পিরিয়ডের সময় পেট ব্যাথা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায়

বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শরীরে কিছু পরিবর্তন হয়। ফলে প্রত্যেক মাসের একটা সময়ে মেয়েদের ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু তৈরি হতে থাকে। তা জরায়ুতে চলে যায়। এগুলি একটা সময় পর্যন্ত ঠিক থাকে। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে ডিমগুলি যদি কাজে না লাগতে পারে অর্থাৎ, জরায়ুতে যদি পুরুষের শুক্রাণু প্রবেশ না করে, তাহলে ডিম্বাণু নষ্ট হয়ে যায়। তখন সেগুলি জরায়ু থেকে যোনিপথে বেরতে থাকে রক্তের সঙ্গে। একেই মাসিক বা পিরিয়ড বলে।
এইসময় কখনও কখনও মেয়েদের তলপেটে কম বেশি সবারই ব্যাথা করে। অনেকে ওষুধ খান। কিন্তু সবসময় আবার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ না খাওয়াই ভালো। তাই ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যার দ্বারা ব্যাথাও কমবে আবার শরীরে কোন ক্ষতিও হবেনা।

গরমজল

পিরিয়ডের ব্যাথা কমাবার একটি উপায় সবাই জানি মোটামুটি, সেটি হল গরমজল। পেট ব্যাথার সময় গরম জলের সেঁক দিলে ব্যাথা কমে যায়। হট ব্যাগ বা কোন কাঁচের বোতলে গরম জল নিয়ে পেটে সেঁক দিলে কমে যাবে।

ল্যাভেন্ডার তেল

ব্যাথা কমাবার আরেকটি কার্যকরী উপাদান যেটা আমরা হয়তো জানি না, সেটি হল ল্যাভেন্ডার তেল। এই তেল পেট ব্যাথার সময় কয়েক ফোঁটা পেটে দিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। ব্যাথা তাড়াতাড়ি কমে যাবে।

আদা

আদা এই ব্যাথা কমাতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। শুধু ব্যাথা নয়, অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতেও সাহায্য করে আদা। তাই এই সময় ফুটন্ত গরম জলে আদা গ্রেট করে দিয়ে, সেই ফোটানো জলে একটু মধু ও একটু লেবু রস দিয়ে সেটি খেতে পারেন। দিনে দু থেকে তিনবার খান। ব্যাথা থেকে উপকার পাবেন। এইসময় রান্নায় বেশি করে আদা খান।

তুলসী

আদা ছাড়াও আরেকটি খুব সহজ উপাদান যেটি ব্যাথা কমাতে দারুন কার্যকরী সেটি হল তুলসী। তুলসী পাতার রস করে, এক কাপ গরম জলে দু থেক তিন চামচ তুলসির রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এটি দিনে দু থেকে তিন বার খান ব্যাথা হলে। বা কাঁচা তুলসী পাতাও খেতে পারেন।

তলপেট ব্যাথার সময় এই কয়েকটি পন্থা মেনে চললে উপকার পাওয়া যায়। তবে পিরিয়ডের সময় কফি বা কফি জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। এর কারণ হল কফিতে থাকা ক্যাফেইন। এই উপাদানটি পেটের ভেতর অস্বস্তির অনুভব তৈরি করে। তার ফলে শরীরে অস্বস্তি হয়।

সূত্র ; dusbus

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।