পিম্পেল ফেসিয়ালের ধাপসমূহ

sajsojja
এই ফেসিয়াল তৈলাক্ত ত্বকের এবং ব্রণে আক্রান্তদের জন্য। বড় ছোট সবাই এটা করতে পারেন। ১৮ বছর বয়স থেকে ৫০-৫৫ পর্যন্ত। ডিপ ক্লিনিং, scrubing, steaming এই ফেসিয়ালের অন্তর্ভুক্ত। এখানে ব্রণের প্রকোপ কমানোর জন্য বিভিন্ন মাস্ক ব্যবহার করা হয়। মাসে একবার করলেই যথেষ্ট। কিন্তু যদি ব্রণ কোন ভাবেই বশে আনা না যায় তাহলে সপ্তাহে একবার করে করতে হবে। আর অয়েল ফ্রি থাকার জন্য বাসায় নিয়মিত বিভিন্ন মাস্ক ব্যবহারের চর্চা করতে হবে। আর এটি করতে পারেন খুব সহজেই। প্রতিদিন মুলতানি মাটির সাথে পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে সারাদিনে ২ বার করে লাগাবেন। এতে করে দেখবেন ফেসিয়াল অয়েল অনেকটাই আপনার কন্ট্রোলে।

• নিজে প্রস্তুত হয়ে নিনঃ

চুল গুলো সব রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে ফেলুন। হাতের কাছে ফেসিয়াল করার সব উপাদান যেমন তোয়ালে, পানি ভর্তি বৌল নিয়ে রাখুন। এমন কি দুই টেবিল চামচ মধু আর কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে ফেসিয়াল মাস্ক বানিয়ে হাতের কাছে রাখুন।

• ক্লিনজ এবং এক্সফলিয়েসনঃ

পিম্পেল ফেসিয়ালের উপকারিতা ভোগ করার জন্য ত্বককে প্রথমে তৈরি করে নিন। ভালো মানের কোন ক্লিনজার নিন, মুখে এবং গলায় হালকা হাতে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন। তারপর কিছুটা সময় মুখে ঐভাবে রেখে দিন। এতে ক্লিনজার আপনার ত্বকের উপর কাজ করবে আর রক্ত সারকুলেসনের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর এক্সফলিয়েসন করা জরুরী। এতে আপনার ত্বকের সব মরা কোষ দূর হবে আর যে মাস্ক দেয়া হবে তার উপকারিতা সম্পূর্ণ রূপে পাওয়া যাবে। মাইল্ড কোন স্ক্রাবার নিন যেটাতে স্যালিসাইলিক আর গ্লাইকলিক এসিড আছে। এগুলো ব্রণের জন্য ওষুধ স্বরূপ। যখন বিডসগুলো ত্বকে স্ক্রাব করা হয় তখন স্যালিসাইলিক এসিড ডেড সেলকে লুজ করে দেয়। আস্তে আস্তে আপনার মুখ স্ক্রাব করুন, বিশেষ করে যে সব স্থানে ব্রণ আছে বা তৈলাক্ত অংশগুলো। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন অথবা আপনি যদি ফলের নির্যাস থেকে আপনার ত্বকের পরিচর্যা করতে চান তাহলে ২ কাপ স্ট্রবেরি ফুড প্রসেসর দিয়ে দিন তারপর এর সাথে টক দই মেশান। স্ট্রবেরিতে আছে স্যালিসাইলিক এসিড। এবার মিশ্রণটিকে ৩০ সেকেন্ড সময় দিন ভালো ভাবে মেশার জন্য। তারপর আপনি মুখে গলায় লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

• লোম কুপ ওপেন করার জন্য স্টিম করুনঃ

আপনার ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করার জন্য স্টিম নেয়া জরুরী। ১০-১৫ মিনিট ধরে গরম পানির ভাপ নিন মুখে।

• ফেসিয়াল মাস্কের ব্যবহারঃ

এবার আগের বানানো লেবু মধুর মাস্ক মুখে আর গলায় লাগিয়ে নিন। লেবু যেমন ব্রণের ট্রিটমেণ্ট করে তেমনি মধু ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখে। মাস্কটি লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর প্রথমে হালকা গরম তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার যদি এই মাস্কটি পছন্দ না হয় তাহলে এক চামচ ওটমিল ২ চামচ পানির সাথে নিয়ে ভালো ভাবে রান্না করে নিন। তারপর চুলার উপর থেকে নামিয়ে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে মুখে অ্যাপ্লাই করুন।

• ময়েশ্চারাইজ করুন আপনার ত্বকঃ

মনে আছে তো আপনার পোরগুলো কিন্তু এখনো ওপেন আছে। তাই এবার ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে সিল করতে হবে। আপনার দৈনিক ব্যবহারের কোন একটি ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। তারপর সমস্ত মুখে আর গলায় লাগিয়ে নিন।

যেহেতু স্যালিসাইলিক আর গ্লাইকলিক এসিড ব্যবহার করা হয় এই ফেসিয়ালে তাই অবশ্যই dermatologist এর সাথে পরামর্শ করে নিবেন।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।