”হেলথ টিপস” দাঁতের শিরশির বন্ধে সঠিক যত্ন

কারণ–

ভুলভাবে দাঁত ব্রাশ করলে বা শক্ত টুথ ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যায়। তখন এনামেলের পরের স্তর ডেনটিন বেরিয়ে আসে। এর ফলে দাঁতে সেনসিটিভিটি হয়।

অনেক সময় একটি দাঁতের সঙ্গে আরেকটি দাঁত শক্তভাবে লেগে দাঁতের  এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।মাড়ির ক্ষয়ের কারণে এটি হতে পারে।

এ ছাড়া মাড়ির বিভিন্ন ধরনের অসুখের কারণেও সেনসিটিভিটি হয়।যেসব খাবারের মধ্যে ক্যামিকেল থাকে এসব খাবার খেলে এই সমস্যা হয়। যেমন : কোল্ড ড্রিংস, ঠাণ্ডা খাবার, এলকোহল ইত্যাদি।

বয়সের কারণেও অনেক সময় দাঁতের শিরশির অনুভব হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ বছরকে সেনসিটিভ বয়স হিসেবে ধরা হয়।যেকোনো দুর্ঘটনায় দাঁত যদি ভেঙে যায়।অনেক সময় শক্ত খাবার খাওয়ার সময় এ রকম হতে পারে।

দীর্ঘ সময় ধরে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে এই সমস্যা হয়।যেসব খাবারে এসিড থাকে সেসব খাবার খেলে এই সমস্যা হয়। যেমন : বিভিন্ন ধরনের ফল, টমেটো, চা ইত্যাদি।দাঁতের বিভিন্ন কাজের সময় এ রকম হতে পারে। যেমন : রুট ক্যানেল, ক্রাউন প্লেসমেন্ট এবং দাঁতের রেসটোরেশন ইত্যাদি।

দাঁতের শিরশির বন্ধে সঠিক যত্ন–

* নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ফাঁকে কোনো জীবাণু তৈরি হতে পারবে না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে নাশতা করার পরে দাঁত ব্রাশ করুন নিয়মিত।

* দাঁত ব্রাশ করার জন্য সেনসিটিভিটি রোধ করে এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। এমনটাই মত প্রায় ৯ শতাংশ ডেন্টিস্টের। তাঁরা মনে করেন, এমন টুথপেস্ট আপনার দাঁত শিরশিরের যন্ত্রণা থেকে রেহাই দেবে অনেকটা।

* ব্রাশ করুন আস্তে আস্তে। দাঁতের ওপর চাপ দেবেন না। জোরে ব্রাশ করাটা দাঁতের শিরশির ভাব আরও বাড়িয়ে দেবে। হালকা কোমল ব্রাশ ব্যবহার করুন। এতে সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে অনেকটা।

* যেকোনো অ্যাসিডিক খাবার খাওয়ার সময়ও একটু সচেতন হোন। যেমন ফলের জুস, কোমল পানীয়-এসব দাঁতের এনামেল নষ্ট করে ফেলে। তাই এসব পান করার পরই দাঁত পরিষ্কার করে ফেলুন।

* আপনার যদি নিয়মিত দাঁতে দাঁত ঘষা বা দাঁত চেপে রাখার অভ্যাস থাকে, তাহলে সেটা ত্যাগ করাই ভালো।

* অনেকেই দাঁতের শিরশির করা অংশটি ব্রাশ করে না। কিন্তু এতে সমস্যা বেড়ে প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

দাঁত ব্রাশ করার ক্ষেত্রে সর্তক হতে হবে।

ব্রাশ করার সময় হবে এক থেকে দুই মিনিট।

উপরের দাঁত ব্রাশ করার সময় ব্রাশটি নিচের দিকে টানতে হবে। নিচের পাটির দাঁত ব্রাশ করার সময় ব্রাশটি উপরের দিকে টানতে হবে।

ক্যামিকেলযুক্ত খাবার এড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।ফ্লোরাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে।

সামান্য শিরশিরানি থাকলে ফ্লোরাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট দাঁতের ফাঁকে আঙ্গুল দিয়ে লাগিয়ে ৩০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিট রাখতে হবে। এরপর ধুয়ে ফেলতে হবে।নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।

সকালে এবং রাতে দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করলে ভালো হয়

।অন্তত ছয় মাস পরপর ডেন্টিস্টের কাছে যেতে হবে দাঁত পরীক্ষা করাতে।

****দাঁতের শিরশির বা সেনসিভিটির সমস্যা যদি বেশি হয় তখন চিকিৎসকরা ফিলিং করার পরমর্শ দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে জি আই রেসটোরেশন খুব ভালো কাজ করে।

দাঁত শিরশির করলে যা করণীয় : 

•    এক কাপ উষ্ণ গরম পানির মধ্যে আধা চা চামচ লবণ নিন। এই পানি দিয়ে কুলি করুন। লবণপানি মুখের সব অংশে ছড়িয়ে গেলে ব্যথা হতে পারে। তবে কয়েক মিনিটের জন্য এই পানি মুখে রাখুন। এর পর ফেলে দিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধোন। দিনে দুবার এটি করলে দ্রুত শিরশির ভাব থেকে মুক্তি পাবেন।

•    একটি রসুন পেস্ট করুন। এর মধ্যে দুই থেকে তিন ফোটা পানি দিন এবং সামান্য খাবার লবণ দিন। আক্রান্ত দাঁতে সরাসরি পেস্টটি লাগান। কয়েক মিনিট এভাবে রাখুন। এরপর লবণপানি দিয়ে মুখ কুলি করুন। দিনে দুবার কাজটি করুন।

•    একটি রসুনের কোয়া কেটে ৭ থেকে ১০ মিনিট আক্রান্ত দাঁতে ঘষুন। এর পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার এটি করুন। এতে শিরশির ভাব দূর হবে।

সূত্র : ইন্টার নেট

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।