নারীর রূপচর্চায় শসার ব্যবহার

সারা বছর ধরে পাওয়া যায়, সাথে হাজারো গুনে ভরা যেই সবজিটির কথা আগে উঠে আসে তা হল তরতাজা শসা। শসার উপকারের কথা আমরা কমবেশি সবাই মোটামুটি জানি। শসা সব ঋতুতে সব এলাকায় সহজে পাওয়া যায়। শসার রয়েছে অনেক গুণ। রূপচর্চা ও মেদ নিয়ন্ত্রণসহ নানা উপযোগিতাই আছে এই সহজলভ্য সবজিটির শত গুণ।

নারীর রূপচর্চায় শসার কয়েকটি ব্যবহার

১. তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শসা খুব ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের ওপেন পোর নিয়ন্ত্রণ করতে বেশি উপকারী। মুখ ধোয়ার পর শুধু শসার রস টোনার হিসেবে মুখে লাগাতে পারেন। একে আরো কার্যকারী করতে আপেল, সাইডার ভিনেগার, টমেটোর রস এবং এলভেরা জেল মিশিয়ে নিতে পারেন।

২. শসাতে থাকা ব্লিচিং প্রপার্টিজ ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে ত্বক উজ্জ্বল ও চামড়ার ভাঁজ সমান করে। সান বান (রোদ্রে পোড়া) দূর করতে বাইরে থেকে এসে প্রতিদিন শসার রস মুখ ধোয়ার পর লাগাতে পারেন।

৩. মুখের ব্রনের সমস্যা দূর করতে চাইলে ২ চা চামচ শসার রসের সাথে গোলাপ জল এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। এটি মুখে ভালো মতে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন নিয়মিত ব্যবহার করুন। ব্রন কমে যাবে।

৪. শসা খাওয়ার ফলে শরীরের ত্বক হাইড্রেটেড এবং ময়েশ্চারাইজড থাকে। এর কারণ হচ্ছে শসার ৯৫% উপাদানই হচ্ছে পানি। শসার বিচিতে রয়েছে ভিটামিন-ই এবং পটাশিয়াম, যা ফাইন লাইন্স, রিংকেলসহ বার্ধক্যের বিভিন্ন ছাপ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল এবং যৌবনদ্বীপ্ত রাখে।

৫. বয়সের ছাপ লুকাতে ২ টেবিল চামচ টক দই, আধা চামচ মধু এবং ১ চামচ লেবুর রসের সাথে ২ চামচ গ্রেট করা শসা এবং ২টি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভালো মতো মেশান। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ফাইন লাইন্স ও রিংকেল দূর করে ত্বক টানটান এবং সুন্দর করে।

৬. অনেকের মুখের ত্বক তৈলাক্ত। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ, লেবুর রস, এবং শসা পেস্ট একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি চামড়ার অতিরিক্ত তেলভাব নিয়ন্ত্রণ করে।

৭. যদি মুখের ত্বক শুস্ক হয় হবে ১ চা চামচ ওটমিল এবং পরিমাণ মত শসা পেস্ট তৈরী করে একসাথে মিশিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। মুখে এবং ঘাড়ে মিশ্রণটি ভালো মতো মেখে ২০ মিনিট রাখুন। ত্বক ময়েশ্চায়ইজড রাখার জন্য মিশ্রণটির সাথে ১ চা চামচ মধুও মিশাতে পারেন।

৮. ডার্ক সার্কেল (কালশিটে) কমাতে শসা বেশ কার্যকর। শসাতে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং সিলিকা চোখের কালশিটে কমিয়ে চোখের চারপাশের স্কিন ভালো রাখে। শসা স্লাইস করে কেটে অথবা তুলার মধ্যে শসার স্লাইসটি লগিয়ে সেই তুলা কিংবা শসার স্লাইসটি চোখের উপর ২০ মিনিট রাখুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকুন। নিয়মিত ব্যবহারে চোখের নীচের কালশিট কমবে। এ ছাড়াও শসাতে থাকা এসকরবিক এসিড এবং ক্যাফেইক এসিড চোখের ফোলাভাব দূর করতে বেশি কার্যকরী।

৯. আমাদের অনেকের নখ কোমল এবং ভঙ্গুর। তাই নিয়মিত শসা খেলে এর মাঝে থাকা প্রচুর পরিমাণে সিলিকা যা নখ শক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতে নখের ভাঙ্গা কমে গিয়ে নখ শক্ত হয়।

সূত্র ; tipsandtricks

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।