”হেলথ টিপস” চিরতার উপকারিতা

এই ঠান্ডা-গরমের
সংমিশ্রণে বেড়েই চলছে বসন্তের জীবাণু, হাঁচি,
কাশি, সর্দি, টনসিলে ইনফেকশনের পরিমাণ। এই
অসুখগুলোর বিরুদ্ধে উৎকৃষ্ট হাতিয়ার হলো চিরতা।
বাজারে চিরতার পাতলা ডালপালা বিক্রি হয়। এগুলো ধুয়ে
পরিষ্কার করে গ্লাস বা বাটিতে পানিতে সারা রাত
ভিজিয়ে রেখে সকালে ওই পানি খেতে হয়।

চিরতার উপকারিতা–

১. চিরতা শরীরের বিভিন্ন অংশের জ্বালাপোড়া দূর করে। জ্বর, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্যানসার, পাইলস, চর্মরোগ ও অন্ত্রের কৃমি দূর করে। একইসঙ্গে চিরতা লিভার ও পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ায়, ক্ষুধা উদ্দীপক এবং হজমে সহায়তা করে।
২. ত্বকের যে কোনো সমস্যা যেমন- ব্রণ, ইনফেকশন, জ্বালাপোড়া, দাগ, চুলকানি, লালচে ভাব, পোড়াদাগ দূর করতে চিরতার পানি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। যাদের ত্বকে ফুসকুড়ি রয়েছে তারা গোসলের পানিতে চিরতার রস ব্যবহার করতে পারেন।
৩. চিরতা রক্ত থেকে টক্সিন দূর করে ও রক্ত পরিষ্কার করে। ডায়রিয়া ও জন্ডিস নিরাময়ক এ ভেষজ উপাদানটি চোখ, হার্ট এবং অ্যাজমা রোগীদের জন্যও সমান উপকারী।
৪. চিরতার পানি ডায়াবেটিস রোগীদের শারিরীক দুর্বলতা কাটিয়ে তোলে ও ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে।
৫. চিরতার তিক্ততা মুখের লালাগ্রন্থি থেকে লালা নিঃসরণ ও পাচক রস উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে অতিরিক্ত তেষ্টাবোধ ও মাংসপেশির স্ফীতি রোধ হয়।
যেভাবে খাবেন:
সাধারণত চিরতা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সে পানি পান করা হয়। প্রাচীন ভারতে এটি ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। নিয়মিত সকালে খালি পেটে চিরতার পানি পান করলে পেট পরিষ্কার থাকে।

তবে মনে রাখা দরকার, দিনে একগ্লাসের বেশি চিরতার পানি খাওয়া ঠিক না।

সূত্র ; bissoy

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।