান দেওয়া যাবে না।

সাবান

মুখ পরিষ্কার করতে ফেস ওয়াশের বদলে সাবান ব্যবহার করেন অনেকে। কিন্তু তা করতে গিয়ে ত্বকের স্বাভাবিক তেলটুকুওী,ধুয়ে ফেলেন অনেকে। সাবান ত্বককে বেশি শুষ্ক করে দেয়। ফলে ত্বকে জ্বালাপোড়া হয় এমনকি এ থেকে একজিমাও হতে পারে।

 লেবু

কাঁচা বা পাকা লেবু খেলে আপনি উপকার পাবেন। কিন্তু ত্বকে না দেওয়াই ভালো। কারণ ত্বকে লেবুর রস দিয়ে এরপর যদি আপনি রোদে যান, তাহলে ফাইটোফটোডার্মাটাইটিস নামের একটি সমস্যা হয়, যাতে ত্বক পুড়ে যায়।

 পুরনো সানস্ক্রিন

হুট করেই খুব রোদে একদিন বের হচ্ছেন। খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেলেন পুরনো এক টিউব সানস্ক্রিন। কিন্তু এই সানস্ক্রিন আসলে কি ব্যবহারের উপযোগী? সানস্ক্রিন বেশি সময় ধরে পড়ে থাকলে বিশেষ করে গরম ও রোদেলা জায়গায় রেখে দিলে তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।  এই সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে বরং ত্বক রোদে পুড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

 বডি লোশন

বডি লোশন, ক্রিম বা বাটার শরীরের ত্বকের জন্যই তৈরি করা হয়।  মুখের ত্বক শরীরের ত্বকের তুলনায় পাতলা ও সংবেদনশীল। তাই এসব ভারী প্রসাধনী ব্যবহার করলে ব্রণের উপদ্রব দেখা দিতে পারে।

হেয়ার স্প্রে বা বডি স্প্রে

ঘাম নিরোধক বডি স্প্রে এমনকি হেয়ার স্প্রে অনেকে মুখে ব্যবহার করেন। মেকআপ সেট করতে এই স্প্রে সাধারণত কাজে লাগান তারা। কিন্তু এসব স্প্রেতে প্রচুর অ্যালকোহল থাকে তা ত্বককে রুক্ষ ও শুষ্ক করে ফেলতে পারে।

গ্লাইকলিক এসিড

গ্লাইকলিক এসিড এমন একটি উপাদান যা কেমিক্যাল পিল হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ তা ত্বকের ওপরের স্তর উঠিয়ে ফেলে এবং ত্বকের দাগ ও কালচেভাব দূর করে। কিন্তু এই জিনিসটি ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া একেবারেই ব্যবহার করা উচিত নয়। গ্লাইকলিক এসিড ব্যবহার করতে গিয়ে ত্বক পুড়ে যেতে পারে।  গ্লাইকলিক এসিড ব্যবহার না করে স্যালিসাইলিকে এসিড আছে এমন মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

নারিকেল তেল

তৈলাক্ত ত্বকে কোনোভাবেই নারিকেল তেল ব্যবহার করা যাবে না। এই তেলটি খুবই ঘন, তাই ত্বক এটাকে শুষে নিতে পারে না। ফলে তা ত্বকের রোমকূপ আটকে দেয় এবং ব্রণ তৈরি করে। নারিকেল তেল ব্যবহারের বদলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করাটাও ভালো।

ওয়াক্স

শরীরের অবাঞ্ছিত লোম অপসারণের জন্য ওয়াক্সিং করেন অনেকেই। কিন্তু মুখের ত্বকে ওয়াক্সিং করার ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত। আপনি যদি ত্বকের কোনো সমস্যার জন্য ওষুধ গ্রহণ করেন, তাহলে ওয়াক্সিং করলে ত্বকে ক্ষত তৈরি হতে পারে।

সূত্র ; priyo.com

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।